চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণীরা সার পেলেন পেয়েছেন।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ হাজার কৃষক-কৃষাণীর মাঝে এসব সার বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ বায়েক ইউনিয়নের ৪ হাজার এবং অন্যান্য ইউনিয়নের ২ হাজার কৃষক-কৃষাণী রয়েছেন। প্রতি কৃষককে ১০কেজি ডিএফপি, ১০কেজি এমওপি সার ও রোপন খরচ বাবদ নগদ ১ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় সার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারেক মাহমুদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূইয়া, গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ অন্যরা।
এসময় কৃষি উপসহকারীগণ ও উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢল ও আকষ্মিক বন্যায় কসবা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৫শ ৮৩ হেক্টর জমি তলিয়ে যায়। রোপনকৃত আমন পচে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। নষ্ট হয়ে যায় ওইসব এলাকার সকল ১০ হেক্টর পরিমান বীজতলা। এছাড়াও ১শ ৭৫ হেক্টর পরিমান রোপনকৃত সবজি নষ্ট হয়ে যায়। পানি চলে যাওয়ার পর চারা সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কৃষক। দ্রুত বীজতলা তৈরী করতে গত ২৮ আগষ্ট কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৫ কেজি করে ধানের বীজ দেয়া হয়। স্থানীয় কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপনের কাজ শুরু করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে মো. তানজিম মিয়া (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তানজিম মিয়া ওই গ্রামের প্রবাসী মো. আবু তাহেরের ছেলে। তার মাতা ছলিমা আক্তার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল মেঝো এবং স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে তানজিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বাড়ির আশপাশ ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি। পরে নিখোঁজের ঘটনায় তানজিমের চাচাতো ভাই রমজান মিয়া ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
দুপুরে গ্রামের কয়েকজন লোক বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের বলেন, শিশুটির নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। গতকাল পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় বাসচাপায় জয় কুমার দাস (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।
৩০ জুন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তিনলাখপীর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জয় কুমার দাস জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তিনলাখপীর এলাকায় কুটি-চৌমুহনিগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি লোকাল বাস সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত দুইটি অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় দুই অটোরিক্সার আরো পাঁচজন আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাসচালক পালিয়ে গেছে। বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। আটক মো. সোহেল (৩২) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকার মো. শহীদ মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ব্রিজের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৪ বোতল বিয়ার, ৪ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৪ কেজি গাঁজাসহ তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রাম ও দুপুরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রাম ও বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার সাগরতলা গ্রামের কাউছার মিয়া (১৯), যশোর জেলার সদর উপজেলার নলিতাদহ গ্রামের ইলিয়াস হোসেন (৩৫) ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের মোঃ আশিক (২৩)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাগরতলা গ্রামের ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ বোতল বিয়ার এবং ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব মাদকদ্রব্য ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে স্টীলের আলমারী ও রান্নাঘরের মাটির নিচে লুকানো ছিলো।
অপর দিকে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের লক্ষীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা আটক করা হয়। পরে অটোরিকসায় তল্লাশী চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একইদিন বিকেলে উপজেলার কৈখলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২টি বস্তায় ভর্তি ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতি বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দিতে নিষেধ করছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষ সব ক্ষমতার উৎস।
গণতান্ত্রিক ধারায় তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপি তাদের সময়ে নির্বাচন করত ভোটারবিহীন হ্যাঁ-না ভোটে। বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দিতে নিষেধ করছে।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার চানপুর খেলার মাঠে নিজের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, তারা দেশকে কতটা ভালোবাসে। পরে তিনি সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।