দেশ গড়ার সুযোগ সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয়, 8 September 2024, 109 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশ গড়ার যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেটি সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে হবে।

আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ, এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারত। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।

ড. ইউনূস বলেন, একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট খেলার কথা তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি? কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কী নৃশংসতা ছিল।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শাপলা হলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মতবিনিময় সভা চলে।

ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. ইউনূস।

Leave a Reply

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

উপাত্ত সুরক্ষাই যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা থাকবে আইনে: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 19 February 2023, 1689 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগেও বলেছি, এখনও বলছি, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে যাওয়ার আগে এর অংশীজনদের সঙ্গে আবারও আলাপ-আলোচনা করা হবে। এর আগেও আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে যাতে এই আইনটির বিষয়ে এমন মনে না হয় যে, এটা উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে। এটার উদ্দেশ্যই হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা করা। উপাত্ত সুরক্ষাই যাতে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থাই থাকবে এতে।

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে ১৪শ বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য ১২শ ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বাক-স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখেন এবং তার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাও মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখা হয়, যা বহু গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে রাখা হয়নি। তাই কেউ যদি এমন দুশ্চিন্তা বা কল্পনা করেন যে, শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের সময় এমন একটি আইন হবে, যেখানে জনগণের বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, সেটা সঠিক নয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারো যদি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এগুলো তো স্পষ্ট।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় যা করতে পারবেন, যা পারবেন না প্রার্থীরা

জাতীয়, 18 December 2023, 476 Views,
ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক পাওয়া মাত্রই প্রাথীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মানতে হবে ইসির নির্দেশনা। সেখানে সেখানে পোস্টার, সভা-সমাবেশ করা, যখন-তখন মাইক ব্যবহারসহ নানা ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে প্রার্থী ও ভোটারদের।

এসব নিয়ম মানাতে নির্বাচন কমিশন জারি করেছে বিধিনিষেধ।

প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ ও এর সংশোধনী (২০১৩) মেনে চলার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে পাঠানো ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না।

কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না; মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, বিল্ডিং, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটিতে বা যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না; তবে দেশের যেকোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল রশিতে ঝুলিয়ে টাঙানো যাবে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না; মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা দুপুর ২টা হতে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্য বা কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচনী ক্যাম্পে কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনো উপঢৌকন প্রদান করাও যাবে না।

বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বা অনুদান দেওয়া যাবে না; সরকারি ডাকবাংলো, রেস্টহাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচনও করা যাবে না।

নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না; কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচলের স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না।
বিধিমালায় পোস্টার ঝুলিয়ে লাগানোর কথা বলা হলেও নির্বাচনের সময় দেয়াল লিখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু দেয়াল নয়, কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়কদ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায়ও প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অঙ্কন করা যাবে না।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার ও ব্যানার সাদাকালো হতে হবে; পোস্টারের সাইজ অনধিক ৬০ বাই ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার অনধিক ৩ বাই ১ মিটার হতে হবে। পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থীর নিজের প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক প্রকাশ করা যাবে না বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রার্থীকে আইনে নির্ধারিত ব্যয়সীমার মধ্যে থেকে প্রচারে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে। এবার ভোটারপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১০ টাকা। তবে কোনো আসনে ভোটার সংখ্যা যাই- হোক না কেন সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। এই ব্যয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বহন করতে হবে। সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয় ভাউচারসহ সংরক্ষণ করে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আমাদের বার্তা একটিই। প্রত্যেক প্রার্থী যেন নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা করেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে নির্বাচন মনিটারিংয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারীদের।’ এ ক্ষেত্রে প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে বলে তিনি জানান।

কূটনীতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার ইস্যুতে নীতিমালা জারি

জাতীয়, 22 August 2024, 129 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কূটনীতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার ও সমর্পণের ভিত্তিতে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ।

আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের বহিরাগমন-৪ শাখার উপ-সচিব মো. কামরুজজামানের সই করা এক নীতিমালা বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিফতরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্যবিলুপ্ত জাতীয় সংসদের সব সদস্যসহ যারা পদের কারণে কূটনীতিক পাসপোর্ট নিয়েছেন, নিয়োগ বা কর্মকাল শেষ হলে তাদের এবং তাদের স্ত্রীদের সেই পাসপোর্ট অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। উল্লিখিতদের মধ্যে যারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, অন্তত দুটি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের অনুকূলে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা যেতে পারে।

প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনু্ষ্ঠিত

জাতীয়, 12 June 2023, 809 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জীবনের জন্য বিজ্ঞান ‘শেখ হাসিনার দর্শন, সব মানুষের উন্নয়ন’ এই প্রতিপ্রাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীর দূর্গাপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে আজ ১২ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সেমিনার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি র‍্যালি বের করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের উপসচিব (অধিশাখা-৬) রোকনুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সাইন্টিফিক (বিসিএসআইআর) অফিসার রাজীব বনিক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদের সাইন্টিফিক (বিসিএসআইআর) অফিসার রিফাত হোসেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদের সাইন্টিফিক (বিসিএসআইআর) অফিসার নাজিম আহম্মেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহীদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ, উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক-ই-মোহাম্মাদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুবা খাতুন, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হামিদা খাতুন।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ভাতশালা স্টেশনে তিতাস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 20 September 2024, 187 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেল পথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেন ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সুলতানপুর, মাছিহাতা ও বাসুদেব ইউনিয়নের কয়েকশত গ্রামবাসী। আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা সহ ১৮টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণমানুষ অংশগ্রহণ করেন।

তিতাস কমিউটার যাত্রা বিরতি আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসানুজ্জামান ভূইয়া (তায়েফ) বলেন, ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানাই। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে গণসাক্ষর জমাদেবো। যদি আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে আমরা দ্বিতীয় ধাপে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

মানববন্ধন চলাকালে জয়নাল আবেদীন ভূইয়া বলেন, “আখাউড়া থেকে ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় তিতাস কমিউটার ট্রেনটি। আবারো রাতে আখাউড়ার উদ্যোশে ফিরে আসে। যাত্রা পথে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন বক্তারা।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির আহম্মেদ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মহিউদ্দিন মুক্তা বলেন এটা আমাদের নাগরিক যুক্তি দাবি এই দাবি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।

মো: আক্কাছ মীর সমন্বয় বলেন, এখানে আগে তিতাস ট্রেন দাঁড়াতো। কিন্তু এখন অজানা কারণে ট্রেন আর দাঁড়ায় না। এতে করে আমরা তিন ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তীতে আছি। আমরা চাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিতাস ট্রেন আমাদের স্টেশনে না দাড়ালে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।