অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসেবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৬ হিজরি, ২০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পঞ্চগড়ে ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ে ১৪ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা কর্মসূচির শুরু উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সরকারি অডিটরিয়াম চত্ত্বরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও জেলা বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিয়াজ উদ্দিন। পরে মেলায় অংশ নেওয়া নার্সারি স্টলগুলো পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
পরে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন, বিভাগীয় সহকারী বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার, পঞ্চগড় বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মধূসদন বর্মন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার শেষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের হাতে ফলজ বনজ ও ওষুধি গাছের চারা তুলে দেন অতিথিরা।
এবারের মেলায় ৩০টি স্টলে ১৪ দিনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার চারা বিক্রির আশা করছেন বন বিভাগ।
এর আগে বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকার গুলশানে পুলিশ সদস্য ও চলাচলরত যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ছেন আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা।
আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশান-১ নম্বর গোল চত্বর থেকে পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে সড়ক খুলে দিলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।
ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকটি যানবাহনের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সড়কে চলাচলরত পথচারীদেরও দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, দুপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকা গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপরই ব্যবসায়ীরা সড়কে অবস্থান নেন সিলগালার প্রতিবাদে গুলশান শপিং সেন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান, বনানীসহ এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ নম্বরে সিটি করপোরেশন একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সড়ক দখল করে রাখেন। আমরা তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবিদাওয়া জানানো এবং বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছি।
মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে কথা বলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ করে রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ঈদের মতো এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
চারটি কাউন্টারে বিক্রি হবে শুধু দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট। ঈদ যাত্রায় কেনা অগ্রিম টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।
২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।
গত ঈদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দিনের শুরু থেকেই রেলের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা আশানুরূপ টিকিট পায় না। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। আবার সার্ভারেও অনেক বেশি চাপ তৈরি হয়। তাই এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
২৪ মে বুধবার রেল ভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিসংক্রান্ত বৈঠক হয়। এতে রেলের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আগামী ২৯ বা ৩০ জুন ঈদ ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। আগামী ৩০ মে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা তুলে ধরার কথা রয়েছে।
১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের ও ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
ঈদ যাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে।
আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব: রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচদিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।
ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশে।
এই ঈদকে কেন্দ্র করে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা পথে।
শুধু চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট: ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।
যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি ইঞ্জিন: রেলের অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ঈদ যাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটার গেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ বগি আনা হবে।
এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় আজ ২ আগস্ট বুধবার দুপুরে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মাদক চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহাম্মদ রফিক নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তিনি টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের এ-ব্লকের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিবিজির এক সদস্যসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তথ্য পেয়ে বিজিবির একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারি জাফরকে আটক করে। এ সময় স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রধান সড়কে উঠলে তারা জড়ো হয়ে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বিজিবির সদস্যরা তাদের সরানোর চেষ্টা করে। সেখানে লোকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আমিও শুনেছি। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এলাকাবাসী জানায়, লেদায় দুপুরে মাদক চোরাকারবারি জাফরকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে পথচারী এক রোহিঙ্গাসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন, টেকনাফের লেদা গ্রামের বাসিন্দা রাজু, ইসমাইল, গুরা মিয়া, হাফেজ মুজিব।
টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, লেদায় স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির সংর্ঘষে আমার ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা মারা গেছে। তিনি পথচারী ছিলেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, বিজিবির অভিযানে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হুদা বলেন, একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষের ঘটনায় একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ভীতির মধ্য রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফরিদ আলম জানান, জাফর নামে একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিজিবি গুলি চালায়। এতে একজন রোহিঙ্গাসহ আরো কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বেড়েছে। ভয়ে আছেন স্থানীয়রা।
অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জে ২০০৮ সালে সোনারগাঁয়ের মতো অজপাড়াগাঁয়ে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত ‘বাংলার তাজমহল’র ফটক সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বসানো টাইলস, বিদেশি ডায়মন্ড ও পাথর, গম্বুজের ওপরে ব্রোঞ্জের তৈরি চাঁদ-তারায় আরো দৃষ্টিনন্দন বাংলার তাজমহল। এখানে প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ৫০ টাকা।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক আহসানউল্লা মনি নিজস্ব অর্থে পেরাব গ্রামে নিজ বাড়িতে ১২ বিঘা জমির ওপর তাজমহলটি নির্মাণ করেন। তাজমহলে ব্যবহৃত টাইলস আনা হয়েছে ইতালি থেকে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ১৭২টি বিদেশি ডায়মন্ড ও পাথর। গম্বুজের ওপরে চাঁদ-তারা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে চার মণ ওজনের ব্রোঞ্জ।
সম্রাট শাহাজাহান তার প্রিয়তমা স্ত্রীর সমাধির ওপর ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ তাজমহল নির্মাণ করেন। যা বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সময়ের আবর্তে তাজমহলটি এখন বিশ্ববাসীর ভালোবাসার মহান স্মৃতির চিহ্ন বহন করছে। এ কারণেই দেশের সাধারণ মানুষ যারা তাজমহল দেখতে ভারতের আগ্রায় যেতে পারবেন না তারা অনায়াসেই বাংলার তাজমহলটি দেখতে পারবেন।