চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী পূর্বপাড়ায় তিতাস নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি ম. মোজাফফর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী পূর্বপাড়ায় তিতাস নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিতাস নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পর্শে মুজাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন। আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুরাতন কাচারী এলাকায় নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মুজাহিদ জেলার সরাইল উপজেলার উচালিয়া পাড়ার মৃত অলি মিয়ার ছেলে। সে বিদেশে যাওয়ার জন্য গত ৬ মাস ধরে পাইপ ফিটারের কাজ শিখছিল।
মুজাহিদের সহকর্মীরা জানান, সোমবার মডেল মসজিদে কাজ করার সময় মুজাহিদ পানির পাইপ নিয়ে দোতলায় যাওয়ার সময় সেখানে থাকা বিদ্যুতের লাইনে পাইপ লেগে বিদ্যুৎস্পর্শে সে আহত হয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা শহরের একটি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, মডেল মসজিদে কাজ করার সময় মুজাহিদ বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায় বলে শুনেছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেছেন “মাজলুম ওলামায়ে কেরাম” নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উম্মুল কোরআন মাদরাসার মোহতামিম মুফতি উবায়দুল মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতন হওয়া স্বৈরাচারি সরকার গত ১৬ বছর এদেশে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলায় জেলার ৬৪জন আলেম দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর গুলিতে ১৬জন আলেম ও মাদরাসার ছাত্র শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫৬টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। নেতৃবৃন্দ এসব মামলা সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ২০২১ সালে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি এবং ২০২১ সালে চাকরিচ্যুত আলেম-ওলামাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িতরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা নিয়ামুল করিম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা খন্দকার ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী, ২৫০ শয্যা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দালালের দৌরাত্ম প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ, সকল ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্ব আরোপের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনের স্মৃতির ধারক বাহক সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
১ নভেম্বর দিবাগত শুক্রবার রাতে শহরের মৌলভীপাড়াস্থ বর্তমান অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সহ-সভাপতি মোঃ সামসুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, আইন সম্পাদক অ্যাড. মোঃ আক্কাস আলী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, জেলা উন্নয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, শরীফ আহমেদ খান, ডা. মোফাকখারুল ইসলাম, মোঃ হারুন আল রশিদ, মোহাম্মদ আমির ফারুক।
কোরআন তিলাওয়াত এবং দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ সারোয়ার কাইছার টিপু।
উপস্থাপনা করেন জেলা উন্নয়ন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলী আসিফ গালিব, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি এজাজ আহাম্মেদ মনির, শফিউল আলম কাজল, মাসুদুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, বশির আহমেদ, সৈয়দ সালাউদ্দিন রকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। বক্তারা সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণে গুরুত্ব আরোপ করেন। পরে উৎসব মুখর পরিবেশে কেক কাটা হয় এবং জেলা আন্দোলন দিবস বাস্তবায়নে আগামী ৯ নভেম্বর পরামর্শ সভায় সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট ডটকমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পিতবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্ত্বর থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন গণমাধ্যম কর্মী, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও সামাজিব সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকাপোস্ট ডটকমের জেলা প্রতিনিধি বাহাদুর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাইজুর রহমান ফয়েজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রচার সম্পাদক ডা. খোকন দেবনাথ এবং আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু হামেদ বাবু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান এবং নোঙর এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র এবং সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজের অসঙ্গতির পাশাপাশি এখন পজিটিভ বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার খবরগুলোও উঠে আসছে গণমাধ্যমে। এক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো সবার আগে খবর পৌঁছে দিচ্ছে পাঠকদের কাছে। এক ক্লিকেই এখনকার ঘটনার খবর এখনই মিলছে। বক্তারা আরও বলেন, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সরকারের- সেটি বাস্তবায়নে ঢাকাপোস্টের মতো প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পরে আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা ঢাকাপোস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
কেক কাটা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, মজিবুর রহমান খান, আশিকুর রহমান মিঠু, আজিজুর রহমান পায়েল, শফিকুল ইসলাম, আবুল হাসনাত রাফি, আজিজুল সঞ্চয়, ইফতেয়ার রিফাত, মেহেদী নুর পরশ, আবুল হাসনাত অপু, মাফুকুর রহমান জ্যাকি, আনিসুল হক রিপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শ্লোগানকে সামনে রেখে আইন সহায়তা প্রদান কার্যক্রম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আদালতের সহায়ক কর্মচারীদের ভূমিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ ১০ জুন সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার সুমি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ শাহেদুল আলম।
কর্মশালায় জেলা জজশীপ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।