চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে মানববন্ধন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট নাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা যাবে না। এই গানের মধ্যে আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে, দরদ আছে, দেশপ্রেম আছে। এই গানের জন্ম হয়েছে পূর্ব বাংলার শিলাইদহে। এই জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সুরে-সুরে আকাশ, বাতাস, প্রকৃতিকে নিয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ দেশ প্রেমের এই সঙ্গীত রচনা করেছেন। ১৯৭১ সালের আগেও এই গান গেয়েছি আমরা। এই গানের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আজকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পর্যন্ত আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসা আছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর ঊর্ধ্বগতিরোধে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছে শিক্ষার্থীরা। শুধু বাজার মনিটরিংই নয়, তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপন কার্যক্রমও শুরু করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরের আনন্দ বাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মাছ, মাংস ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রীর মূল্য তালিকা দেখে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কেউ যাতে মানুষকে জিম্মি করে চড়াদামে পণ্য সামগ্রী বিক্রি না করে সেজন্য সর্তক করে দেয়। তারা বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন।
শিক্ষার্থী সালেকিন বিজয় বলেন, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এজন্যই আমরা বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। আমরা বিভিন্ন আড়ৎ, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে পণ্য সামগ্রীর দাম নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে সীমিত লাভে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করবেন বলে আশ্বস্য করেছেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা জেলা শহরের সড়কের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে আল্পনা আকছে। সড়কের ডিভাইডারে রোপন করছে গাছের চারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রায়হান ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে দেখা যায় সড়কের ডিভাইডারে (বিভাজন) অনেক গাছ লাগানো রয়েছে। তাছাড়া সুন্দর সুন্দর আল্পনায় রাঙিয়ে তোলা হয়েছে দেয়ালগুলো। তাই শুক্রবার থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশের স্কুল-কলেজের দেয়ালে আল্পনা আঁকছি। সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সড়কের ডিভাইডার ও সড়কের পাশে গাছের চারা লাগাচ্ছি।
ইতিমধ্যে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা নিজের টাকা দিয়েই এসব কার্যক্রম করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,যারা স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের রাষ্ট্র না ভেবে সকল মানুষের রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ থেকে তাদের অনেক কিছু শিখবার আছে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর রচিত গ্রন্থগুলো বড়ো সহায়ক হবে। তিনি
আজ ১৭ মার্চ রবিবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতার ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানে বাঙালিদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই তিনি তখনই বাঙালিদের জন্য নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু জীবনভর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে কখনো অন্যায়-অনিয়মের কাছে মাথানত করে আপোষ করেন নি। আপোষ করেননি বলেই সকল বাঙালিকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন,প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রচন্ড মানবিক। সমাজ ও মানুষের কথা ভাবতে ভাবতে তিনি নিজ সংসার-পরিবার নিয়ে ভাববার সময় পাননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হাজি মো.হেলাল উদ্দিন,রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল,সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম।
অনুষ্ঠানে মার্চের সন্তান শিরোনামে দলীয় আবৃত্তি প্রযোজন পরিবেশন করে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের মধ্যমদলের সদস্যরা।
এছাড়া জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।