অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছে না। যারা এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের যেসব সদস্য অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের কিছুতেই মাফ করা হবে না।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি আনসার ভিডিপি একাডেমিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে খোলা জিপে চড়ে প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছয়জন বিসিএস কর্মকর্তা ও ৯০৮ জন রিক্রুট সিপাহী সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের জন্য নির্ধারিত মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। বিসিএস কর্মকর্তারা দীর্ঘ ১২ মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। একইসঙ্গে মাস্টার্স অব হিউম্যান সিকিউরিটি (এমএইচএস) কোর্স সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে রিক্রুট সিপাহিরা ৬ ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের পর অনেক পুলিশ সদস্য আত্মগোপনে চলে যান। আবার উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেননি। পরে নোটিশ দিয়ে তাদের কর্মে ফেরায় পুলিশ সদর দফতর। কিন্তু এমন নোটিশ পেয়ে বেশিরভাগ কাজে যোগ দিলেও এখনো ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে এখনও অনুপস্থিত রয়েছেন বলে গতকাল পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রাতে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পর গত ১ আগস্ট থেকে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১৮৭ জন কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত রয়েছেন।
আজ বাংলাদেশ আনসার একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেননি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে। এখনও কাজে যোগ দেয়নি এমন পুলিশের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আমরা তাদের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করছি। আপনারাও তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।
সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা জনগণের সুবিধার জন্য দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছে। তাদের একটা ক্ষমতার ভেতর কাজ করতে হবে। আমাদের অন্য বাহিনীতে কিছু স্বল্পতা রয়ে গেছে।
আনসার বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আজ বাংলাদেশ নবজাগরণে উজ্জীবিত। বিগত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের হতে পারেনি বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার সরকার দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দিয়েছেন আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ইয়ামিন ও ফাইয়াজদের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা। আপনাদের কাছে আমার চাওয়া, দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনারা নিজেদের সপে দিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায্যতার মাপকাঠিতে কাজ করবেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আনসার বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থানা, ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপির থানাগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
আনসার বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর স্বল্পতার মাঝেও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জাতির জরুরি প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বাহিনীটির সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপ মহাপরিচালকবৃন্দ, বাহিনীর পরিচালকরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহটের শরণখোলায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে। নিহত পাপিয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সাওদা জেমীকে (৫) ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। গুরুতর অবস্থায় মা পাপিয়াকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে হাসপাতলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ রাত ৯টার দিকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে কে বার কারা এই হত্যাটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ স্বপন কুমার বালী জানান, খবর পেয়ে পাপিয়া বেগমকে তার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় বাড়ির কিছু দূরে পড়ে থাকা অবস্থায় মেয়ে সাওদা জেমীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে জানানো হয়।
গ্রাম পুলিশ স্বপন বালী জানান, পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে থাকতেন। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা জানান, তার ইউনিয়নের ১ নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডে মা-মেয়ের জোড়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পারিবারিক কারণে এটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশফাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই পাপিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম পাওয়া গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাট কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে মো. ওয়াজ কুরুনী (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওয়াজ কুরুনী উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ওয়াজ কুরুনী ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশের বিলে পাট কাটছিলেন। এ সময় একটি বিষাক্ত সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবার আলী জানান, ওয়েজ কুরুনীকে সাপে কাটলে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ভাবখন্ড গ্রামে সাপের কামড়ে বর্ষন মহন্ত (১১) নামের এক কিশোর মারা গেছে। ওই কিশোর ভাবখন্ড গ্রামের দেবাশীষ মহন্তের ছেলে। বৃহস্পতিবার তার লাশ দাহ করা হয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ওই কিশোরের বসতঘরের ভিতর মাটির গর্তের ভিতরে পা গেলে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরে তাকে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে সাপের বিষের ওষুধ না থাকায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বর্ষনের মরদেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় স্মার্ট মাদ্রাসা বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বিকালে ভাঙ্গার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদরাসা চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবু ইউসুফ মৃধার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন, মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান, ভাঙ্গা উপজেলা একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রহ্লাদ বিশ্বাস, কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।
সভায় মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি না চাওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন প্রণয়ন করে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আনলেও মাঠ কর্মকর্তারা তা না মানায় এমন নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে। অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলা হতে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর নিকট হতে চাওয়া হচ্ছে, যা বিধি বহির্ভূত। উক্তরূপ বিধি বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে।
বিধি ১৭ অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও বাধ্যতামূলক নয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার চান্দিনায় প্রবাসী শহীদ উল্যাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চান্দিনা থানার কাশারীখোলা গ্রামের নিহত শহীদ উল্ল্যার স্ত্রী হাছনেয়ারা বেগম, একই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. শাহজাহান, মৃত মধু মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেন ও মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মো. মোস্তফা (পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন শহীদ উল্যাহর মেয়ে মোছা. খাদিজা বেগম খোদেজা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়- কাশারীখোলার ছায়েদ আলীর মেঝো ছেলে ভুক্তভোগী শহীদ উল্ল্যা শহীদ (৪৮) দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর বাড়িতে আসেন। ২০০৯ সালে ২১ নভেম্বর রাত ৪টার দিকে লোকজনের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে বাদী জানতে পারেন, শহীদ উল্যাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল ৭টার দিকে গ্রামের ধান খেতের মধ্যে শহীদ উল্যার লাশ পাওয়া যায়।
২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই ছায়েদ আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্যা ওরফে আরব আলী (৬৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক মো. আবদুল হান্নান সন্দেহ হওয়ায় নিহতের স্ত্রী-কন্যাসহ অপর দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করেন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তারা জানান, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব নিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সাথে বিবাদের সৃষ্টি হয় শহীদ উল্যার। এই ঘটনায় রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়ে অন্যদের নিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ ধান খেতে ফেলে আসেন।