চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান পৌর শহরের মধ্যপাড়া ভাউয়াল দিঘীর পাড়স্থ ছায়াবীথি’র বাসিন্দা প্রফেসর ড. এমদাদুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যপাড়াস্থ বাস বভনে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া গ্রামের বাড়ি নরসিংসার গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ অনুমান সাড়ে ৪টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী ২ কন্যা, ৪ ভাই ২ বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আলাকপুর ও কোড্ডায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের কলেজপাড়ার শওকত ভূইয়ার ছেলে ওমর ফারুক (১৮) ও নবীনগর উপজেলার দুরাইন গ্রামের মোকাদ্দেস মিয়া (৭০)।
জানা যায়, সুলতানপুর-আখাউড়া সড়কের আলাকপুরে দিগন্ত বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ওমর ফারুক ও ফজলে রাব্বি নামক দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ওমর ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। চিনাইর এলাকায় মোটর সাইকেল মেরামত শেষে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে জেলার খড়মপুর মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের কোড্ডা এলাকায় একটি ট্রাকের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা সাবেক সেনা সদস্য মোকাদ্দেস মিয়া গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু সংখ্যা চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ জন এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৬৫ জন।
আজ ১৪ জুন বুধবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলা ও একটি পৌর এলাকার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) মোট ৩০৬ টি ওয়ার্ডের ২হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ১৮জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এ সব কেন্দ্রে ৪১২জন স্বাস্থ্য সহকারি, ৯৬জন এ.এইচ.আই এবং ৪ হাজার ৮৬৬জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ক্যাম্পেইন নিয়ে কেউ যাতে কোন ধরনের গুজন ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
প্রেসব্রিফিং প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুনতাসির মনসুর।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, নজরুল ইসলাম বিল্লাল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সিপিবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ জামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম। ৮ দফা দাবিগুলো হচ্ছে :
১। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও আইসিইউ ব্যবস্থা চালু।
২। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো। ৩। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার দেয়া অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা চালকদের লাইসেন্স দেয়া ও স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
৫। পৌর এলাকার যানজট নিরসনে শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরন এবং শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন।
৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিবতি দেয়া সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন চালু।
৭। তিতাস নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখনন ও আশুগঞ্জ সেচ প্রকল্পের জন্য ড্রেন নির্মান।
৮। ভ‚মি অফিসের দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানী বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ১৫৪ বছরের পুরানো এই পৌরসভার নাগরিক সেবা নেই। পৌরসভা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এক রাস্তার শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কোন রাস্তা নির্মিত হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রতিটি রাস্তায় পানি জমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কৃতির রাজধানী হলেও নানাভাবে সংস্কৃতিকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন টিকেট কালোবাজারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রকৃত রিকসা চালকদেরকে লাইসেন্স না দিয়ে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। কোন কোন ব্যক্তি শতাধিক ও অর্ধশতাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। যার দরুন প্রকৃত রিকসা চালকরা কোন লাইসেন্স পায়নি। তিনি বলেন, অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে তারা আগামী ২১ আগষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন ও পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক আছমা খানম, জেলা সিপিবির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অসীত রঞ্জন পাল, আহমাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সদস্য মোঃ শাহজাহান ও আল- মামুন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন-জীবনমান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। শেখা এবং জানার মধ্যে দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগোষ্ঠিকেও আমরা এমন ভাবে দেখতে চাই যারা দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে চেনে মারামারি, কাটাকাটি, দুর্ণীতি-লুটপাটের কারনে। একটা ভালো কোন জায়গায় আমাদের নাম নেই। ক্রীড়া বা অন্য যেকোন ব্যাপারেই বলি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ছোট দেশ আন্তর্জাতিকভাবে ভালো অবদান রাখছে।
আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা,যুব ঋনের চেক-সনদপত্র এবং শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন ও আত্মকর্মী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যােগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনজুর রহমান,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুর রহমান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি মো: আরজু মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আমীর আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদ্যােক্তা আবু হানিফ তালুকদার, নাঈমা আক্তার উর্মি,আফসানা আক্তার, সাদ্দাম হোসেন, পান্না বেগম এবং ছাত্র প্রতিনিধি বায়েজিদুর রহমান সিয়াম ও মেহেরুন্নেছা মুনিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হচ্ছে তিনদিনের অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শুরু হয়ে মেলা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে মেলাটি। মেলায় ২০ টি বইয়ের স্টল থাকবে। প্রতিদিন বিকাল থেকে চলবে আলোচনা, কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাউল সঙ্গীতের আসর। মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকরা অংশ গ্রহণ করবেন। মেলার শেষদিন অদ্বৈত পুরস্কার-২০২৪ মরণোত্তর হিসাবে প্রদান করা হবে প্রখ্যাত অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে। পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হবে ফুল, উত্তরীয়, সনদপত্র ও নগদ ২৫ হাজার টাকা। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় অমর কথাশল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভূমি শহরের গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলা একাডেমীর চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো.আ.কুদদূস।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অদ্বৈত মেলার পুরস্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অদ্বৈত মেলার প্রচার কমিটির আহবায়ক মো.মনির হোসেন।
অদ্বৈত মেলার আহবায়ক মো.আ.কুদদূস বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান ও আন্তর্জাতিক মানের কথাশিল্পী। আমরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রান্ড হিসাবে তার স্মরণে তিনদিনের মেলার আয়োজন করেছি। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় এখানকার মানুষের সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নেবে। মেলায় দেশ-বিদেশের কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরো অংশগ্রহণ করবেন। অদ্বৈত স্মরণে তাঁর জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অদ্বৈত গণগ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, মুক্তমঞ্চ।