অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পৃথক হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। অন্যদিকে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এ ছাড়া শিশু আলিফ অপহরণ মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল কাফীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এসব আদেশ দেন। প্রত্যেক আসামির ক্ষেত্রেই ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা শক্ত হাতে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার আরেক আসামি ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিন চান তাঁর আইনজীবী। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শহীদুল হকের রিমান্ডের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে শহীদুল হকের জামিন চান তাঁর আইনজীবী। শুনানিতে শহীদুল হক বলেন, তিনি কোনো হত্যার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি নিরপরাধ। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি শিশু আলিফ অপহরণের অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় আবদুল্লাহিল কাফীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হককে গ্রেপ্তারের কথা গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়, শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই সরকারে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। সরকার পতনের পরদিন তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফীকে গত সোমবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করার কথা জানানো হয়। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল কাফীর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় আজ ২ আগস্ট বুধবার দুপুরে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মাদক চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহাম্মদ রফিক নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তিনি টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের এ-ব্লকের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিবিজির এক সদস্যসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তথ্য পেয়ে বিজিবির একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারি জাফরকে আটক করে। এ সময় স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রধান সড়কে উঠলে তারা জড়ো হয়ে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বিজিবির সদস্যরা তাদের সরানোর চেষ্টা করে। সেখানে লোকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আমিও শুনেছি। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এলাকাবাসী জানায়, লেদায় দুপুরে মাদক চোরাকারবারি জাফরকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে পথচারী এক রোহিঙ্গাসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন, টেকনাফের লেদা গ্রামের বাসিন্দা রাজু, ইসমাইল, গুরা মিয়া, হাফেজ মুজিব।
টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, লেদায় স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির সংর্ঘষে আমার ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা মারা গেছে। তিনি পথচারী ছিলেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, বিজিবির অভিযানে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হুদা বলেন, একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষের ঘটনায় একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ভীতির মধ্য রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফরিদ আলম জানান, জাফর নামে একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিজিবি গুলি চালায়। এতে একজন রোহিঙ্গাসহ আরো কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বেড়েছে। ভয়ে আছেন স্থানীয়রা।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকার পতনের একদফা আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট এবং ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এসব লুট হওয়া অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
এছাড়া এর আগে বেসামরিক জনগণকে গত ১৫ বছরে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সূত্র : যুগান্তর
চলারপথে রিপোর্ট :
এনটিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা ‘পিএইচপি কুরআনের আলো’-এর রানার্সআপ হাফেজ ক্বারী সালমান ফারসিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা গ্রামে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য আলেম-উলামা ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তাকে স্বর্ণপদক দেয় সৈয়দ মুর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদ।
সৈয়দ মাসউদ বখত কায়েদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী, পীর মাওলানা আলাউদ্দিন আল কাদেরী, নাসিরনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ হুসেন চিশতী, খান্দুরা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সৈয়দ মুর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সাজ্জাদ মুর্শেদ সোহান, সৈয়দ রাফিউল আব্দাল এবং সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সৈয়দ মুর্শেদ কামালের বড় সন্তান সৈয়দ শাফায়েত মুর্শেদ শুভ।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতেই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। সেটার একটি সফলতা আনার জন্য কাজ করবো।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্বস্তিকর বলে যে মন্তব্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন করেছে, সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বচনকালীন সময়ে কোনো সহিংসতা ছিল না। কোনো দেশের নির্বাচনের সময় স্কারমিসেচস (আন্তঃকোন্দল) যেটা হয়, ততটুকুই হয়েছে। এমন কোনো বড়ো ঘটনা ঘটেনি, যেটাকে অনেক সহিংসতা বলা যায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাদের মামলা এখনো চলমান। বিচার আদালত করেন, সরকারের কোনো হাত নেই। আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবো। কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত কারণে তিনি এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
সুশাসন নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার দেশবাসীর প্রতি এবং নির্দেশনা আমাদের প্রতি, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনেক অগ্রগতি সাধারণ করেছে। প্রথম কথা হলো, কোভিড মহামারি ছিল, তখন বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চ্যুয়াল আদালত স্থাপন করে আমরা বিচার ত্বরান্বিত করা হয়েছে। কারাগারেও যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক মামলার সুরাহা করা হয়েছে। আমরা অনেক আইন করেছি, বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন। এই আইনে যে সংশোধন করা হয়েছে, নারীদের ইজ্জতের ব্যাপার ছিল সেখানে। এটি একটি বিরাট পদক্ষেপ। এভাবে আমরা অনেক আইন করেছি। তারপর নির্বাচন আইন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যে আইন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে যে আইন করা হয়েছে, তাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগই যথেষ্ট কাজ করেছে। তাতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বহুদিন ধরে মামলা জটের বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় গেল ১০-১৫ বছর আমাদেরকে এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর এলাকার পুকুর হতে মাছ ডাকাতির সময় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ১৪জন সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে র্যাব-৫।
আজ ১১ অক্টোবর বুধবার ভোররাতে ১৯ বস্তা মাছসহ তাদের গ্রেফতার করেন র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এই তথ্যগুলো জানান।
আটককৃতরা হলো, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিষ্ণু দাসের ছেলে শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), একই উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার সরদারের ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫), মৃত ওমরচান সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার (৩৬), জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্রী সুবিন্দ চন্দ্রের ছেলে শ্রী রিমন চন্দ্র (২১), শ্রী বিরেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বিফল চন্দ্র দাস (২৪), শ্রী ঝড়– চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র দাস (২১) ও শ্রী প্রনব চন্দ্র দাস (২২), জিয়াপুর গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী উজ্জল চন্দ্র দাস (২৮), মৃত নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), মৃত হরেন হাওলাদারের ছেলে শ্রী মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পাঁচবিবি উপজেলার কুসুমবাগ গ্রামের সায়েদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭), ও ধুরইল গ্রামের মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ড্রাইভার মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮)। আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ লুট করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ সরদারপাড়ার আবুল কালাম আজাদের পুকুরে মাছ লুট করে পিকআপে লোড করার সময় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উক্ত ডাকাত চক্রের সদস্যদেরকে হাতেনাতে আটক করে।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে কার্প জাতীয় মাছ-৩৬৫ কেজি, মাহিন্দ্রা পিকআপ-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), মাছ ধরার জাল-০২ টি, মোবাইল ফোন-০৫টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), সিম কার্ড- ১০ টি, চাকু-০১ (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) ও ছোট হাসুয়া-০১টি (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ডাকাত দলের নেতা শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জনের একটি দল রয়েছে।
তারা নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে এই ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে,দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত বলে জানায়।
আটককৃতদের আত্রাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার।