চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’টি রামদা, একটি ছুরি ও একটি লাঠিসহ চার ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পুনিয়াউট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যেটি তাদেরকে গ্রেফতারের চার-পাঁচ ঘন্টা আগে এক কলেজ ছাত্র থেকে ছিনতাই করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার রিপন মিয়া, আমীর হোসেন, মোঃ হৃদয় ও আকাশ মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন ও কয়েকটি রাম দা, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী স্বামী মোবাইলে তালাক বলায় মারিয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের আইয়ুব মিয়ার মেয়ে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের টাংগা গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী তানজিল চৌধুরীর সাথে মারিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দুইজনের মাঝে প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর বনাবনি তেমন ভাল ছিল না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝুট-ঝামেলা চলতো। শনিবার স্বামীর তর্কাতর্কির সময় স্বামী মোবাইলে তালাক বললে অভিমানে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন মারিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গুজব না ছড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা নিতে ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।
আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বজাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ধরণের কোনো হামলা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতৃবৃন্দ জেলার সর্বত্র এই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই দেশের নাগরিক এবং সমঅধিকার ভোগ করি। আল্লাহ রসুল বলেছেন, অমুসলিমের ওপর যারা জুলুম করে, তাদের অধিকারে কেউ কম দেয়, সাধ্যের বাইরে কোন কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, অন্যায় ভাবে তাদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয় কিয়ামতের দিন আমি নবী আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী হবো। এই হচ্ছে সংখ্যালঘুর বিষয়ে নবীর নির্দেশনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে কোন সংখ্যালঘু আক্রান্ত হতে পারবে না, করতে দেওয়া হবে না।
এ সময় মাওলানা সাজিদুর রহমান আরো বলেন, বিগত সময়ে হেফাজত ইসলামসহ আলেমদের উপর অনেক অত্যাচার-জুলুম হয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার এক ছাত্রকে মাদরাসার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমাদের ১৬জনকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের আলেমদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ৬৩টি মামলা করে তাদেরকে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে আমাদের ৬জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই সময় আমরা যে মামলাগুলো করেছিলাম বৈরী পরিবেশের কারনে মামলাগুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারিনি। ইনশাল্লাহ ওই মামলাগুলো আমরা চালাব।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারি সরকারের পতন হয়েছে। এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মাওলানা মুফতি মোবার উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমি, সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারী বোরহান উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, প্রচার সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া খান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক পদক্ষিণ শেষে শহরের কাউতলী জেলা ডায়াবেটিস সমিতির হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডঃ মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নোমান মিয়া, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম,সমিতির সহ সভাপতি এডভোকেট হাবিব উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নূরে আলাম সিদ্দিকী।
সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ওমর ফারুক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আরজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা বক্তব্যে বলেন ভূয়সী প্রশংসা করে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত হাঁটা, ব্যয়াম করা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিমিতি আনার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ও সদর উপজেলা যুবদলের যৌথ উদ্যোগে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের টি.এ. রোড প্রদিক্ষণ করে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংক্ষিত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভ‚ইয়া খোকন, এ.বি.এম মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুলিশ মিথ্যা ও মনগড়া মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তারা অবিলম্বে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবে শামীম মোল্লাকে গ্রেফতা করা হয়েছে। তিনি ১৫টিরও বেশী মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিম, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হক (৩২) এবং মাদক ব্যবসায়ী মোঃ হাসান মিয়া (৪৫)।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিমকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম কান্দিপাড়ার কাউছার মিয়ার ছেলে। একই রাতে গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হককে গ্রেফতার করা হয়। সে সদর উপজেলার ররিশল গ্রামের শেখ আহাম্মদের ছেলে। এ ছাড়া ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী হাসান মিয়াকে পৌর এলাকার সবুজবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হাসান মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়ার মোঃ মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।