অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, পরাজিত ঘাপটি মারা পতিত শক্তি যেন নতুন করে স্যাবোটাজ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে রাতের বেলায় কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল দিত, আর দিনের বেলায় ওঝা হয়ে ঝাড়তো। আওয়ামী লীগ প্রতারণার মাধ্যমে রাজনীতি করতো। এখন আওয়ামী লীগ নাই।
তিনি আসন্ন দুর্গা পূজায় মুসলমানদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই না আর কোনো সংখ্যালঘুদের ওপর কেউ নির্যাতন করুক। এখন আলেম সমাজ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে জালিম ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বাংলার জমিনে এক ইঞ্চি মাটি আশ্রয়ের জন্য খুঁজে পায়নি। তিনি তার পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।
মামুনুল হক এসময় ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, গত ১৫ বছর আপনারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে এক চুল পরিমাণ চিন্তা করেননি। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এ দেশের বুকের ওপর দিয়ে বিনা মূল্যে ট্রানজিট গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর মুখে অভিন্ন বাঁধ তৈরি করেছেন। শুকনা মৌসুমে মরুভূমি আর বর্ষা মৌসুমের বানের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের কেনা গোলাম শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। এখন বলবো, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান। বাংলাদেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সমতার ভিত্তিতে সদাচরণ পাবেন। আবার যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেন সেই নাক আমরা কেটে দিব।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাদারীপুর শাখার সভাপতি হাবিব আহমাদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রিবর্দিও পীর মাওলানা আলী আহমাদ চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলা জালালুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে প্রতিন্দ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফসিডিওর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবুল বাশার। বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম সহ-সভাপতি আবু কাউসার খান, মো. মনির হোসেন, শামীমা বাছির স্মৃতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, মহিলা পরিষদ নেত্রী নেলী আক্তার, পৌর কলেজ সহকারি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ভূঞা, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মামুন ও সদস্য আফরিন ফাতিহা জুঁই।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের উদ্যোগে গড়ে উঠা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাপ) সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চাকে ধরে রাখতে ম্যাপ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত করেছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি দল থেকে আসা ম্যাপ এর সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, রাজনীতিতে নারী ও যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সম্প্রতিকে উৎসাহিত করতে ম্যাপ-এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব উদ্যোগে তারা সমাজের সদস্যদেরকেও সম্পৃক্ত করছে।
এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সনে ইউএসইআইডি’র সহযোগিতায় পরিচালিত এসপিএল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে গঅঋ সমাজ পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি।
সকালে শহরের লোকনাথ উদ্যান থেকে জেলা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রেসক্লাবের সামনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার পতনে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব সময় পাশে ছিলো। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন হয়। বক্তারা শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে বিচারের দাবি জানান। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়াতেও একই ধরণের কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপির একটি মিছিল মটর স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে নেতৃবৃন্দ পৌর মুক্তমঞ্চে এসে অবস্থান নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম খুন করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অতঃপর জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালাতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয় বড় বড় নেতারা বুজ পাখির মত নাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, ৭৫ এর পর দেশের মানুষ যেভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঘরে ঘরে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্র কিছু কিছু টের পাচ্ছে। ভোটের কোন নিশানা দেখা যাচ্ছে না। তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ সব সময় ভোটের জন্য আন্দোলন করেছে, বারবার রক্ত দিয়েছে। মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা না নিয়ে দ্রুত ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এ দেশ চলবে মানুষের রায়ে। জনগণ যাকে খুশি তাকে বেছে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। বিএনপি আর কোনদিন এদেশে বিনা ভোটের সরকার আসতে দেবে না।
আজ ২০ অক্টোবর রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর প্রথম গেট এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) উপজেলার জনগণের আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশবরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি কৃতি সন্তান জন্ম দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসনগুলোতে তাক লাগানো সব সংসদ সদস্য আমরা এতো বছর দেখে আসছি। ইনশাআল্লাহ আপনারা যদি পাশে থাকেন। আপনারা যদি আমাদের হাত শক্তিশালী করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ছয়টা আসন আছে, সে ছয়টা তাক লাগানো এমপি তৈরি করে দেব আমরা।
বিএনপি নেতা মুন্সী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জহিরুল হক খোকন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সহ-সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হক মুকুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খোকন সেন, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুর রহমান সফিক, সরাইল উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, আশুগঞ্জের বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারনম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
সভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি অলি আহাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি শহিদুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।