চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়েছেন।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এস.আই. সারোয়ার হোসেন জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ (গোগদ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুজু মিয়া। সে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের সাহেদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী অজ্ঞাত একটি প্রাইভেটকার সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ ব্রিজের উপর ওভারটেক করতে গিয়ে সজোরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা ৩ যাত্রী ছিটকে পরে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুজু মিয়া নামে একজন মারা যায়। দুর্ঘটনার পর পর প্রাইভেটকারটি পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে স্বামীর ওপর অভিমান করে শারমিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পূর্বপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শারমিন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে শারমিন আক্তার স্বামী সিরাজুল ইসলামের ওপর অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা গৃহবধূ শারমিনকে উদ্ধার করে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন কলার ছড়ি প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন আম প্রতীক এবং জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরণ-বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি বলেন, আপনারা সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। নতুবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আপনাদেরকে জরিমানাসহ আইনি ঝামেলায় পরতে হতে পারে। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো সবাই যেন আচরণ-বিধি মেনে চলেন। আমরা সকলের সহযোগিতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেব।
এদিকে প্রতীক পেয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি। আমি আশা করি জনগণের ভালবাসায় উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমি এরশাদ ও রওশন এরশাদের অনুসারী জাতীয় পার্টি করি। এর আগেও আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দুইবার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলাম। এবার জাতীয় পার্টি দুইভাগে বিভক্ত হওয়ায় আমি দলীয় প্রতীক চাইনি। আমাদের অনুসারীদের পছন্দে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়েছি। আশা করি সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কলার ছড়ি বিজয়ী হবে।
উল্লেখ্য এই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করলে এই সংসদীয় আসনটি শুন্য হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাঁচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের এমন বক্তব্য স্বীকার করেছেন ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। ওসি বলেন পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ অসম্ভব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অভিভাবক ও সুশিল সমাজসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদক প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে নবনির্মিত সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সে ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সভায় ওসি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
বক্তব্যে সরাইল সদরের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, অরূয়াইলের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কালীকচ্ছের মো. ছায়েদ হোসেন, শাহবাজপুরের খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও-এর মো. মনসুর আহমেদ চুন্টার মো. হুমায়ুন কবিরসহ অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান সম্প্রতি সরাইলে উল্লেখযোগ্য হারে মাদকের বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত সুশিল সমাজের লোকজনও মাদক প্রতিরোধে পুলিশের সহায়তা কামনা করেন।
এ ছাড়া অনেকেই সরাইলের কৃষি জমির মাটি বিক্রি ও রাতের অন্ধকারে কেটে জেলা শহরে ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় আসে অরুয়াইল সদরে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি খেকুদের সরকারী জায়গা, সালিসের নামে টুপাইস কামানো, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত নদীর ঘাটলা দখল ও দুই পাড়ে তিতাস নদী দখলের বিষয়টি।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সম্প্রতি মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে? বিদ্যালয়ে না গিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে কিনা? কি করছে? পড়ালেখা ঠিকঠাক মত করছে কিনা? এসব খোঁজখবর রাখার দায়িত্ব আপনার। এসব না করে মাদক প্রতিরোধ বা আসক্ত ব্যক্তির বিচারের দায়িত্ব শুধু পুলিশের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। কারণ পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আপনার এলাকায় মাদকাসক্ত ব্যবসায়ি, মাটি ও ভূমি খেঁকুদের চিহ্নিত করে গ্রাম আদালতের আওতায় আনুন। সহযোগিতার জন্য আমাদেরকে (পুলিশকে) ডাকুন। আপনাদেরকে এসব কাজে সহযোগিতা করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদকসহ অন্যান্য অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইয়াবাসহ মো. রানা (২৮) নামে এক মাদক কারবারিক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলা সরাইল সরকারি অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হাসানের নির্দেশে এসআই মোহাম্মদ কবির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে সরাইল সরকারি অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে রানা নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।