চলারপথে রিপোর্ট :
রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের উদ্যোগে সাড়ে ৩’শ চক্ষুু রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শহরের পাইকপাড়াস্থ সানসাইন এডুকেশন হোমে দিনব্যাপী বিনামূল্যে এই চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ক্লাব সেক্রেটারী রোটারিয়ান মনিরুল আলমের সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান ডা. ফখরুজ্জামান ভূইয়া, রোটারিয়ান ডা. মোহাম্মদ মনির হোসেন, রোটারিয়ান রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, রোটারীয়ান ডাঃ সুখেন্দু বিকাশ তালুকদার, রোটারিয়ান সাংবাদিক মো: শাহাজাদা, রোটারিয়ান আনিসুর রহমান, রোটারীয়ান আশরাফ আহমেদ, রোটারিয়ান ডা. মোঃ শওকত হোসেন, রোটারীয়ান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, রোটারীয়ান ডাঃ ইয়ামালী খান, রোটারীয়ান ক্ষমা রানী কর, রোটারীয়ান খসরু মিয়া, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ, রোটারিয়ান হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
চক্ষুু শিবিরে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা: মালিক ইফতেখার সিদ্দিকী ও ডা: ফাতেমা সহ আরো কয়েকজন চিকিৎসক দিনব্যাপী ৩৫০ জন চক্ষুু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চায়ের কাপ দিয়ে পুলিশের মাথায় ও মুখে আঘাত করে তাকে আহত করে পালিয়ে গেছেন এক আসামি। আহত পুলিশ সদস্যকে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন বৌ-বাজারে।
আহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এসআই পদে কর্মরত।
সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, জেলা শহরের উত্তর মৌড়াইল এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি ইয়ামিন মিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বুধবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই ইয়াছিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন বৌ বাজারে জসিম মিয়ার চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। এমন সংবাদে ইয়াছিনকে আটক করতে সদর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম সেখানে যায়। সেখানে ইয়াছিনকে আটক করতে গেলে ইয়াছিনের হাতে থাকা চায়ের কাপ দিয়ে এসআই সাইফুলকে মাথায় ও মুখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়।
তাকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ইয়াছিনকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কন্টেইনার ট্রেনের গতি বেশি থাকায় বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কাঠের স্লীপারগুলো পরিবর্তন না করা পর্যন্ত রেল লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকা দিয়ে সকল ট্রেনকে ১০ কিলোমিটার গতি চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কন্টেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতি বেশী থাকায় কন্টেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাঠের স্লীপার পরিবর্তন করে নতুন স্লীপার লাগানো পর্যন্ত রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। স্লীপার পরিবর্তনের পর ট্রেন আগের নিয়মে চলবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকার আউটার সিগন্যাল থেকে রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সকল ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। নতুন রেললাইন বসানো হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে রেলের লোকজন কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে সকল ট্রেন পূর্বের গতিতে চলবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে ৩২টি বগি নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী কন্টেইনার ট্রেনটি রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার পথে শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকায় পৌছলে হঠাৎ করে ট্রেনের ৩১ নং বগির পেছনের ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পরে ট্রেনের চালক লাইনচ্যুত হওয়া বগিটিসহ ট্রেনটিকে টেনে হিচড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যায়। এতে রেললাইনের পাত বেঁকে যাওয়াসহ ৯৮ থেকে ১০০টি স্লীপার ভেঙ্গে যায়।
দুর্ঘটনার পর আপলাইনে (ঢাকা অভিমুখী) ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ডাউনলাইন (চট্টগ্রাম অভিমুখী) দিয়েই দু’দিকের ট্রেন চালানো হয়।
এদিকে লাইনলাইনচ্যুত হওয়ার সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কন্টেইনার ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করে লাইনে তোলা হয়। পরে ১৪ ঘন্টা পর ঢাকামুখী আপলাইন স্বাভাবিক হলে এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এদিকে কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পর রেলওয়ে ঢাকার সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা-১- সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে বিভাগ। তদন্ত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী (সংকেত) ও সহকারী মেকানিক্যাল প্রকৌশলী (অপারেশন) এবং আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স ৬৩তম ব্যাচের শুভ উদ্বোধন ও বই বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় স্থানীয় সুর সম্রাট দি দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহগীর আলম।
বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ফার্মেসীর মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার নীতি ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করবেন। সরকারি নীতিমালা মেনে ফার্মেসী পরিচালনা করবেন। ফার্মেসীতে মেয়াদোর্ত্তীন, ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ বিক্রি করবেন না।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এক কোম্পানীর ঔষধ লিখেছেন কিন্তু ফার্মেসীতে গেলে ওই রোগীকে অন্য কোম্পানীর নিম্নমানের ঔষধ দেয়া হয়। তিনি বলেন, আপনারা সরকারের স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলবেন। মানুষ অসুখ-বিসুখ হলেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক ঔষুধ লিখলে রোগী ঔষুধ কিনতে আপনাদের কাছে যায়। আপনারা রোগীকে ডাক্তারের ঔষুধ ভুল হয়েছে, আমার কাছে আরো ভালো মানের ঔষুধ আছে বলে রোগীকে বিভ্রান্ত করবেন না। কিছু কিছু ঔষধ আছে যা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা যায়না। আপনার ওইসব ঔষধ মুনাফার লোভে প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করবেন না। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন যদি আপনারা পড়তে না পারেন তাহলে যিনি পড়তে পারেন তাকে দিয়ে পড়াবেন তবু ভুল ঔষধ রোগীকে দিবেন না। সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। আর কেউ যদি ভেজাল ও মেয়াদোর্ত্তীন ঔষধ বিক্রি করেন তা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সের ৬৩তম ব্যাচের তিনশত জনের হাতে বই তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের কাউতলী কুরুলিয়া খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শহরের কাউতলি এলাকার কুরুলিয়া খালের ব্রিজের নিচে মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেনা সদস্যদের জানালে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।