চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- চট্টঃ ১৭৬৩) এর সাধারণ সভা আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় শহরের দক্ষিণ পৈরতলাস্থ পুনশ্চ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাদিরুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সাধারণ সম্পাদক হাজী রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ স্বপন মিয়া, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, প্রচার সম্পাদক এম এ আঃ করিম, কার্যকরী সদস্য মোঃ বাকির মিয়া, বিশিষ্ট সদস্য হাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন সরকার, মোঃ রেনু মিয়া, ওবাইদুল সরকার, কালু মিয়া, আঃ রহমান, মুর্শিদ মিয়া, মানিক মিয়া, মজনু মিয়া, মাসুদ রানা, শাহ আলম, মোকলেছ মিয়া, জামাল, মোমিন প্রমুখ।
সভায় বিগত বছরের হিসাব বিবরনী উপস্থাপন করা হয় এবং কমিটির সদস্যদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও আইডি কার্ড প্রস্তুত করে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনের সুনাম আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে শ্রমিকদের কল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করবো এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গনে ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর নির্বাহী পরিচালক এস.এম. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম বাবুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস উন্নয়ণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপনুর রহমান, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ নূরুল্লাহ, সরুয়ারদি মৃধা, এস.এম. মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার এবং মোবাইল কোট পরিচালনার মাধ্যমে তামাক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বিক্রয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল দেয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় ৪৯৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য পর্যায়ক্রমে বিক্রি করা হবে।
রবিবার পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মেড্ডা কালভৈরবসহ ৩টি স্থানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। মানুষ যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, এজন্য জোরালো ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরোও বলেন, টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী ডিলার ব্যতীত খোলা বাজারে ক্রয় বিক্রয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডিলার মোঃ আলী মিয়া প্রমুখ।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কনটেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে আপলাইনে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।
১৯ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনটিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শতাধিক স্লিপার ভেঙে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত এবং স্লিপার পরিবর্তন শেষে দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী ট্রেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধার কাজ প্রায় ১১ ঘণ্টা পর রাত ৭টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়। তবে, আপলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় সাড়ে ১০টায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ ৩১ মার্চ সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন কিশোরগঞ্জ জেলার দ্বীন ইসলাম। তবে অপর নিহত সিএনজি অটোরিক্সা চালকের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
আহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের মো: সৈয়দ হোসেনের ছেলে সৈয়দ তাজবীর (১৭) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুয়েল মিয়ার ছেলে মো: নোবেল (১৭)। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে ভাংচুর চালায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান জানান, বিকেলে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী দ্বীন ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিক্সার চালকসহ অপর দুই যাত্রীকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। ঢাকায় নেয়ার পথে সন্ধ্যায় সিএনজি চালকও মারা যায়। তবে তার পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অপর দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।