চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই ধানের চারা বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ৬০ ব্যাটালিয়নের (সুলতানপুর ব্যাটালিয়ান) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি এই ধানের চারা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে ১৭ বিঘা (৫৬১ শতক) জমি চাষাবাদের জন্য আমন ধানের চারা বিতরণ করা হয়।
ধানের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক খ. ম. হারুনুর রশীদ ঢালী, বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের সুবেদার সেলিম সরকার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৪ বোতল বিয়ার, ৪ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৪ কেজি গাঁজাসহ তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রাম ও দুপুরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রাম ও বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার সাগরতলা গ্রামের কাউছার মিয়া (১৯), যশোর জেলার সদর উপজেলার নলিতাদহ গ্রামের ইলিয়াস হোসেন (৩৫) ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের মোঃ আশিক (২৩)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাগরতলা গ্রামের ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ বোতল বিয়ার এবং ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব মাদকদ্রব্য ওবায়দুর মিয়ার বাড়িতে স্টীলের আলমারী ও রান্নাঘরের মাটির নিচে লুকানো ছিলো।
অপর দিকে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের লক্ষীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা আটক করা হয়। পরে অটোরিকসায় তল্লাশী চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একইদিন বিকেলে উপজেলার কৈখলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২টি বস্তায় ভর্তি ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগকালীন সময়ে পরিবহন সহায়তায় মহাবীর বিপ্লবী ছাত্র জনতার পাশে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসি ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদে ঢাকাস্থ কসবা সমিতির আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বিআরটিসি সব সময় সরকারের যে কোন দুর্যোগকালীন সময়ে পাশে আছেন, যেহেতু বিআরটিসি সরকারের একমাত্র রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। ছাত্র জনতা যখন টিএসসিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন আমরা প্রথম দিন থেকে বিআরটিসির ট্রাক সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্র জনতার পাশে ছিলাম, ছাত্র জনতা যখন যেই পরিমাণ ট্রাক চাচ্ছিল সেই পরিমাণ ট্রাকই কিন্তু বাংলাদেশের ১১টি জেলায় ছেড়ে দিয়েছি। সামনেও যত ট্রাক লাগবে আমরা দিয়ে পাশে থাকবো।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২০২১ এর আগে বিআরটিসি ডুবে গিয়েছিল বা ডুবতে বসেছিল। সেই বিআরটিসি এখন কিন্তু তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এইটা বিপ্লবী সরকার। এই বিপ্লবী সরকারের নির্দেশনায় আমরা আরো ঘুরে দাঁড়াবো।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, ঢাকাস্থ কসবা সমিতির ত্রান উপ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ সৌকত রেজা রতন, মোজাম্মেল হক লিটল, ইকবাল আহমেদ, মোঃ কবিরুল আজাদ, লায়ন এম. এ. সোহেল আহমেদ মৃধা, আলহাজ হেলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল বাকের সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বন্যাকবলিত কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ১৪০জন, কায়েমপুর ইউনিয়নের ১০জন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ৫০জন বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মোট দুইশত জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১০৩ কেজি গাঁজা ও ২৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার রাত ১১টার দিকে অভিযানটি চালায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরবের নাটালের মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে ৫১টি বান্ডিলে মোড়ানো ১০৩ কেজি গাঁজা, ২৯৮ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৫২০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় ট্রাকে থাকা দুজনকে। তারা হলেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার কল্পবাস গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৮) ও ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার (৩১)।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী গ্রেফতার দুজনকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তারা মাদকের এই চালানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন যাবত তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা দিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার টি-আলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাচ্চু মিয়া কসবা উপজেলার কালতাসার গ্রামের নাজির আলীর ছেলে ও জাহাঙ্গীর আলম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কুড়িপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে উপজেলা সদরের টি-আলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।