চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিনিধিরা। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। দুইটি বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এসব খাতা কলম দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী ইনামুল হক এ কাজে সহায়তা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাতা-কলম দেওয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শিপন হায়দার, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম, নয়াদিগন্তের মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, আনন্দ বাজারের কাজী মফিকুল ইসলাম, খবরের কাগজের জুটন বনিক, সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন, প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু এই আয়োজনের সমন্বয় করেন।
এ সময় জানানো হয়, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগটি অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী অতিথি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কাজের প্রশংসা করে বলেন, বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ক্ষতির কথা কারোর মাথায় ছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই ধরনের চিন্তাটা খুবই সৃজনশীল। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপকার হলো। আব্দুল্লাহপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহীন ও সুলতানা তাহমিনা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রশংসা করেছেন রহিমপুরের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করায় তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে পৌরশহরের সড়ক বাজার মুক্তমঞ্চের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলা টিভির আখাউড়া প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি কাজী হান্নান খাদেম, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, যুগান্তর পত্রিকার আখাউড়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু, দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জুটন বনিক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার আখাউড়া প্রতিবেদক রুবেল আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিকরা গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে স্টেশন রোডসহ প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচি সমাপ্ত করে।
এশিয়ান টেলিভিশনের আখাউড়া প্রতিনিধি অমিত হাসান আবিরের উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন লিটন, নাসির উদ্দিন, ফজলে রাব্বি, সফিকুল ইসলাম খান, সাদ্দাম হোসেন, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল আহমেদ রনি, শেখ মনির হোসেন নিজাম, জহিরুল ইসলাম সাগর, হাসান মাহমুদ পারভেজ, ইসমাঈল হোসেন, জুনাইদ আহমেদ পলক, মাসকুর রহমান আলম, অমিত হাসান অপু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২৪ ঘণ্টায় মাদক ব্যবসায়ী, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী ৩ জন, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ৩ জন ও আবাসিক হোটেল থেকে ৩ জন রয়েছেন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ বোতল স্কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে, থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুরের পিয়াম গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আলম, আখাউড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে তিশা আক্তার, ময়মনসিংহের ফুলপুরের ছোট শুনোই গ্রামের রুকন মিয়ার স্ত্রী শান্তা, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত আওয়াল মিয়ার স্ত্রী রওশনা বেগম, উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত হামদু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া, পৌর এলাকার দুর্গাপুরের শামীম মিয়ার ছেলে মো. আরিফ মিয়া, তারাগন এলাকার শিপন মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তার, মনিয়ন্দ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আবুল বাশার ও একই গ্রামের মৃত অলেক মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে। যেকোনো মূল্যে অপরাধ নির্মূল করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রাসেল মিয়া (২৫) নামে এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম। এর আগে রবিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল একই ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে রাসেল পরিবার নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি হিরাপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। বিকালের দিকে সে সবার অজান্তে বিষপান করে। বিষের যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে। সন্ধ্যায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বিষপানে জামাইয়ের আত্মহত্যা খবরটি শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ পদ্ধতি সহজলভ্য হওয়া কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকছেন ভুট্টার চাষের দিকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় যা চোখে পড়ার মত। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা স্থানীয়রা কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি। তবে ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের সার, বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
কৃষক সামছু মিয়া বলেন, কত কয়েকবছর যাবৎত ধরে ভুট্টা চাষ করছেন। এ মৌসুমে তিনি বাড়ি সংলগ্ন ৪ বিঘা জমি ভুট্টা আবাদ করেন। এ চাষ করতে বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য সব উপকরণ পেয়েছেন। ভুট্টা আবাদ করতে প্রতি বিঘায় পানি, জমি প্রস্তুত, লাগানোসহ তার ৮/১০ হাজার টাকা তার খরচ হয়। প্রতিটি জমিতেই এখন ফুল এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই মোটা হয়ে যাবে। বর্তমানে জমিতে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
আরেক কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, বোরো ধানের চেয়ে ভুট্টায় লাভ বেশি। তাই তিনি ভুট্টা চাষ করছেন। ভুট্টার কোনো কিছুই ফেলে দেওয়া হয় না। এর পাতা গরুকে খাওয়ানো হয়, তাছাড়া ডাটা ও মোচা লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস বলেন, সব ধরনের ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পেয়ে ফলন বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষ করে ভুট্টা চাষ করতে আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উন্নত মানের ভুট্টার বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বীজ, সার ও তেলের জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।