সরাইল উপজেলায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) এলাকায় আটোরিকশার গ্যারেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত আমির খানের ছেলে। সে পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) সুমন মিয়ার রিকশার গ্যারেজে তার রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে যায়। এ সময় গ্যারেজে পরে থাকা বিদ্যুতের তার অসাবধানতাবশত জহিরুল ইসলামের বাম পায়ে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জীবন মিয়াসহ কয়েকজন লোক মিলে তাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক (টেলিফোন) বরাদ্দ পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় শাররীক অসুস্থ্যতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুবলীগ নেতা ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জি। বেলা ২টার পর থেকে ওঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকলেও তিনি বিকাল ৩টার সামান্য আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে জনগণকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওই ষ্ট্যাটাসের খবরে অনেকেই বলেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত শুনতে প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা তো অনেকের কাছে আপনার জন্য ভোট চেয়েছি। কাজ করেছি। কাজ করছি। এমনটি করা ঠিক হয়নি বলে কমেন্স করছেন। কেউ কেউ লিখছেন ভাল ও সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদেই মানায়। বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল মুঠোফোন। সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক আনতে চেয়ারম্যান পদের ৫ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে গেলেও যাননি রাজিব আহমেদ। ৪ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার কাজ শেষ। বাকি দুইজন। এরমধ্যে মো. মুখলেছুর রহমান ও রাজিব আহমেদ দু’জনই চেয়েছেন আনারস। লটারি করতে হবে। কিন্তু প্রার্থী রাজিবের অনুপস্থিতিতে লটারি করাও সম্ভব নয়। চলে অপেক্ষার পালা। বেলা ১২টায় মুখলেছুর রহমান রাজিবকে ফোন দেন। রাজিব বলেন আমি আসছি। তারপরও আসেননি রাজিব। পোনে ১টায় ফোন মুখলেছুর রহমান রাজিবের কাছে আনারস প্রতীকটি চান। রাজিব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে আনারস প্রতীকটি মুখলেছুর রহমানকে দিয়ে দিতে বলেন। তখনও রাজিব রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাননি। বেলা দেড়টার দিকে রাজিব আহমেদকে টেলিফোন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দের কিছুক্ষণ পরই বেলা ৩ টার সামান্য আগে রাজিব আহমেদের ফেসবুক ভেরিফাইড আইডিতে একটি ষ্ট্যাটাস। ষ্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন-প্রিয় এলাকাবাসী আস্সালামু আলাইকুম। আশা করি ভাল আছেন সবাই। আমি ব্যক্তিগত কিছু কারণে ও আমার শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে আসছে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমার শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত। আলহামদুলিল্লাহ। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতীক নিতে অফিসে আসেননি। একসময় মুঠোফোনে নির্বাচন করবেন না বলে জানান। কিন্তু আজকে তো আর প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই। ৪ টা পর্যন্ত অফিস চলবে আপনি আসেন। বেলা ২টার রাজিব আহমেদ বলেন আমাকে টেলিফোন প্রতীক দেন। ওই প্রতীকটি থাকায় উনাকে বরাদ্দ দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে অগ্নিকান্ডে একটি মার্কেটের ১১টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আজ ১০ মে শুক্রবার ভোরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় গেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরাইল উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার রিয়াজ মাহমুদ জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ সময় ১১টি দোকান পুড়ে যায়। এর মধ্যে হার্ডওয়্যার, সেলুন, মোবাইল বিক্রয় ও সার্ভিসিং সহ বিভিন্ন দোকান ছিল।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবদুল হাকিম মোতাঈদের ছেলে সুবেল মোতাঈদ (২৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও একই উপজেলার বেঙ্গাডোবা গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ আনু মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শনিবার রাতে উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকা ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মিজান মিয়া আনু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জলিল শাহ’র মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী সুবেল মোতাঈদ ও রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ গরুর হাট বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ওই অবৈধ হাটে গরু, ছাগল, মহিষও বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আজ ১০ জুন সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল-নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশ দখল করে বসেছে এ গরুর হাট।
সড়কের উপর অস্থায়ী বাঁশ, খুঁটি বসিয়ে গরু ও ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে। কালিকচ্ছ বাজারে কুরবানির পশুর হাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন অনুমোদন।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর, ধরন্তি থেকে আগত গরু বিক্রেতা কালাম ও সেলিমসহ একাধিক বিক্রেতা জানান, এলাকার নিকটবর্তী হওয়ায় তারা এ বাজারে গরু বিক্রি করতে আসছেন। তবে আরও কয়েকজন বলেন, বাজারটি ইজারা আছে। মজিদ নামে এক লোক চার লাখ টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদের কাছ থেকে ডেকে এনেছেন।
এ বিষয়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ বলেন, বাজারটি অনুমোদন নেই। গ্রামের লোকরা এমনিতে গরু নিয়ে বসে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া বলেন, বাজার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আর রাস্তার উপরে হাট বসানোর সুযোগ নেই।