চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, পুলিশের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে, কারণ পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করে নাই। কমান্ডিং থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত সবাই অসুস্থ প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে পার করেছে। একটা দলের আজ্ঞাবাহ হয়ে কাজ করতে হয়েছে। সবকিছুতে পুলিশ টাকা নিয়েছে বলে একটা দুর্নাম ছিলো। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলের চাপ নেই।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন,‘সরকার আমাদেরকে যে বেতন দিচ্ছে, সেটা চলার জন্য যথেষ্ট। মাসিক কল্যাণ সভায় বলে দিয়েছি এতে কারো না পোষালে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।’
নবাগত পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন, ‘পুলিশে অনেক আবর্জনা আছে। এগুলো দূর করতে হবে। পুলিশের মনোবল একেবারে ভেঙে যাবে এমন কোনো বিষয় নেই। সেই পুলিশের মনোবল ভাঙবে যে অসৎ। আর যে পেশাদারিত্বে থাকবে তার মনোবল ভাঙার কোনো কারণ নেই। তবে এটা ঠিক যে নানা কারণে পুলিশের কার্যক্রমে ধীরগতি আছে। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। সদর দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদেরকে যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়ার। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সব কিছু এখনই করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু ত্রুটি ছিলো। সেই ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করবো। আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আপনারাও সুযোগ দিবেন। কেউ পুলিশকে ঘুষখোর বললে আমারও খারাপ লাগে। আমরা এ অবস্থা থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে। তিনি এর জন্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিয়ম সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাসহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, ইব্রাহিম খান সাদাত ও মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মোঃ শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে বসছে কোরবানির পশুর হাট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার এই কোরবানির পশুর হাট পৌরসভা নিজেই পরিচালনা করবে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বসবে এই পশুর হাট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অধীনস্থ একমাত্র কোরবানির পশুর হাটটি ভাদুঘর বাস টার্মিনালে অবস্থিত। প্রতিবছর ঈদের চারদিন আগে এই পশুর হাট বসে। এই হাটর থেকেই জেলা শহর এবং তার আশেপাশের লোকজন কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন।
আজ ১২ জুন বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ প্রস্তুত করতে কাজ করছেন পৌরসভার কর্মকর্তারা। পুরো মাঠে বাঁশের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে গরু -মহিষ ইচ্ছেমতো বাঁধা যায়। এদিকে কর্তৃপক্ষ পুরো মাঠের তদারকিতে কাজ করছে পৌরসভার কর্মচারিরা। তারা মাঠ পরিষ্কার করে মশকনিধন ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন। ভেকু দিয়ে নিচু জায়গায় মাটি ফেলে তা ভরাট করে দিচ্ছেন। বাজারের চারপাশে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া নিরাপত্তার জন্য যা যা দরবার সবই করা হয়েছে। পুরো কাজই সরাসরি তদারকি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকান্ড মোকাবেলায় গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেলে রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক নিউটন দাস, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক নিউটন দাস বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সাধারণ মানুষ যেন প্রাথমিকভাবে যে কোনো অগ্নিকান্ড মোকাবেলা করতে পারে, সেজন্য আজকের এই মহড়া দেয়া হয়েছে।
মহড়া থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি তিনি আহবান জানান। পরে রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত সাধারণ মানুষের সামনে অগ্নিকান্ড মোকাবেলার বিভিন্ন কৌশল প্রদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার জসিম উদ্দিন বলেন, রেলপথকে নিরাপদ রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে আঁচ লেগেছে। এক সময় ঈদের আগে জেলার পাদুকা পল্লীতে চরম ব্যস্ততা থাকতো। কিন্তু এবারে দেখা মিলছে চিত্র ভিন্ন।
একদিকে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে মন্দার প্রভাবে কাজ কমে যাওয়ায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। সেইসঙ্গে যেটুকু কাজ মিলেছে, তাও করতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের ছোবল পহাতে হচ্ছে।
এদিকে, অটো মেশিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না হাতে জুতা তৈরির আদি কারাখানাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে মজুরি না বাড়ায় হতাশ পাদুকা কারিগররা।
সরেজমিনে পাদুকা শিল্প পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঈদের আগে জুতা তৈরির যে ব্যস্ততা সচরাচর থাকতো সেটি আর আগের মতো নেই। হাতে তৈরির কারখানাগগুলোতে শ্রমিকের পরিমানও কমে গেছে। নেই কোনো কর্মচাঞ্চলতা। যে পরিমান অর্ডার পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
পাদুকা তৈরির কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের কাজকর্ম অনেক কমে গেছে। চার বছর ধরে চায়না অটো মেশিনের কারণে আমাদের হাতে তৈরি জুতাগুলোর কদর কমে গেছে। আগে একটি কারখানাতে ২০/২৫ জন শ্রমিক কাজ করলেও এখন মাত্র চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক আছে। রমজান মাস যে আমাদের মৌসুম তা বুঝাই যাচ্ছে না। কাজ না থাকায় অনেক কারিগররা এখন অন্যান্য পেশায় চলে গেছেন।
প্রবীণ কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে চাহিদা অনেক ভালো ছিল। অটোমেশিনের কোম্পানি বের হয়ে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। যে কাজ তা দিয়ে এখন আর কাঙ্খিত মুনাফা পাওয়া যায় না। পরিবার নিয়ে চলতে এখন কষ্ট হচ্ছে।
কারিগর বাদশা মিয়া বলেন, দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের মজুরির দাম আর বাড়ছে না। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে ৫০০ টাকা মতো রোজগার হয়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
পাদুকার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। আর যেটুকু জুতা তৈরির অর্ডার মিলেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে তাও করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে কম মূল্যে তাদের জুতা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর জুতা তৈরির উপকরণগুলোর দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই অনুপাতে জুতার মূল্য বাড়ে নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভালো হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার বেশ শুনাম। তবে গেল কয়েক বছর ধরে এই শিল্প খাতটি অনেকটাই দমে গেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও জেলায় ৫ শতাধিক পাদুকা কারখানা থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ এর ঘরে। কোনোরকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এসব কারখানার মধ্যে ২৫টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরি হয় লেডিস, জেন্টস, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, জুতার উপকরণগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জুতা তৈরি করে বিক্রি করতে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। আজ ৫ জুন সোমবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীর পরামর্শে এ তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩১ মে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ জুন জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান প্যানেল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিলে ৪ জুন মনোনয়ন বিক্রয়ের শেষ তারিখ এবং ৫ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও বিউটি কানিজ মনোনয়ন জমা দেন। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবার্য কারণবশত ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি সকল জেলা পরিষদ সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী শীঘ্রই নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল মিয়া জানান, আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে জানতে পেরেছি মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। তবে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ছিল জমা দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন। তাদের কাছে ট্রেনের ৬০ টাকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা চান কাউন্টার সেলসম্যান সালাউদ্দিন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সময় রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাসও কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করছিলেন। তার কাছেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা টিকিট কিনতে যান। দাম-দর করার পর টিকিট দেওয়ার সময় আঁচ করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন বিপ্লব কিন্তু রক্ষা হয়নি। তাকে আনসার সদস্যরা আটক করেন। একইভাবে আয়েশা বেগম ও আরাফাত নামে আরও দুই টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালানো ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ইউএনওর নেতৃত্বে পরিচয় গোপন রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে কাউন্টারের এক টিকিট সেলসম্যান এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষীকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে টিকিট সেলসম্যান সালাউদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাসকে রেলওয়ে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুই টিকিট কালোবাজারি আয়েশা ও আরাফাতকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।