চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস আটক করা হয়েছে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী গুরুহিত মোড় পাকা রাস্তার উপর হতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে বিজিবি টহলদল একটি ট্রাকসহ ভারতীয় উন্নতমানের ১৫৮৪ পিস শাড়ি এবং ১৭৭ পিস থ্রিপিস মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতিপক্ষের উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হারুনুর রশিদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জমিতে ফুটবল পড়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কথা কাটাকাটির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ সভায় যাওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নিহতের পরিবার। নিহত হারুনুর রশিদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা আবদুল মান্নান জানান, হারুনুর রশিদ তার বাড়ির পাশেই একটি জমিতে তিলের চাষ করেছিলেন। গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে বায়েজিদ ও ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাগর মিয়াসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বিকালে পাশেই একটি জমিতে ফুটবল খেলছিলো। ফুটবলটি হারুনুর রশিদের তিলের জমিতে বার বার পড়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। এ নিয়ে হারুনুর রশিদ তাদেরকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদের দাদা আনু মিয়া বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য হারুনুর রশিদকে খবর দেয়। আনু মিয়ার বাড়িতে হারুনুর রশিদ যাওয়ার পথে বায়েজিদ ও সাগর মিয়াসহ কয়েকজন মিলে হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুনুর রশিদ এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। জমিতে ফুটবল পড়ায় একটু তর্কাতর্কির কারণে সাগর ও বায়েজিদরা ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করবে এটা ভাবাও যায় না।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এজহার ভুক্ত আসামি মো. ফিরোজ মিয়া ও রত্না আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০ কেজি গাঁজাসহ জান্নাত আক্তার (২৩) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার ভোরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জান্নাত আক্তার লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জান্নাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার ঘর তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গিয়াস উদ্দিন পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত জান্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরে করা হয়েছে।