চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান দামাত বারাকাতুহের নেতৃত্বে আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া শহীদ মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, শহীদ হোসেন মিয়া, শহীদ সাজিদুর রহমান ওমর পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লামা মুফতি মোবারক উল্লাহ দামাত বারকাতুহুম, মাওলানা আব্দুল হাফিছ নাটাই প্রমুখ।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, আমাদের এই অনুদান অব্যাহত থাকবে এ বৈষম্য বীরুদি আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যতজন শহীদ হয়েছে প্রত্যেকের পরিবারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলাম অনুদান প্রদান করবে। শেষে আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ শহীদ সাজিদুর রহমান ওমর এর কবর জিয়ারত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি না পেয়ে এক নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে ডিবি পুলিশের সদস্য রেজাউল করিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করা হয়।
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ আদালতের বিচারক বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপীর বরাবর অভিযোগটি জমা দেন ভোক্তভোগী বন্যা বেগম।
আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগে সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকার এনামুল হক, একই এলাকার তার স্বজন সামসুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম ও ভাই মো. সাগর এবং ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমসহ ডিবি পুলিশের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তার করতে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আসামি নুরুল ইসলামকে না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরসহ একপর্যায়ে ডিবির সদস্য রেজাউল করিম আসামির স্ত্রী বন্যা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) হাবিবুল্লাহ সরকার।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দায়ের করা মমালার বাদী এনামুল হক, তার আত্মীয় সামছুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম এবং ভাই মো. সাগর সঙ্গে পুলিশকে নিয়ে ভূক্তভোগীর বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বাড়িতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আসামি নুরুলের স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩) ও তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বন্যার মাথায় বন্দুক তাক করেন। দুটি গুলিও করে ডিবি সদস্যরা।
বন্যা বেগমের আইনজীবী মো. শওকত আলী বলেন, সোমবার ভুক্তভোগী বন্যা বেগমের বাড়িতে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা, শিশুসহ কয়েকজনকে মারধর দুটি গুলি করেছেন ইত্যাদি উল্লেখ করে এজাহার আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এই এজাহারের বিষয়ে আদালতে কোনো শুনানি হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এতে সাবেক তিন মন্ত্রী, এক এমপিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক তিন মন্ত্রী হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল।
২৯ আগস্ট বুধবার রাতে সুহিলপুর ইউনিয়নের হারিয়া গ্রামের বাবুল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আসামিদের মধ্যে সবাই জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা ও সাবেক জনপ্রতিনিধি। তা ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন হয়েছিল।
তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিসিক এলাকায় আন্দোলনে যোগ দেন বাবুল মিয়ার ভাই জহিরুল ইসলাম। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলি ও বোমা বর্ষণে জহিরুল মারা যান। মামলায় সাবেক এমপি মাইনুদ্দিনকেও আসামি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি এ রোডে অবস্থিত ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ১৪৪৫/৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষের সবক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ ৬ মে সোমবার বাদ মাগরিব মাদরাসা মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ।
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান এর পরিচালনায় উক্ত দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরামদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা আখতারুজ্জামান, ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহ:) এর সাহেবজাদা হাফেজ অলি উল্লাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়ের পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী আব্দুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, ফখরে বাঙ্গাল (রহ)’র দৌহিত্র মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, কারী হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহঃ) ‘র নামে ” ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা”র সবক অনুষ্ঠানে আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র দেহ থাকলেই একজনকে মানুষ বলা যাবে না, মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর ঐ শিক্ষা-ই একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ গড়তে সহায়তা করে যে শিক্ষা আল্লাহ প্রদত্ত, অর্থাৎ এলমে ওহী তথা কুরআনী শিক্ষা।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তবে সে শিক্ষা হলো কুরআনের শিক্ষা। কুরআনের শিক্ষা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষা একজন মানুষের জন্য মেরুদণ্ড না হয়ে মৃত্যুদন্ড হয়ে দাঁড়ায়।
মুফতী মুবারকুল্লাহ ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে যেন উম্মতের আগামী প্রজন্মের পথপ্রদর্শক তৈরি হয়ে দেশ জাতি মুসলিম মিল্লাতের ঈমাণ আমলের হেফাজতে ভূমিকা পালন করতে পারে সেদিক খেয়াল রেখেই ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি আমল আখলাকের প্রতি সচেতন থাকার জন্য মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
এলেম আমল ও উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আদর্শ ও সুনাগরিক তৈরি করতে ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে অন্যান্য অতিথিবৃন্দগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে মাদরাসার উন্নতি কল্পে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।
উক্ত দোয়া মাহফিলে উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিকবৃন্দ সহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ এর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর সোমবার তারিখে নির্বাচনী উপ কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এই তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর ২০২৪ইং রোজ শনিবার। নির্বাচনের মনোনয়পত্র বিলি করা হবে আগামী ২ ও ৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার ও রোববার প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করা যাবে ৪ ও ৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হবে ৬ নভেম্বর ২০২৪ইং, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার। এইদিন সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতী দিয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চলবে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি