অনলাইন ডেস্ক :
রামেক হাসপাতালে নওগাঁর এক নারী একসাথে পাঁচ ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাঁচটি নবজাতক প্রসব করেন তিনি। পাঁচ নবজাতক ও মা সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রামেকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
ঐ প্রসূতি মেরিনা খাতুন (৩৫) নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল মজিদের (৪০) স্ত্রী। এই দম্পতির আরো দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির পর অস্ত্রোপচার করে বাচ্চাগুলোর জন্ম হয়। বাচ্চাগুলোর মধ্যে দু’টির ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম, দু’টির ১ কেজি ৩০০ গ্রাম এবং ১টি’র ওজন ১ কেজি।
প্রসূতি মেরিনা খাতুনের মামা শ্বশুর নয়ন বাবু জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা আগে থেকে জানতাম তিনটি সন্তান হবে। এ জন্য ভাগ্নে বউ মেরিনাকে দেখাশোনার জন্য পাঁচ নারীকে নিয়োজিত করেছিলাম। তবে মেরিনা সুস্থই ছিলেন। খাওয়া দাওয়াসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে করেছেন। গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা উঠার পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা প্রসূতিকে রামেক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এরপর মেরিনাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে সিজারিয়ান অস্ত্রপচারের মাধ্যমে একে একে পাঁচটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়।
রামেক হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান রোকেয়া খাতুন বলেন, তার অধীনেই ঐ প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রসূতির উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের সমস্যা ছিল। এ জন্য প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয়েছে। মা ও সন্তানরা সুস্থ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নিলেন। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথমে ২৫ জন মন্ত্রী ও পরে ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে পাঠ করান শপথবাক্য।
সাংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এ শপথ নেন।
প্রথমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরে গোপনীয়তার শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত আছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীসহ শপথ নেওয়া ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভাই দেশের নতুন সরকার। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিয়েছেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), অর্থ মন্ত্রণালয় আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), কৃষি মন্ত্রণালয় মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), ভূমি মন্ত্রণালয় নারায়ণ চন্দ্র (খুলনা-৫), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), রেলপথ মন্ত্রণালয় মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)। টেকনোক্র্যাট কোটায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা ১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-কে আশ্বস্ত করেছেন। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এএনএফআরইএল এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।’
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদলে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে, এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদলটি অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সাথে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। সূত্র: বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে কুমিল্লা থেকে একজন এবং সিলেট থেকে ৭ জন চোর চক্রের সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। এসময় চুরি হওয়া ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়।
আজ ৩১ মে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান এসপি মিলন মাহমুদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার আনহার আলী (৩৫), সিলেট মহানগর মোঘলা বাজার থানার বিল্লাল আহম্মদ (৩৪), সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার বিল্লাল হোসেন (২৪), হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার মো. নজরুল খান (২৬), বাহুবল থানার সোহান মিয়া (২৪), সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার শিমুল আহম্মদ (২৪), গোলাপগঞ্জ থানার আবুল বাছিত (৪০) ও গোয়াইনঘাট থানার আলমগীর আহম্মদ (২৬)।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ দেবনাথ, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মত প্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি বরং সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ১৯ জুন সোমবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে তিনি একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারী দলের মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচাররাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালসমূহে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫টি।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙার প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিধি অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়য়াদি আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার পদ নিবন্ধন অধিপ্তদের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলি আইন ও বিচার বিভাগ হতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়।
তিনি জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে নিজ নিজ প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৩ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৮ হাজার ১৯৫টি দলিল ই-রেজিস্ট্রশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। এর ফলে ভূমি শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসন্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।
সরকারি দলের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কর্মরত নকলনবিশের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে কর্মরত অধিকাংশ নকলনবিশ তালিকাভুক্ত আছেন। অবশিষ্ট অ-তালিকাভুক্ত নকলনবিশদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নকলনবিশদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সারা দেশে (৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত) এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭৬টি। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৪০টি। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা নেই।
বিচারকগণ এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। দ্রুত নিষ্পত্তির কারণেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা তুলনামূলক কম উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ঝরানো ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী শশী কান্ত জানিয়েছেন, মিগজাউম অন্ধ্র প্রদেশের স্থলভাগে উঠে আসছে। এটি ধীরে ধীরে শক্তিক্ষয় করবে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যই এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়া কবির জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকাঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সে-সময় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর সংক্ষুব্ধ থাকায় সকল সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এজন্য সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।