চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় আগস্টে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২০ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া ইস্পা আক্তার। ১১ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ইসরাত সানিয়া আক্তার। বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া স্নেহাল গোপ পান্না, তন্ময় সরকার, সৌমিক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, পৃথিবী দাস সূর্য্য, আব্দুল গফফার মাহুদী, সৌভিক রায়, আরিয়ান ইসলাম সোহান ও ওমর ফারুক। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া সপ্তদীপ কুন্ডু। ২২ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ক্বারি মো. আব্দুল্লাহ।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোন পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। সেটিতে পাঠক একেবারে ছিলো না। পাঠক বাড়ানোর লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমবারের মত পবিত্র কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কয়েকটি ধাপে বাছাইকৃত সেরাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এবতেদায়ী, দাখিল, আলিম-কামিল, কওমী মাদ্রাসার নুরানী, নাজেরা ও কিতাব বিভাগ এবং সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্তসহ মোট ৭টি ক্যাটাগরিতে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রত্যেক ক্যাটাগরি/গ্রুপের প্রথম স্থান অর্জনকারী ৯১ জন প্রতিযোগী চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
৭টি ক্যাটাগরিতে ১ম স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা, ২য় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে নগদ অর্থসহ ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকালে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: নুরে আলমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আল মামুন, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান মো: সফিকুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো: তৌহিদ মিয়া।
এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ২৩ মার্চ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাথমিক পর্বের বাছাই শুরু হয়ে কয়েকটি ধাপে প্রথমবারের মত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার উদ্যোগে এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতায় এই কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার বাছাই সম্পন্ন হয়। প্রতি ক্যাটাগরিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের উপহার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে উপজেলা ব্যাপী পবিত্র কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে পৃথক পৃথক ভাবে নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কে কলেজ মোড় শহিদ ইমরান চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ নেয়।
জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ আল-ওয়ায়েসী, উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান গিলমান, যুগ্ম সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বুড়িশ্বর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পীরজাদা মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজিসহ আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগন বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অপরদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা হুসাইন আহমদ নুরপুরী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন ফারুকীসহ আলেম উলেমা ও হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অন্যদিকে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের উদ্যোগে ফান্দাউকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন), শরীফের মূখপাত্র পীরজাদা মাওলানা মুফতি সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনী ও মাওলানা সৈয়দ আশরাফ শামীম আল-হোসাইনীসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মুসলিম জাহানের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পৃথক সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগনের ওপর ইসরায়েলীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি জানান। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সড়কে গাছ ফেলে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতরা লাশের শরীরে আঘাত করেছে বলে জানা যায়।
আজ ২৩ মে শুক্রবার রাত ১টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতের হামলায় আহতরা হলেন- গাড়ির চালক মো. ফিরুজ মিয়া, গাড়ির মালিক মো. খলিল মিয়া, নিহতের স্বজন রাসেল মিয়া, ছালেক মিয়া, নাহিদ মিয়া, মো. আলমগীর মিয়া, মো. সালাউদ্দিন, আলেয়া বেগম ও আলী নেওয়াজ মিয়া। স্বজনদের চোখের সামনে মৃত ব্যক্তির ওপর আঘাতের এই দৃশ্য এলাকাজুড়ে সৃষ্টি করেছে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক।
স্থানীয়দের দাবি, এমন জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ আগে কখনো দেখেননি তারা। ভুক্তভোগীদের স্বজনদের ভাষ্যমতে, পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের ছবদর আলী নামে এক ব্যক্তি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মিরপুর আহসানিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারা যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে ফেরার পথে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় আসলে সশস্ত্র ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে পথ রোধ করে গাড়ি আটক করেন। এরপর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে ৯টি মুঠোফোন ও নগদ অর্ধলাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ডাকাত দল।
ডাকাতদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ ও মালামাল না পাওয়ায় মরদেহের ওপরও হামলা করা হয় বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে পূর্বভাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর মিয়া। তিনি বলেন, ‘ডাকাতরা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে বলে দুঃখ নাই। কিন্তু আমার মৃত বাবার লাশের ওপর হামলা করেছে ডাকাতরা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম জানান, ডাকাতরা কী কী নিয়েছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। ওই এলাকাটিতে আগেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হয়। সেখানে আতুকুড়া গ্রামের দুই যুবক মোতাব্বির ও বাদল মিয়ার মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে তর্ক হয়। পরদিন সন্ধ্যায় আতুকুড়া গ্রামে গিয়ে সেই ঘটনায় আবার তর্কে জড়ায় দু’জন। এর জেরে এক পর্যায়ে দুই ওয়ার্ডের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশ সদস্য, গ্রামবাসীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শতাধিক লোককে আসামি করে একটি মামলাও করা হয়েছে।
আতুকুড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া বলেন, ‘ফান্দাউক দরবার শরিফে ওয়াজে গিয়ে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে পরদিন আকুতুড়া বাজারে গেলে ৮নং ওয়ার্ডের লোকজন আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পরে সংঘর্ষে জড়ায়। ৯নং ওয়ার্ডের ২৫ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে পুলিশ সবাইকে আটক করে।’ তবে এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছের হেলথ কার্ড’ কথাটি শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-এটি আবার কী?
কিন্তু বাস্তবেই শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো গাছের হেলথ কার্ডের প্রবর্তন করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।ব্যতিক্রমী এ হেলথ কার্ডে গাছের নাম, রোপণকারী শিক্ষার্থী নাম, রোপণের তারিখ ও পরিদর্শকের স্বাক্ষর দেওয়ার জায়গা রয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া দুই শতাধিক গাছের ছাড়া তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার।
নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ, বনজ ও ঔষধিজাতীয় প্রায় ৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রোপণকৃত এ গাছ পরিদর্শন করবেন এবং গাছের হেলথ কার্ডে স্বাক্ষর করবেন। সমষ্টিক মূল্যায়ন হিসেবে শিক্ষার্থীরা পাবে পাঁচ নম্বর। মূলত গাছে পরিচর্যা নিশ্চিত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে গাছ পেয়ে আমরা অনেক খুশি। সঙ্গে একটি গাছের হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। যেটি আমরা সংরক্ষণ করে রাখব। ফলে গাছটির প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকবে।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার বলেন, অনেক সময় আমরা শিক্ষার্থীদের গাছ দিলে বাড়ি নিয়ে লাগানোর পর আর পরিচর্যা নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের মনে থাকবে যে এটি দেখতে আমার শিক্ষক আসবে, ফলে গাছটির সঠিক পরিচর্যা করবে।
সাংবাদিক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটি আসলেই একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ। এর আগেও তিনি অমর একুশে বইমেলা ও পবিত্র কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদের যে আন্দোলন তার একটি পদক্ষেপ এটি। আমাদের এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার জন্য বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নিয়ে গিয়ে আর যত্ন নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে আমার ওই শিক্ষার্থী গাছটি যত্ন নেবে।