চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পৌর শহরস্থ নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রাক্তন স্কাউটসদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই উপস্থিত সকল স্কাউট্স দের পরিচয় প্রদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্কাউটার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রাক্তন স্কাউটস সদস্য আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশেষ সাধারন সভায় কার্যবিবরনী পাঠ করেন শাহ আলমগীর।
বিগত সাধারণ সভা আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শাহীন, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন স্মৃতি সাবোন, মোর্শেদ আমিনী মিলি ও ঘোষ। এর পর গঠনতন্ত্রের বিষয়বস্তুর উপর সকল স্কাউটরা আলোচনা করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপচার্য সাদমান সাদিক রকি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস যুগ্ন সম্পাদক-১ খশরুজ্জামান খান বাপ্পী, স্কাউটস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিশনার মোঃ সাহিদুল ইসলাম, স্কাউটাস এস কে শাহীন মাহমুদ, স্কাউটাস রেজাউল কাইউম স্বপনসহ প্রাক্তন স্কাউটস সদস্যবৃন্দ।
উক্ত সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন, নতুন প্রজন্মের স্কাউটদের উৎসাহ, স্কাউটিং আন্দোলন বিকশিত, প্রাক্তন স্কাউটসদের যুক্ত করা এবং সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র ও কার্যবিবরণী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। প্রাক্তন স্কাউটস সমাজিক কার্যক্রম বাড়ানোর উপর বক্তারা জোড় দেন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে যদি বাধা আছে তাহলে বাধাদানকারীদের বুঝিয়ে ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাক্তন স্কাউটসদের বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে অবহিতকরন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব প্রদান ও সংগঠনের নতুন নামকরণে সাধারন সম্পাদকের নাম প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ১২ দফা দাবিতে আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক হামজা মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ, কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো লিখিতভাবে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজের সকল শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ।
দাবিগুলো হলো-ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সকল প্রকার রাজনীতি কলেজে নিষিদ্ধ করতে হবে, শিক্ষকরাও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এবং কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাসহ কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালিত হবে না। ক্লাসের মানোন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবই পৌঁছাতে পারছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। শেণিকক্ষে পড়ানো সিলেবাসের বিষয়বস্তর উপর পরীক্ষা নিতে হবে এবং হুটহাট নোটিশে বা শ্রেণিকক্ষে ঘোষণা দিয়ে চাপানো যাবে না। শ্রেণি পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিকী ও বাৎসরিক পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের পর নম্বরপত্রে নম্বর তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মূল্যায়নের ধরণের জবাবদিহিতা শিক্ষকদের দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারিক ক্লাসের সময় নির্ধারণসহ মানোন্নয়ন করতে হবে। কলেজে ধর্মপালন, হিজাব বা নিকাব পরিধানে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না এবং কোনো প্রকার কটুক্তি, অপমানমূলক কথা বা ইঙ্গিত কোনো শিক্ষক দিতে পারবে না। এমন হলে সেই শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মপালনে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না, সকল শিক্ষককে লিখিতভাবে এই বিবৃতি দিতে হবে এবং কলেজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণিতে মনিটর নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষকরা কিভাবে পাঠদান করাচ্ছেন সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট করবেন। শ্রেণিকক্ষের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্তি বাড়াতে হবে। পড়াশোনায় প্রায় এক মাসের ক্ষতি হওয়ায় একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিলসহ সবাইকে অবিলম্বে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দ্বিতীয় বর্ষের পাঠদান শুরু করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন কলেজের উপাধ্যক্ষ নিজের ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তাই উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এবিষয়ে কলেজের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে হবে। মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নানা রকম অভিযোগ থাকায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ বা বদলির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. জেড. এম. আরিফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া দরগা মহল্লা (পশ্চিমপাড়া) ঘরোয়া লীগ ফুটবল খেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ১ যুগ পুর্তি উপলক্ষে জেলা ঈদগাহ মাঠে খেলাটি আয়োজন করেন কাজীপাড়া শৈশব গ্রুপ।
এতে কাজীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোঃ কিতাব আলী সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজীপাড়া বিশিষ্ট সরদার শেখ জামাল, সরদার আফরোজ শাহ প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মোস্তাক মিয়া। উদ্বোধনীয় খেলায় শৈশব সাদা দল বনাম শৈশব নীল দল অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেছেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যুবকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার খুব নির্ভুলভাবে জুলাই অভ্যূত্থানে আহত নিহতদের তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হলে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন এর সাথে প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত জুলাই অভ্যূত্থানে সদর উপজেলার শহীদ পরিবার ও আহত এবং অসমর্থ যুবকদের অনুকুলে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে শহীদ পরিবার, আহত ও অসমর্থ যুবকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পাপিয়া আক্তার এবং আহত ও নিহতদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন অভিভাবক আব্দুল রহিম প্রমুখ। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, আহত যুবক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিনি কনফারেন্স রুমে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা চলাকালে আবু হুরাইরা (২৭) নামক একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী দিয়ে পাস করার পর ভাইভা দিতে গিয়ে আটক হন।
এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আটককৃত আবু হুরাইরা বিস্তারিত তথ্য জানান। সে জানায় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলীস্থ হুন্ডা গ্যালারি নামক একটি মোটরসাইকেল শোরুমের ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম(২১) ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেবে বলে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত শোরুমে অভিযান চালিয়ে সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়। সাইদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে নেন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ অপরাধী সাইদুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা এবং আবু হুরায়রাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া চুক্তির ১২ হাজার টাকা আবু হুরায়রাকে ফেরত দেয়ার জন্য সাইদুল ইসলামকে নির্দেশ প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে’ ও ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের’ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে প্রশাসন ব্যতীত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আজ ২ মার্চ রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক খন্দকার কামরুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আক্তার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মারজিয়া শবনম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্য নিরসনে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে সেখানে সকল ক্যাডারে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে ডিএস কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার নিশ্চিত করতে হবে।’