চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিক্ষা চাইতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এক নারী। তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ঘাতক মো. মানিক মিয়াকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মানিক মিয়া শ্রীপুর গ্রামের মোল্লা মিয়ার ছেলে।
নিহত আমেনা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমেনা বেগম কিশোরগঞ্জ সদরের ফজলুল হকের স্ত্রী। তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারী ভিক্ষা চাইতে গেলে মানিক মিয়া তার ওপর হামলা করে। হামলার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে সে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দিয়েছে। ওই নারীর পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ২২ কেজি গাঁজাসহ আবুল হোসেন (২৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়। আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর-হরষপুর সড়কের পাইকপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি অটোরিকসা আটক করা হয়।
পরে অটোরিকসায় তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজাসহ আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ৮২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ১১ হাজার ৫৬০ টাকা সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আল-আমিন ইসলাম প্রকাশ শাবলু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল সেট ও মাদকদ্রব্য মাপার ২টি ডিজিটাল মেশিন উদ্ধার করা হয়।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের শাবলু মিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাবলু মিয়া ইসলামপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী শাবলু মিয়াকে গ্রেফতার ও বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত শাবলু মিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সবদিকে ধুলা। ধুলায় যেন অন্ধকার। বিজয়নগরের হরষপুর- মির্জাপুর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়কের পথচারিদের শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ পথের যাত্রীদের সীমাহীন দুভোগ।
জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হরষপুর-মির্জাপুর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়ক।
সড়কটি পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাথে বিকল্প সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পাশর্^বর্তী মাধবপুর উপজেলার অধিকাংশ জনগোষ্ঠি চলাচল করে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন যাবত এ সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষজন। বর্ষার মৌসুমে কাদা পানি সয়লাব আর শুষ্ক মৌসুমে প্রচুর ধুলাবালির সৃষ্টি। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে পানি দিয়ে কিউরিং না করায় ধুলা-বালিতে ভরপুর। এ সড়কের যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ কোনোভাবেই কাটছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কারের দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করা হয়। প্রায় ৪ কোটি টাকায় সংস্কার কাজটি পায় চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিপন ট্রেডার্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স পিন্টু কন্সট্রাকশন (জয়েন্ট বেঞ্চার) । কাজটি করাচ্ছেন মেসার্স পিন্টু কন্সট্রাকশনের মালিক মোঃ আতাউর রহমান পিন্টু। গেল বছরের মার্চ মাসে সংস্কার কাজটির ওয়ার্ক অর্ডার (অনুমতিপত্র) পায় প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের অক্টোবর মাসে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও আদৌ পর্যন্ত সড়কটির সংস্কারের কাজ শেষ করতে পারে নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সংস্কারের কাজ গত বছরের শেষ দিকে শুরু করে প্রায় ৩ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ঐ সংস্কার করা সড়ক ও ভাঙ্গন ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এ সড়কের হরষপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত বাগদিয়া ব্রীজ থেকে হরষপুর দেওয়ান বাজার পর্যন্ত সড়কের ভেকু দিয়ে সড়ক খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদারীপ্রতিষ্ঠান। সড়কের কাজ না করায় মাসের পর মাস অতিবাহিত হচ্ছে। কাজ বন্ধ থাকায় ধুলাবালিতে বিশাল এলাকায় ধুলোর নগরীর পরিণত হয়েছে। সড়কের পাশে থাকা স্কুল, মাদ্রাসা, দোকানপাট, হাট-বাজারের মানুষের অবস্থায় খুবই নাজুক।বাগদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, এ সড়ক এখন ধূলার কারখানা। এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করলে শরীরে ধুলার প্রলেপ পড়ে ধূলোর আস্ত জমাট বাঁধে। সড়কের পাশে থাকাবাড়ি ঘর লোকজন জানান, সড়কের ধুলাবালি ঘরে ঢুকছে আর এ ধুলাবালু ঘরের আসবাপত্রে জমাট বেঁধেছে। ঘরে খাবার দাবারেও ধুলা পড়েছে। তারপরও সহ্য করে এসব খাবার খেতে হচ্ছে তাদের। সড়কেরপাশে থাকা গাছপালার লতাপাতা এখন ধুলাবালুতে আচ্চাদিত। প্রচুর ধুলাবালুতে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।
ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই মোটর সাইকেল যোগে এ সড়ক দিয়ে একাধিকবার যাতায়াত করতে হয়। মাস্ক ও রুমাল পড়েও ধুলা থেকে কোনোভাবেই রেহাই মিলছে না।
কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী শান্তা বলেন, ধুলাবালুতে অবস্থা খারাপ। কলেজে আসা-যাওয়ার খুবই কষ্ট হচ্ছে। আর জামা-কাপড়ের অবস্থা তো বলে শেষ করা যাবে না। আর কত দুর্ভোগ পেতে হবে?এদিকে সড়কের অবস্থা ভালো না হওয়ায় এ সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। আর যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত। সড়কের অতিরিক্ত ধুলাবালি নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশকরছে। এতে করে অ্যাজমা, হাঁপানী শ্বাস কষ্টসহ নানা রোগব্যাধির সম্ভবনা রয়েছে।এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ আতাউর রহমান পিন্টুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঞা সড়কের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কের কাজে কিছু ক্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় তা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত করার জন্য বলা হয়েছে। আর যদি দ্রুত কাজ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে কাজের সময়সীমা অতিবাহিত হয়ে গেলেও ঠিকাদার ঢাকা অফিসেও সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও তার সহযোগীর ওপর হামলা করেছেন সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা।
৭ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান তিতাস নদীতে নেমে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে সঙ্গে থাকা বিশাল (২৮) নামের এক কর্মী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন দিবাগত মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। তাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এরই জেরে তারা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক, যুগ্ম-সম্পাদক ও নবগঠিত ছাত্রদলের আহ্বায়কের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শহরের লোকনাথ দীঘির পাড়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় উভয় পক্ষ। পরে নবগঠিত কমিটির নেতারা শহরতলীর বিরাসারে কর্মসূচি করতে চাইলে সেখানে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি তিতাস নদী এলাকায় নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান ও আরও কয়েকজন ঘুরতে যান। খবর পেয়ে সেখানে যান সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মহসিন মিয়া। সেখানে তাদের হাতাহাতি হয়। এরই মধ্যে সেখানে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী।
এসময় আহ্বায়ক শাহিনের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করলে তিনি তিতাস নদীতে নেমে আত্মরক্ষা করেন। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশালকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা উদ্ধার করে নিয়ে যান। এদের মধ্যে বিশালকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মহসিন মিয়া বলেন, বিকেলে আমরা ঘুরতে যাই। সেখানে আহ্বায়ক শাহিন আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেন। পরে আমরা আত্মরক্ষা করেছি।
তবে এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।