চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান দামাত বারাকাতুহের নেতৃত্বে আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া শহীদ মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, শহীদ হোসেন মিয়া, শহীদ সাজিদুর রহমান ওমর পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লামা মুফতি মোবারক উল্লাহ দামাত বারকাতুহুম, মাওলানা আব্দুল হাফিছ নাটাই প্রমুখ।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, আমাদের এই অনুদান অব্যাহত থাকবে এ বৈষম্য বীরুদি আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যতজন শহীদ হয়েছে প্রত্যেকের পরিবারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলাম অনুদান প্রদান করবে। শেষে আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ শহীদ সাজিদুর রহমান ওমর এর কবর জিয়ারত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ১২ মার্চ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
সভায় মাহে রমজান উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিং, মাদক বিরোধী টাস্কফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন ও আজমপুর স্টেশনে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার, শহরের যানজট নিরসন, রমজান মাস উপলক্ষে শহরের কয়েকটি রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা, শহরের পুরাতন কোর্ট রোড, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ও ফরিদুল হুদা রোডের সান্ধ্যকালীন মাছ বাজার ও নিউ মার্কেটের পেছনের কসাইয়ের দোকানগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় রমজান মাসে টিসিবি ও ওএমএসের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা মার্চ মাসের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ছাড়া সকল ধরনের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, রমজান মাসে কোন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি ব্যাংকে বড় অংকের টাকা লেনদেন করেন এবং ওই ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি পুলিশের সহায়তা চান তাহলে পুলিশী নিরাপত্তার মাধ্যমে তারা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে জনপ্রতিনিধিদেরকেও কাজ করতে হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানগণ, ৯ উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি যে পরিকল্পিত কোনো হামলা নয় সেটি স্পষ্ট করেছেন বাসের চালক মো. আসাদুল হক।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সাথে কারো কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে কথা, কথাও হয়নি বলে তিনি জানান।
তবে, এর আগে ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে দাবি করেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। একইসঙ্গে ভারতীয় একাধিক পত্রিকায় এ নিয়ে প্রকাশিত খবরে ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে যায়।
এ সময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ছিল ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক তাৎক্ষণিকভাবে বলেন, ‘একটি ট্রাক উল্টা দিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশা বাসটিতে ধাক্কা খায়।
তিনি আরো বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে নেমে একটি রেকার আনার ব্যবস্থা করে অটোরিকশাটি সরিয়ে নেই। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে চলে যেতে বলে। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
সংবাদ সম্মেলনে চালক বলেন, ‘চলার পথে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এমনই একটি দুর্ঘটনা এটি। দুর্ঘটনাও একেবারে সাধারণ। এটি মোটেও পরিকল্পিত নয়। পরিকল্পিত হামলার কথা শুনে রীতিমতো হাসি পায়।’
সংবাদ সম্মেলনে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট বায়জিদ মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তারা ছুটে যান। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক মো. ইব্রাহিম সামান্য আহত হন। বাসের চালক ও অটোরিকশাচালকের মধ্যে সমঝোতা করে যে যার মতো চলে গেছেন।
এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা রাজধানী আগরতলা থেকে আন্তঃদেশীর শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস চলাচল করে। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় এই বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রং দেওয়া হচ্ছে, যা সত্য নয়। এটা নিছক একটা দুর্ঘটনা। এখানে সাম্প্রদায়িক গন্ধ খোঁজার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো জানান, এই সড়কটি ভারতীয় একটি কোম্পানি নির্মাণ কাজ করছে। এই সড়কের এক লেনে যান চলাচল করে। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় সময় ঘটে থাকে। দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও ডেলিভারি ম্যান কর্তৃপক্ষের লোকজন কথা বলে নিষ্পত্তি করেন। বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়া এ দুর্ঘটনা নিয়ে রং ছড়াচ্ছেন। এটা স্রেফ দুর্ঘটনা, কোন হামলা নয়।
এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, ভোক্তাবিষয়ক, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। শনিবার বিকেলে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে বাসটি যে বাংলাদেশের বিআরটিসি পরিবহনের, সেটি তিনি লেখায় উল্লেখ করেননি।
এ ব্যাপারে আজ ১ ডিসেম্বর রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ‘একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এখানে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।’
চলারপথে রিপোর্ট :
স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে দেশে এখন আর কোন মানুষ অভুক্ত থাকেনা। মানুষ যাতে কোন ধরনের কষ্ট না করে সেজন্য করোনা মাহামারীর সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছেন।
তিনি আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের নতুন ভবনের নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পরে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণী সম্পদের প্রতি খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাণী সম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পদ মর্যাদা দিয়েছেন। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে চলমান লোক ও কারুশিল্প মেলা সংক্ষিপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আসন্ন রমজানে বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে মেলা সংক্ষিপ্ত করার জন্য আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন শহরে এসে বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা করেন। এ জন্য ব্যবসায়ীরা বাড়তি অর্থ লগ্নি করেন ব্যবসায়। এ অবস্থায় রমজানকে সামনে রেখে মেলা চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা আবারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই জেলা শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতানের ব্যবসায়ীরা চলমান লোক ও কারুশিল্প মেলা দীর্ঘায়িত না করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ব্যবসায়ীদের মেলা দীর্ঘায়িত না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা শহরের নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কালাম, সড়ক বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ পাল, এফ. এ. টাওয়ার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার রায়, আশিক প্লাজা ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশিক প্লাজা ব্যবসায়ী কমিটির প্রচার সম্পাদক জুম্মান খান ও সমবায় মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন রকিব প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটারে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা। আগামী ২৮ ফেরুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলার কথা রয়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৭০টি স্টল দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে।
৩১ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়াস্থ জেলা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর।
নামাজে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জেলা জামায়াতের আমির মোবারক হোসেন আকন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
খুতবা পাঠ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও শহরের ট্যাংকের পর জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, কাউতলী নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম, ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর ঈদগাহ ময়দান, ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণ, পূর্বমেড্ডা বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, শরীফপুর ঈদগাহ মাঠ, মধ্যপাড়া ভাওয়াল দিঘীরপাড় মসজিদসহ জেলার ৭৮০টি ঈদগাহ ও ৫১০টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।