চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, গুজব, মাদক, মানব পাচার, অপপ্রচার, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার কসবা উপজেলা বিআরডিবি সম্মেলন কক্ষে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপপরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: শরীফুর রহমান ও কসবা উপজেলার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: রাসেল। নৈতিকতার উপর জোর দিয়ে বক্তরা বলেন, সুশিক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে হবে। দেশ গঠনে ছাত্র ও যুব সমাজের অংশগ্রহণ করতে হবে। সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার নির্মূল করে একটি স্বচ্ছ সমাজ গড়তে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সমাজে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে তাহলেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব হবে। বক্তারা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ব্যতিত এদেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়নে নারী পুরুষকে সমান অবদান রাখতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় ইমরুল হোসেন (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কের পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইমরুল পৌর শহরের আড়াইবাড়ী গ্রামের ইমতিয়াজ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে এসে পৌর শহরের কদমতলী মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। এসময় সৈয়দাবাদের দিক থেকে আসা মাটিবাহী ট্রাক্টর শিশু ইমরুলকে চাপা দেয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মস্তিস্ক বের হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই শিশু ইমরুলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিশু ইমরুলদেও পরিবার কসবার আড়াইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তাদেও বাড়ি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাড়ানী গ্রামে। ইমরুলের বাবা একজন অটোরিক্সা চালক। ইমরুল পৌরশহরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় টিকটক করতে বাধা দেয়ায় তানিয়া আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার ভোরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তানিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে মেরে ফেলেছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তানিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে এনামুল হকের সাথে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার মেয়ে তানিয়া আক্তারের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য তানিয়ার উপর নির্যাতন করতো স্বামীর বাড়ির লোকজন। এসব বিষয় নিয়ে আগে একাধিকবার সালিশ সভাও হয়েছে। তার দাবি, শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়ে নির্যাতন করে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে স্থানীয় মেম্বার তাকে তার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানায় ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, গৃহবধু তানিয়া টিকটক করতো। স্বামী এনামুল হক সৌদি আরবে থাকেন। অন্য ছেলেদের সাথে টিকটক করার ছবি স্বামী এনামুলের নজরে আসলে প্রবাস থেকে স্ত্রী তানিয়াকে এসব করতে নিষেধ করেন। স্বামীর অবাধ্য হওয়ায় একপর্যায়ে স্বামী এনামুল এসব ছবি তার শ্বশুড়ের নিকট পাঠানো হবে বলে স্ত্রীকে ধমক দেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমলিন্যের সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে তানিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তিনি। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজু আহাম্মেদ জানান, গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি নৌকাও জব্দ করা হয়।
গতকাল রবিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ময়দাগঞ্জ বাজারের তিতাস নদীর ঘাট থেকে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলার আহমোদাবাদ গ্রামের জহর লাল চন্দ্র দাস (৫৬), বিজয়নগর উপজেলার কাশীনগর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৫৫), একই গ্রামের মোঃ শহীদ মিয়া (৫০) ও একই উপজেলার উথারিয়াপাড়ার তুষার (১৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১ টার দিকে উপজেলার ময়দাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে তিতাস নদীর ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়।
পরে ওই নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় জুলাই-আগস্ট শহীদদের স্মরণে এবং তাদের আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ ১৯ জুলাই শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে শহীদ জোবায়ের ওমর খানের স্মরণে একাডেমিক ভবনের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করা হয়।
বৃক্ষরোপণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম। তিনি জানান, শহীদদের স্মৃতিকে ধারণ করতে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁর নামে একটি করে গাছ রোপণ করা হচ্ছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তসলিম মিয়া, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. জায়েদ হোসেন, উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. বাছির আহাম্মদ, কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের স্বপন ও সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি সবুজ খান জয় প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও কর্ণফুলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেন দুটি এক থেকে দুই ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করেছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা স্টেশনে ও চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের “গ”-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া “গ”-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘন্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে কসবা স্টেশন ত্যাগ করে। অপর দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। পরে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘন্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ঘন্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।