চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.)। বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর পুণ্যময় দিন। সারা বিশ্বে মুসলমান সম্প্রদায় বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালন করে থাকেন। বাংলাদেশেও দিনটি সরকারিভাবে পালিত হয়। এছাড়া পত্রিকায় ক্রোড়পত্র এবং টেলিভিশন-রেডিওতে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ (সা.) মা আমেনার কোলে জন্ম নেন। ৩৭ বছর বয়সে তিনি হেরা গুহায় অবস্থান করে ধ্যানমগ্ন হতে শুরু করেন। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে মহানবী (সা.) নবুয়ত লাভ করেন। প্রথম তিন বছর তিনি ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্তজনদের কাছে ইসলাম প্রচার করেন। ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে নবুয়তের চতুর্থ বছরে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। বিশ্ববাসীর উদ্দেশে ঘোষণা করেন শান্তি, সাম্য, ঐক্য ও কল্যাণের বহুমুখী কর্মসূচি। জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগে অজ্ঞতা, মূর্খতা, কুসংস্কার ও পাপাচারে নিমজ্জিত ছিল জাজিরাতুল আরব বা আরব উপদ্বীপ। এ সময় জ্ঞানের প্রদীপ শিখায় বিশ্বমানবতাকে আলোকোজ্জ্বল করে তুলেন মানবতার মহান বন্ধু মুহাম্মদ (সা.)। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন এবং সেখানে একটি আদর্শ সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিত করে একটি সনদ স্বাক্ষর করেন, যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত। ২৩ বছর ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালেই ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। ব্যক্তিজীবনে, সমাজ ও রাষ্ট্রে একমাত্র তাঁর অনুকরণ-অনুসরণই দিতে পারে মুক্তির দিশা। পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ (সুরা: আহজাব, আয়াত : ২১)। তিনি মানবজাতির সর্বোচ্চ পূর্ণতায় অধিষ্ঠিত একমাত্র ব্যক্তি। ‘(হে রাসুল!) নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা: কলম, আয়াত : ৪)। তাই আজকের এ অস্থির ও অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণ পেতে আমাদের উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শের পরিপূর্ণ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এদিনে নফল রোজা রাখেন। বেশি বেশি দরুদ পাঠ, কুরআন শরিফ তিলাওয়াত, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধনিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরো চার উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। ইতোমধ্যে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়াসহ পুরনোদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে। নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা করা হয়েছে লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে।
এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং আরও ১৩ উপদেষ্টার সঙ্গে শপথ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আর লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শপথ নেন আজ।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জেলা ঈদগাহ ময়দানে চরমোনাইর মাহফিলের নমুনায় ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। এতে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উদ্বোধনী বয়ান হবে। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের মূল মধ্যমণি হিসেবে করবেন আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই (৩য় দিন), নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই (২য় দিন), জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ দা.বা., জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান দা.বা. ও পীর চরমোনাই রহ. -এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দা.বা. (১ম দিন)। 25068322আরো বয়ান করবেন পীর চরমোনাই রহ. -এর অন্যতম খলিফাত্রয় হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর খুলনা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর কারীমপুর ও মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর মোড়েলগঞ্জ। এছাড়াও মাহফিলে পীর মাশায়েখ ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরাম বয়ান করবেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে ৩ দিনের প্রয়োজনীয় বেডিং/ছামানা নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আবু ছালেহ ও মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওয়ালী প্রমুখ।
https://www.profitablecpmrate.com/ituzvky0w?key=629d3cad52ec93612199eb57d46d63c7
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সচিব হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এসব তথ্য জানানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশের ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে নতুন আইজিপি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মাসেই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় এক বছর বাড়ানো হয়েছিল। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর আগে দেড় বছর চুক্তিতে আইজিপি পদে ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার বাংলাদেশ সফররত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হককে নির্বাচনের এই সম্ভাব্য সময় জানান তিনি। এ সময় পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠ হবে বলেও আশ্বস্থ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
রূপা হক রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে আগামী নির্বাচন, গণঅভ্যুত্থানসহ নানা ইস্যুতে আলাপ হয়।
ড. ইউনূস বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকার। জোরপূর্বক দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মানুষ এখন তাদের কণ্ঠ ফিরে পেয়েছে।
রূপা হক পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান।
অধ্যাপক ইউনূস তাকে জানান পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা রয়েছে। এটা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের মধ্যভাগে হতে পারে। তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার উপরে।
প্রধান উপদেষ্টা রূপা হককে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জনগণের ওপর কীভাবে নিপীড়ন চালানো হয়েছিল সে সম্পর্কে অবহিত করেন।
রূপা হক নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান।
এর আগে রূপা হক যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী এবং এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুর্শেদের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে বৈঠক করেন।
বর্তমানে ইউকেবিসিসিআই’র একটি প্রতিনিধিদল তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছে। ইউকেবিসিসিআই’র চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ এবং প্রেসিডেন্ট এম জি মওলা মিয়া প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
লুৎফে সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের, বিশেষত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট মহান গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের লোকনাথ উদ্যানে (টেংকেরপাড়) এই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
ড্যাব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হিমেল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মো. নোমান মিয়া, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি এ.বি.এম. মোমিনুল হক, সহ-সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন রিপন, সহ-সাধারণ আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহিন, নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ পিবি রায় সুপ্রিয়।
অনুষ্ঠানে ড্যাব জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই দিনগুলোকে স্মরণ করে আমরা রক্তদানের মতো মহৎ কাজে অংশ নিয়েছি, যা মানবতার সেবায় নিবেদিত।
পরে কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এছাড়া ব্লাড গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে নতুন অনেকেই নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানার সুযোগ পান।