চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো র্যাবের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পৌর এলাকার উত্তর মৌড়াইলের মোঃ আমিনুজ্জামান (৪০), পাইকপাড়ার মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও পুনিয়াউটের মোঃ ইয়াছিন (২৮)। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার আলীমাবাদের শওকত খানের ছেলে আরাফাত খান (১৯) ও মো. রাব্বি খান (২৩), পটুয়াখালীর মৃত শামসু মোল্লার ছেলে সাগর (২৮), ভোলার চরফ্যাশনের শামসুদ্দিনের ছেলে মো. কাশেম (১৯), কুমিল্লার চান্দিনার মৃত সফর মল্লিকের ছেলে মো. গোলাম হোসেন (৪৯), হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের মোহাম্মদ হেলালের ছেলে সাইদুল (২৭), ঝালকাঠির নলছিটির মৃত আবুল মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (২৬), বরিশালের গৌরনদীর ইসমাঈল শরীফের ছেলে মো. হাসান (২৫), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের সিরাজের ছেলে মিরাজ (৩০) ও ময়মনসিংহের মৃত নূর হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৪)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়িতে তালা ভেঙে ও গ্রিল কেটে চুরি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জেরে দুই চোরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রাজধানীর তাঁতি বাজার থেকে চুরি প্রায় সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, তারা শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নয়, ঢাকায় সংগঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে চুরি করে। যে এলাকায় চুরি করে, সেখানে আবাসিক হোটেলে গিয়ে থাকেন। তারপর দিনে হোটেল থেকে বের হয় ঘোরাফেরা করে ফ্ল্যাট এবং বাসা রেকি করে। কোনো বাসা তালাবদ্ধ দেখলে তার বাইরে কয়েকজন সদস্য পাহারা দেয়। বাকির বাসার তালা বা গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চুরি করে। তাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান, নেত্রকোনা জেলার সদর, যশোর জেলার কোতোয়ালি, জামালপুর জেলার সদর, কিশোরগঞ্জ জেলার কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি, নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বিপনী বিতানের দুটি দোকান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সোয়া কোটি টাকার মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে শহরের কালীবাড়ি মোড়ের এল.আর প্লাজার “মোবাইল মেলা” নামক দুটি দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
দোকান দুটির মালিক মোবারক হোসেন জিসান জানান, তিনি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দোকানে গিয়ে দেখেন দোকানের সার্টার লাগানো, তবে তালা গুলো খোলা। পরে তিনি দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দেখেন দোকানে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুইশতাধিক মোবাইল ফোন সেট চোরেরা নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের মধ্যে আইফোন-১৪ প্রো ম্যাক্স,আইফোন-১৩ প্রো ম্যাক্স, আইফোন-১৩, আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্স, আইফোন-১১ প্রো ম্যাক্স, গুগল পিক্সেল ৭ প্রো, অপোর বিভিন্ন মডেলের, ভিভোর বিভিন্ন মডেলের, শাওমি বিভিন্ন মডেলের, ওয়ান প্লাস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের, স্যামসাংয়ের, স্যামসাং ফোল্ড-৩ মডেলের, ফোল্ড-৪ মডেলের, ফ্লিপ-৩ মডেলের ও ফ্লিপ-৪ মডেলের মোবাইল চুরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, তার প্রায় সোয়া কোটি টাকা মূল্যর মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, চুরির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবিতে সোনিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার ধন মিয়ার মেয়ে।
সোনিয়ার বাবা ধন মিয়া জানান, সাত বছর আগে একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়। সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য তাঁকে প্রায়ই নির্যাতন করত। সম্প্রতি রাসেল ফার্নিচারের ব্যবসার জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করে।
ধন মিয়ার অভিযোগ, সোনিয়া টাকা দিতে অস্বীকার করায় রাসেল এবং তার মা-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা শনিবার বিকেলে তাঁকে গলা টিপে পোকা মারার বড়ি খাইয়ে দেয়। পরে হাসপাতালে রেখে চলে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলার আবেদন করেছেন তিনি।
ঘটনার পর সোনিয়ার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বিষপানে নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তিনি আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত হয়েছিলেন কিনা, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য পেলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জহুরা আক্তার নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন পুলিশ সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য। সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। তাই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র উপহার। শুধু এই উপহারই নয়, ঈদের দিন সকল পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইনে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেমন জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু সামলেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনেও যদি কোনো বিপদ আসে পুলিশ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে সমাধান করবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিথি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) শিরাজুল ইসলামসহ সকল ইউনিয়নের অফিসার ইনচার্জগণ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন বলেন, আমরা সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দৈনিক হাজিরার স্টাফদের উপহার প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে এসপি থেকে শুরু করে পুরুষ কনস্টেবল পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন, নারী পুলিশ সদস্য ১১৩ জন, সিভিল স্টাফ ৩৬ জন এবং দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে স্টাফ ২৬ জনকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।