অনলাইন ডেস্ক :
ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিল জয়সূচক গোলটি পেয়েছে ম্যাচের ৩০ মিনিটে। প্রথমার্ধে গোল হজমের পর ইকুয়েডর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই গোলকে পুঁজি করেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার পর এটাই ছিল ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠল ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে দরিভালের দল। সমান ম্যাচ খেলে তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় উরুগুয়ে। তৃতীয় কলম্বিয়ার সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ৩ জুন সোমবার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ ট্রফি ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সহজে জিতেছে। ফাইনালও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নেপাল সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আজ ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই নেপাল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি।
এদিন শুরুতে ১-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপাল পরক্ষণে ১-১ স্কোর করে লড়াইয়ের আভাস দেয়। ধারাবাহিকতায় ২-১ স্কোরে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি। তবে স্বাগতিকরা বেশিক্ষণ তাদের রাজত্ব করতে দেয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬-২ স্কোরে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে। এই সময়ে একবার অলআউট করে লোনাও পায় মিজান-আল আমিনরা। স্বাগতিকদের পয়েন্ট নেওয়ার অভিযানে নেপালও কম যায়নি। গ্রুপ পর্বের চেয়ে আজ পয়েন্ট বেশি পেলেও বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।
বিরতির পর এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সময় স্কোর দাঁড়ায় ২৯-১১ তে। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ একবার অলআউট হয়। ৪৩-২৮ পয়েন্টে নেপাল পিছিয়ে থাকে। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস বলে দিচ্ছিল, ট্রফি জেতা কতটা সার্থক হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও জয় পেয়েছে দলটি। আজ ১৯ জুলাই শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্র্যাকটিস মাঠে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশি ফুটবলারদের দখলে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল যোগ করে ব্যবধান বাড়িয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। তবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি। ফলে ৫-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। সোমবার শেষ ম্যাচে খেলবে নেপালের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বাংলাদেশকে কমপক্ষে এক পয়েন্ট পেতে হবে ওই ম্যাচে। বাংলাদেশ হেরে গেলে চ্যাম্পিয়ন হবে নেপাল।
এদিকে, ৫ ম্যাচে নেপালের সংগ্রহ ১২। ওই ম্যাচে নেপাল জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে বাংলাদেশের সমান ১৫। তখন গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হবে দলটি।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশ কিংবা দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর আগে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচলো। লঙ্কানদের তাদেরই মাটিতে সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়লো লিটন দাসের দল। আজ ১৬জুলাই বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন শেখ মেহেদি। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল, মুস্তাফিজুর ও শামীম।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় শ্রীলংকা। পেস বোলার শরিফুল ইসলামের বলে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। এরপর শ্রীলংকা শিবিরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন মেহেদি।
ইনিংসের দ্বিতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও ১১তম ওভারে বল করতে এসে একের পর এক উইকেট তুলে নেন মেহেদি। নিজের করা প্রথম তিন ওভারে মেহেদি সাজঘরে ফেরান শ্রীলংকার তিন অধিনায়ককে।
প্রথমে আউট করেন সাবেক অধিনায়ক কুশাল পেরেরাকে। এরপর আউট করেন তিন বছর পর দলে ফেরা শ্রীলংকার সাবেক আরেক অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমালকে। নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শ্রীলংকার বর্তমান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে।
৩ ওভার শেষে ১১ রানে মেহেদি শিকার করেন ৩ উইকেট। এরপর ১১তম ওভারে আউট করেন পাথুম নিশাঙ্কাকে। তিনি ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ছিলেন। মেহেদির বলে পরিস্কার বোল্ড হয়ে ফেরেন নিশাঙ্কা। তার আগে ৩৯ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করার সুযোগ পান লংকান এই ওপেনার।
দলীয় ৬৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। দলীয় ৮৮ রানে শামিম পাটোয়ারীর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। দলীয় ১০৩ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জাফরি ভেন্ডারসি।
শেষ দিকে সাবেক অধিনায়ক দাসুন শানাকার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩২ রান তুলে শ্রীলংকা। ২৫ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। তাতে শুরুতেই বিপাকে পড়ে টাইগাররা। তবে তিনে নেমে সেই বিপদ সামাল দিয়েছেন লিটন।
রানের খাতা খুলার আগেই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। এই দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রান তুলে বাংলাদেশ। তিনে নেমে ২৬ বলে ৩২ রান করেছেন অধিনায়ক।
এরপরের গল্পটা শুধুই তানজিদ তামিমের। এই ওপেনার এক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তোলেন। ২৭ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে এক চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ২৭ রান করে। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভার 132/7
বাংলাদেশ : ১৬.৩ ওভার 133/2
ফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
অনলাইন ডেস্ক
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের ঘটনার রেশ না কাটতে এবার বিকেএসপিতে ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে দায়িত্ব পালন করার সময় অস্বস্তি নিয়ে উঠে যান তিনি।
এ নিয়ে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘মাঠে আসার পরই অসুস্থ অনুভব করছিলেন। পরে আর মাঠে নামেননি। তাঁর পরিবর্তে রিজার্ভ আম্পায়ার এখন দায়িত্ব পালন করছে।’
আম্পায়ার্স কমিটিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থ বোধ করায় বিকেএসপির হাসপাতালে গিয়েছেন গাজী সোহেল। এরপর সেখানে তার প্রেশার ও পালস চেক করা হয়। প্রেশার ঠিক থাকলেও পালস একটু বেড়ে যাওয়াতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। এখন ভালো আছেন গাজী সোহেল।
আন্তর্জাতিক ম্যাচেও নিয়মিত আম্পায়ারিং করতে দেখা যায় গাজী সোহেলকে। এখন পর্যন্ত ৮ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর আগে গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন মোহামেডানের ওপেনার তামিম ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় রিং পরানো হয় তামিমকে। এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে চেকআপের জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।