চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, শেখ হাসিনা মনে করেছিল কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয়েছে এক কাপড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়ে হিসাব রাখত। মূলত বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ।
৩১ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেশে বন্যায় দুর্গতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়া করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করেছিলেন। তাই বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার আর কোন জায়গা হবে না। এদেশের মাটিতে ফিরতে পারবে না তার সমুচিত জবাব দিবে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর যাবত ধৈর্য ধরেছে এবং আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। তারেক রহমান রাজার বেশে দেশে আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ গঠনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের পথ অনুসরণ না করে হিংসা, গুম, খুন, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্ব মুক্ত দেশ গঠনে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু মিয়া খাদেমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আক্তার হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জুমনসহ ইউনিয়ন বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে রাফি নামে এক পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত পাঁচ বছরের শিশু সাফি উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের প্রবাসী ফয়েজ মিয়া ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। কোথাও না পেয়ে পরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে খালের পানিতে ভাসতে দেখেন শিশু রাফিকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে সরাইল উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর টানা ২৩ ঘণ্টা পর রবিবার রাত ১১টার দিকে পুরো উপজেলায় একযোগে বিদ্যুৎ আসে। এরপরও চলতে থাকে লোডশেডিং। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
বিদ্যুৎ না থাকার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালি’কে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে বিউবোর কর্মকর্তারা সঞ্চালন লাইনে ‘সমস্যা’ হওয়ার কথা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়া বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মাহবুব খান বলেন, ‘এখানে বৃষ্টির দু-চারটি ফোঁটা পড়লেই টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এখন চলছে রোজার মাস। এ সময়ে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’
সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। এর নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরসহ সাতটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতাধীন। এখানে গ্রাহকসংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০০। বিউবোর এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অধিকাংশই শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টানা ২৩ ঘণ্টার বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারণে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা সদরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শাহবাজপুর ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নে বিকেল চারটার দিকে বিদ্যুৎ আসে। এ দুটি ইউনিয়নে আবার বিদ্যুৎ চলে যায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। এরপর সরাইল সদর, পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকের বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। রবিবার বিকেল চারটার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। এখানে আকাশে মেঘ দেখা দিলেই এমনটি হয়ে থাকে, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
ছোট দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী রওশন আলী বলেন, ‘সরাইল বিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কাউকে সহায়তা করে না। এ কারণে এখানে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে আরও বেশি।’
স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতের প্রচণ্ড বজ্রপাতের প্রভাবে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়। এ সমস্যা চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনেক দেরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে কাভার্ড ভ্যান চাপায় ও সরাইল উপজেলায় বাস চাপায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ জন।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জে থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় আসার পথে মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-২৭-৮২৩৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষসহ এক শিশু মারা যায়। এর মধ্যে আহত একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। নিহতরা হলো জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের ফরিদা মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোঃ সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মোঃ জিলানী (৮), পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের আছকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মির্জাপুর গ্রামের মোঃ রশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জল (৩৫)। এ ঘটনায় আরো ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, নিহত জিলানীর ছোট বোন দেড় বছর বয়সী তাইরিন, বাবা নাজমুল মিয়া ও মা শাহানা বেগম। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে একই মহাসড়কে জেলার সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায় বাস চাপায় সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী আবু হানিফ (৬০) নিহত হয়েছে। তিনি আখাউড়া উপজেলার আব্দুল হাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী বাসটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে অটোরিক্সার ৩ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দুপুরে আশুগঞ্জে থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্স বিশ্বরোড আসার পথে মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-২৭-৮২৩৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষসহ এক শিশু মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে আহত একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। এছাড়া সরাইলেও সড়ক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই সারাদেশে পাল্টে যায় দৃশ্য। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ। এমন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা পুলিশের পাশে থাকায় সরাইলবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুলিশ।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল আখন। সেখানে তিনি লেখেন, প্রিয় সরাইলবাসি, ধন্যবাদ তোমাদেরকে। সরাইল থানার প্রতিটা পুলিশ সারা জীবন মনে রাখবে তোমাদেরকে। আমরা চির কৃতজ্ঞ তোমাদের কাছে। ভালোবাসা অবিরাম সরাইলের প্রতিটা মানুষের প্রতি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সরাইল থানা আমাদের, পুলিশ এখানকার অতিথি, থানায় যাতে হামলা না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যাপক তৎপর ছিলাম। সরাইল থানায় কোনো হামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ। ওই আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন কয়েকশ মানুষ। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব থানায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার সব দায়িত্ব ছেড়ে নিজেদের জীবন নিয়েই সংকটে পড়ে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুকুরের এক ফুট পানির নিচে ঝুলে রয়েছে পিডিবির বৈদ্যুতিক লাইন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন সেখানকার বিদ্যুৎ গ্রাহক ও স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার এলাকায় বিদ্যুতের এ বেহাল দশার অবস্থা। পিডিবির বৈদ্যুতিক লাইন পুকুরের এক ফুট পানির নিছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পড়ে রয়েছে। প্রায় এলাকাতেই জরাজীর্ণ তার এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ তারে টানানো এই লাইনে মেরামতের অভাবে বৈদ্যুতিক তার ঝুলে রয়েছে। দেখে মনে হয় যেন বৈদ্যুতিক লাইন পানির নিচ দিয়ে টানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় পুকুরের পানিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ সৃষ্টি হয়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাদিকবার অবহিত করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার হচ্ছে না বলে জানান তারা।
এদিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার, আইরল, আঁখিতারা ও বছিউড়া এই ৪টি গ্রামের মানুষ বৈদ্যুতিক লো-ভোল্টেজ সমস্যায় চরম দুর্ভোগে আছেন। একদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, অন্যদিকে লো-ভোল্টেজের কারণে অচল হয়ে পড়ছে জনজীবন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, পুকুরের পানিতে বিদ্যুতের তার পরে রয়েছে। এ বিষয়ে অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি ভয়ে কেউ পুকুরে গোসল করতে নামছে না।
নাজমুল মিয়া বলেন, লো-ভোল্টেজের কারণে আমার ফ্রিজের মাছ মাংস প্রায় সময় পচে যায়। আর ফ্যান ও বাতি কোনো রকমে চলে। বুঝার উপায় নেই যে বিদ্যুৎ আছে।
এ বিষয়ে সরাইল পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ) মো. আব্দুর রউফ যুগান্তরকে বলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় আমি অনেক কাজ করেছি। কাটানিশার ও আইরল এলাকায় বিদ্যুৎ কিছুটা দুর্বল রয়েছে। কাটানিশারে একটা ট্রান্সফরমার দরকার। ট্রান্সফরমার বসানো গেলে বিদ্যুতের লাইন ঠিক হয়ে যাবে। আমি সামনের বাজেটে চেষ্টা করব ট্রান্সফরমার দিতে। আর কোনো পুকুরে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখব।