চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া মো. কামাল (৪৫) নামে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসার ডা. লুৎফুর রহমান।
কামালের কাছে পাওয়া একটি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আলী আকবর ছেলে। উদ্ধার কাজে থাকা মো. পারভেজ খান নামে এক যুবক জানান, ওই ব্যক্তি অস্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিলেন। স্টেশনের বাইরে মাইক্রো স্ট্যান্ডের কাছে তাকে পেয়ে ট্রেনে অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে বলে ধারণা করা হয়। নাম বলতে না পারলেও বাড়ি আব্দুল্লাহপুর বলছিলেন। পরে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা একটি কাগজ থেকে নম্বর নিয়ে ফোন করা হলে অপরপ্রান্তে তার আপন বোন রিসিভ করেন। ভিডিও কলে দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ডা. লুৎফুর রহমান জানান, তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তার মুখ দিয়ে লালা পড়ছিল। এতে আমরা ধারণা করছি তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন। এখন আমরা স্যালাইন পুশ করেছি আপাতত অবস্থা ভালো তবে তিনি কথা বলতে পারছেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের সম্পর্ক এক বছর। এরই মধ্যে এখানে-সেখানে ঘুরাঘুরি। বিয়ের আশ্বাসে হয় মেলামেশা। অবশেষে প্রেমিকের পিছটান। থানায় গিয়েও লাভ হয়নি। ফলে আদালতের শরনাপন্ন হন মেয়ের বাবা। তাতেও দৃশ্যত কোনো ফল আসেনি। অবশেষে নিজের সম্মান আর অস্তিত্বের প্রশ্নে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন প্রেমিকা। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন কিশোরীর বাবা।
ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।
প্রেমিকা অবস্থান নেওয়ার পর প্রেমিকের বাড়িতে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে অন্য স্বজনরা এসে অবস্থানরত প্রেমিকাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাউতলা গ্রামের ওই কিশোরী জানায়, প্রতিবেশী রেদুয়ান ইসলাম তানভীর ওরফে রাব্বির সঙ্গে তার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাব্বি তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। সর্বশেষ সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ বাইরে রাখেন। ফেরত আসার পর রাব্বির মা আমাকে ওষুধ খেতে দেন যেন বাচ্চা পেটে না আসে। পরে এ নিয়ে এলাকায় বৈঠক করে আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে শেষ করতে বলে। কিন্তু আমিও আমার পরিবার বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু রাব্বির পরিবার এটা না মানলে আমরা থানায় যাই।
পুলিশ মামলা না নিলে গত বছরের ডিসেম্বরে আমার বাবা বাদী হয়ে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।
ছেলের মামা ইয়ার মাহমুদ জানান, ছেলে ও মেয়ে তাদের ইচ্ছাতেই বাইরে ঘোরাঘুরি করে। এখানে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সবাই মিলে তাদের টাকা দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ছেলের চাচা মো. আবুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ মিথ্যা। সাংবাদিকরা কেন এসব বিষয় জানতে এলেন এ নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি জানান, রাব্বির পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যেহেতু ধর্ষণ মামলা হয়েছে সে অনুযায়ী বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কাঁঠাল গাছে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রবাসী মজিবুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুজিবুর রহমান গাছ থেকে কাঁঠাল কাটতে উঠে হঠাৎ পাশে বিদ্যুতের এসটি ৩৩ ভোল্ট মেইন লাইন তারের ওপর পরে গিয়ে পড়লে শরীরে অর্ধেক অংশ পুরে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেএক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তি ঈদ করতে দুবাই থেকে বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে উপজেলার আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য মো. আনিছ মিয়াসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ছমিউদ্দিন। এর আগে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আল আমিন (৪৫), মো. ইয়াছিন(২৪), মো. জাকির হোসেন, হেলাল ভূইয়া, দুলাল ভূইয়া ও জালাল ভূইয়া।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে ডেভিল হান্টের অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল পালিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন তা জানা নেই কারও।
আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে হামলার পর পাশের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পালিয়ে যান তিনি। পুকুরে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে বলছেন, পুকুর থেকে উঠে বোরকা পরে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বাড়িতে হামলার সময় তার বাড়ির ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাড়ির সব কিছু লুট হয়। মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র মিলি আক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়রের কক্ষে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
স্থানীয় লোকজন গণমাধ্যমকে জানায়, গত মঙ্গলবার সকালেও মেয়রের বাড়িতে লুটপাট চলতে থাকে। বাড়ির দালান ভবনের রড, ইটও খুলে নিতে থাকে লোকজন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিএনপি নেতারা লুটপাটকারীদেরকে সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির সামনে রশি টানিয়ে দেন। বিএনপি নেতারা চলে গেলে আবার লুটপাট শুরু হয়। আবার ছুটে এসে লুটপাটকারীদেরকে শাসিয়ে সরিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলমসহ মো. বাহার মিয়া, মো. সেলিম ভূঁইয়া, জিয়াউল হাসান সানি, মো. ইমরান মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এর আগে, শুক্রবার বিকেলের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর শহরের সড়ক বাজারে অবস্থিত ভূঁইয়া বোর্ডিংয়ে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভুঁইয়া আবাসিক হোটেলের মালিক উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মো. জসীম উদ্দিন ভুঁইয়া, কসবা দরুইন গ্রামের একজন নারী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বিজয়পুর গ্রামের মো: আবু হাসান ও সিলেটের বালুরচর কদমতলী এলাকার একজন নারী।
পুলিশ জানায়, পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ চলছে- এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অপরাধ নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।