অনলাইন ডেস্ক :
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উচ্চতা প্রায় ৮ হাজার ফুট। এই উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ দলের। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভুটান গেলেও উচ্চতার কারণে জামাল-তপুদের যে সমস্যা হচ্ছিল, সেটি শোনা যাচ্ছিল।
বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফুটবল দল জয়ের দেখা পেয়েছিল। তারপর ১০ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল এর মাঝে খেলেছে ছয় ম্যাচ, যার পাঁচটিতেই পেয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলটি অবশেষে জেতার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় ভুটানের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ জিতেছে। গোলদাতা শেখ মোরসালিন জয়ের নায়ক।
খেলার ছয় মিনিটের মাথায় অতিথি দল এগিয়ে যায়। ডানপ্রান্ত দিয়ে তৈরি হওয়া আক্রমণে রাকিব হোসেনের ক্রস ডি বক্সে উড়ে আসলে বলে পাঞ্চ করেন ভুটানি গোলরক্ষক তিশেরিং ধেনদুপ। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোরসালিনের পায়ে বল লাগে। সুযোগ বুঝে মাটিতে পড়ে থাকা গোলরক্ষককে কাটিয়ে এই ফরোয়ার্ড ডান পায়ের টোকায় ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন।
নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে তখন গড়িয়েছিল প্রথমার্ধের খেলা। চোট পাওয়া রাকিব হোসেন মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে রেফারি খেলা থামিয়ে দেন। মাঠে স্ট্রেচার নিয়ে কয়েকজন প্রবেশ করেন। ঠিক তখনই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। স্ট্রেচার বহনকারীদের একজন আকস্মিকভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
ঘটনার আকস্মিকতায় বাংলাদেশ ও ভুটান দলের ফুটবলাররা হতভম্ব হয়ে পড়েন। মেডিকেল স্টাফ দৌড়ে মাঠে ঢুকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্যক্তির বুকে বারবার চাপ দিতে থাকেন। এ সময় ফুটবলাররা তাকে ঘিরে ধরে রাখেন।
দ্রুততম সময়ের ভেতর মাঠে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে অজ্ঞান থাকা স্ট্রেচার বয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খানিক পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের খেলা আবারো শুরু হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই গোলের মুখ না দেখায় একমাত্র গোলের জয় নিয়ে বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ভুটানের বিপক্ষে এটি দলটির ১১তম জয়। মোট ১৩ দেখায় দুইবার হয়েছিল ড্র। একটিতে পায় পরাজয়ের স্বাদ।
নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী দিন মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নেপালের মুখোমুখি হবে ইয়াং টাইগ্রেসরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৬ দলকে নিয়ে প্রথমবারের মত নারী অনূর্ধ্ব-১৯-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারও চার গ্রুপে ১৬টি দল অংশ নেবে। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড।
গত ডিসেম্বরে নারী অনূর্ধ্ব-১৯-টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ রানার্স-আপ হয়েছিল। ভারতের কাছে ফাইনালে হেরেছিল তারা।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে দলের অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার বলেছিলেন, ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ সামনে এগোতে চাই। আমাদের দলটা অনেক ভালো। দলের শক্তির জায়গা কোনটি আমরা তা জানি। সুতরাং নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভাল কিছু হবে আশা করছি।’
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর ২০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া ও ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এই টুর্ণামেন্টের প্রথম আসরে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
তাই এবার অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। সুমাইয়া বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বা অন্য যে দলই হোক আমরা আমাদের খেলা খেলবো। আমরা মনে করি বরং অস্ট্রেলিয়াই আমাদের ভয় পাবে।’ বিশ্বকাপের আগে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সুপার ওভারে হারায় তারা।
এবার চার গ্রুপের প্রতিটি থেকে সেরা তিনটি করে দল সুপার সিক্স পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে দুই গ্রুপের শীর্ষ দু’টি করে দল সেমিফাইনালের টিকিট পাবে। ৩১ জানুয়ারি সেমিফাইনাল এবং ২ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আসিমা ইরা (সহ-অধিনায়ক), মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইয়াসমিন, আনিসা আক্তার সুবহা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, লাকি খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার ও সাদিয়া ইসলাম।
স্ট্যান্ড বাই : আশরাফি ইয়াসমিন অর্থি, লেকি চাকমা, অরভিন তানি, মেহেরুন নেসা।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে কুপোকাত হলো ব্রাজিল। সেলেসাওদের ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিলো লিওনেল মেসির উত্তরসূরীরা। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার দলকে জয় এনে দেয়ার পথে জোড়া গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ক্লওদিও এচেভেরি। একটি করে গোল করেছেন ইয়ান সুবিয়াবরে, অগাস্টিন রুবের্তো ও সান্তিয়াগো হিদালগো। অপর গোলটি আত্মঘাতী।
ভেনেজুয়েলার মাটিতে ১০ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে নেমেছে দক্ষিণ আমিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে। যেখানে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ শনিবার মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
দুই দলের মধ্যে সমর্থকরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করলেও ম্যাচটা ছিল একপেশে। এস্তাদিও মিসায়েল দেলগাদোতে এদিন পাত্তাই পায়নি জুনিয়র সেলেসাওরা। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় মেসির উত্তরসূরীরা। যার মধ্যে ৮টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে ৯টি শট নিয়ে মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ব্রাজিল।
ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ বলিভিয়ার বিপক্ষে আগামী ২৭ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায়। তার আড়াই ঘণ্টাপর কলম্বিয়ার মোকাবিলায় মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ ম্যাচ শুরুর ষষ্ঠ মিনিটেই গোল হজম করে সেলেসাওরা। ভ্যালেন্তিনো অ্যাকুনার থেকে বল পেয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ইয়ান। এক মিনিট না যেতেই প্রতিপক্ষকে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে দেন এচেভেরি।
লড়াইয়ে ফেরার বদলে উল্টো ১১তম মিনিটে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করে বসে ব্রাজিল। ইগোর সেরেতোর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০’তে। বিরতির আগে অবশ্য সেলেসাওদের আর দুঃখ বাড়ায়নি জুনিয়র আলবিসেলেস্তেরা।
বিরতির পর প্রতিপক্ষের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেন এচেভেরিরা। ৫২তম মিনিটে রুবের্তো, ৫৪তম মিনিটে এচেভেরি আর ৭৮তম মিনিটে শেষ গোলটি করেন হিদালগো।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিল জয়সূচক গোলটি পেয়েছে ম্যাচের ৩০ মিনিটে। প্রথমার্ধে গোল হজমের পর ইকুয়েডর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই গোলকে পুঁজি করেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার পর এটাই ছিল ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠল ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে দরিভালের দল। সমান ম্যাচ খেলে তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় উরুগুয়ে। তৃতীয় কলম্বিয়ার সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানে জয় পেল বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহামের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ১৪৩ রান করেও জয় পেল বাংলাদেশ।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে।
আজ ১০ মে শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হের আগে ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয়। ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। অথচ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই নাস্তানাবুদ অবস্থা টাইগারদের।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-িটোয়েন্টিতে টস জিতে স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তারা ১১.২ ওভারে ১০১ রানের উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
১১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০১ রান। খেলার যখন এমন অবস্থা তখন ধারণা করা হয়েছিল স্কোর হয়তো ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্ত এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং দেখে যারা মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের হতাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়রা।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের আগে ৩৭ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩৪ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৪১ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাওহিদ হৃদয় (১২), সাকিব আল হাসান (১০), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২), জাকির আলি অনিক (৬), তাসকিন আহমেদ (০), রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।
আজ তানজিদ হাসান তামিম ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেকে ৪৭ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এরপর দুই ম্যাচে ১৮ ও ২১ রানে আউট হন। আজ চতুর্থ ম্যাচে ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম তিন ম্যাচ জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে জিতে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চায় টাইগাররা।
১২০ বলে ১৪৪ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়। শূন্য রানেই ওপেনার ব্রান ব্যানেটকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৩.৫ ওভারে দলীয় ২৮ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এরপর দলীয় ৩২ ও ৫৭ রানে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন। ৫৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেছেন রায়ান বুল। তাকে সঙ্গ দেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। এই জুটিতে তারা ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। তাদের ব্যাটেই জয় দেখেছিল জিম্বাবুয়ে।
১৫তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের জন্য ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তানজিদ হাসান সাকিব ১৮তম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। এরপর ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রানে এক উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল আর দ্বিতীয় বলে ডট দেন সাকিব। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারাবানি।
জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। চতুর্থ বলে সাকিব ওয়াইড দিলে স্ট্যাম্পিং হন মুজারাবানি। পঞ্চম বলে রিচার্ড নাগরাভাকে বোল্ড করেন সাকিব। তখন জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।