চলারপথে রিপোর্ট :
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটুক্তি করায় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় কর্মরত সকল নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের দাবি জানান তারা।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইউনাইটেড নার্সিং কলেজ, তিতাস নার্সিং কলেজে ও মডেল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এসে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ?সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমা খাতুন ও শেফালী আক্তার, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া, ফাহিমা আক্তার, আরিফ মিয়া, রিফাত মিয়া, ফুয়াদ রায়হান ও খাদিজা সুলতানা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রশ্ন হাসপাতাল ছেড়ে আমরা কেন রাস্তায়। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক মাসকুরা নূর আমাদের নার্সদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি যদি নার্সদের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতেন তাহলে এই প্রশ্ন তুলতেন এবং অধিদপ্তর থেকে পালাতেন না। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক বলেছেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদা দিয়ে সরকার ভুল করেছে। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মহাপরিচালককে পদত্যাগসহ অধিদপ্তর থেকে অপসারণ করতে হবে। তারা বলেন, আমরা এইচএসসি পাস করে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করে লাইসেন্স পরীক্ষা ও নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদার পেশা সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান করি। যোগ্যতা অনুযায়ী নার্সদের মূল্যায়ন করতে হবে। নার্সিং থেকে ডিজিএনমে আমাদের পদায়ত করতে হবে।
স্বৈরাচারী মহাপরিচালক (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগ, ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের করতে হবে। নার্সদের বিসিএস করার সুযোগ দিতে হবে। নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে আমাদের পদায়ন করতে হবে। অধিদপ্তরে যেন নার্সরা বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বহিরাগত কর্মকর্তাদের জন্য নার্সিং পেশার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তারা আমাদেরকে খেলনার পুতুল বানিয়ে রেখেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়নের নামে তারা ঘুষ বানিজ্য করছেন। আমাদের পদায়ন করলে তাদের ঘুষ বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেই নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে নার্সদের পদায়ন করা হচ্ছে না। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার একটি নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা আশা করি তিনি নার্সদের দরদ ও দাবি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে দুইটি ড্রেজার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার দুটি জব্দ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন হাবলা উচ্চ গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার দুটি জব্দ করেন। অভিযানের খবর পেয়ে মাটি ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা গা ডাকা দেয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, অভিযানে মাটি উত্তোলন কজে ব্যবহৃত দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে মাটি ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবন করে সড়কে অশ্লীল আচরণ ও মাতলামি করার অপরাধে সাত যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাদের এ সাজা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন।
অভিযানে ছোট বাকাইল গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে রুবেলকে একমাস, মজলিশপুরের সুরুজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে তিনমাস, দারমা গ্রামের শনি মিয়ার ছেলে শামসু মিয়াকে একমাস, একই গ্রামের আবুল ফারুকের ছেলে দুলাল মিয়াকে ১৫ দিন, আব্দুল মালেকের ছেলে হেফিল মিয়াকে তিনমাস, রফিকুল ইসলামের ছেলে মনিরকে দুইমাস ও সোহরাব মিয়া নামের একজনকে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি মজলিশপুর গ্রামে মাদকসেবীদের উৎপাত বেড়েছে। এর প্রভাবে চুরিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মাদক সেবন করে মাতলামি ও অশ্লীল আচরণ করায় সাতজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলায় দেড় হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মধ্যে এই সার ও বীজ বিতরণ করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভ‚ইয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভ‚ইয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ-২- ২০২৩-২৪ মৌসুমে রোপা আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৫শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও সার দেওয়া হয়। প্রতি কৃষককে ৫ কেজি রোপা আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১০ কেজি ডিএপি সার দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় যখন বারবার ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, তখন একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রদল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, জেলা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রদলের সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটে আমাদের ওপর যত অত্যাচার ও স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, কোনো ছাত্রসংগঠনকে এত নির্যাতন করা হয়নি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি হাসান বিন সোহাগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীন, সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কের সংস্কার কাজ, ড্রেন নির্মান ও বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে শহরের পুরাতন জেলখানার মোড় থেকে মেড্ডা পীরবাড়ি পর্যন্ত (বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হুদা সড়ক), বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়ক, মধ্যপাড়া মহেশ্বরী দিঘীর চতুরপাশের সড়ক, মেড্ডা তিতাসপাড়া সড়ক, পৌর শিশু মেলার বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ, শহরের কে.দাস মোড় থেকে আনন্দ বাজার খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, শহীদ পলু সড়ক (কোর্ট রোড), নব-নির্মিত মসজিদ রোডের উন্নয়ন কাজ, শিমরাইলকান্দি প্রধান রাস্তা ও উন্নয়ন কাজ, ফুলবাড়িয়া প্রধান সড়ক ও আরসিসি ড্রেন নির্মান কাজ, ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ, ভাদুঘর দারোগা বাড়ি রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পূর্ব পাইকপাড়া ধোপা বাড়ি, গগনসাহা বাড়ি, ননি সাহা বাড়ি, অধ্যাপক হরলাল রায় রোড ও কুসুম দাস সড়কের উন্নয়ন কাজ ও ড্রেন নির্মান, উত্তর পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দাড়িয়াপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, আমিনপুর থেকে চন্ডালখিল-নয়নপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন ও মেয়র নায়ার কবির সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সকালে পৌরসভার মিলনায়তনে মেয়র নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বক্তব্য রাখেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, পৌর সভার কর্মকর্তাগন, পৌর কাউন্সিলরগন, ঠিকাদারগন ও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি সেক্টরেই অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আজ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। চলতি মাসে আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার হবে। তিনি ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের গুনগত মান বজায় রেখে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করবেন। উন্নয়ন কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তা বরদাস্ত করা হবেনা। তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর ভোগান্তি লাঘব হবে। পরে তিনি ফিতা কেটে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, প্রকল্পগুলোর প্রক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, পৌর সভার সকল রাস্তার সংস্কার কাজ করা হবে। চলতি মাসেই আরো কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার দেয়া হয়েছে।