চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য দুর্র্ধর্ষ ডাকাত নূর মোহাম্মদকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গােকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রাম থেকে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের জানান, নুর মোহাম্মদ দুর্র্ধর্ষ ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আটক নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটকে গণডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কমপক্ষে ৩০টি অটোরিক্সা আটকে এর যাত্রীদেরকে মারধোর করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোর ও দায়ের কোপে মহিলাসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি ডাকাতদের হামলায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিল শুনতে সেখানে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। ওয়াজ শুনে ভোর রাত ৪টার দিকে মুসল্লীরা অটোরিক্সায় করে বাড়িতে ফেরার পথে চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা আটক করে। পরে যাত্রীদেরকে নামিয়ে সড়কের পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।
যাত্রীদের চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেয়ে ডাকাতরা সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের হাতে রামদা দিয়ে কোপ দিলে তার হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোরে আহতদের মধ্যে আলফাজ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আলাল মিয়া, রমজান মিয়া, জোবাইদ মিয়া, আনালক মিয়া, আবু কালাম মিয়া, ভুট্টু মিয়া, হৃদয় মিয়া, আনাল হক, সাদ্দাম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, শরিফা বেগম, ইন্তেজ আলী, লায়েছ মিয়া, ফায়েজ মিয়া ও আব্দুল মালেক মিয়ার নাম জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আঙ্গুল হারারো সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আলফাজ মিয়া ও আলাল মিয়া বলেন, খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনে শুক্রবার ভোররাতে অটোরিক্সা যোগে বাড়িতে আসার সময় চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের অটোরিক্সা গুলো আটক করে। পরে আমাদেরকে অটোরিকসা থেকে নামিয়ে পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও নারীদের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে সাদ্দাম নামে এক যুবক এগিয়ে আসলে ডাকাতরা রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। তিনি বলেন, তাদের সাথে প্রায় একশত যাত্রী ছিলো। ডাকাতরা সবার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের মারধোরে কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হন। তিনি বলেন, শুনেছি এই রাস্তায় প্রায়ই অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়। এই রাস্তায় রাতের বেলা টহল পুলিশ থাকলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতোনা।
এ ব্যাপারে চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনসুর আলী ও ইউপি সদস্য মোঃ হাবিব মিয়া আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, শুনেছি ভোররাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার ভোররাতে বড়ইউরি গ্রামের পাশে অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় ডাকাতদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সঠিক তদারকির অভাবে এবং অযত্ন ও অবহেলায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছিল কালের সাক্ষী হয়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর জমিদার বাড়ি। ৭৫ বছর ধরে বেদখলে ছিল বিশালাকার বাড়িটি।
সম্প্রতি হরিপুর বড় বাড়ি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর এবার শীঘ্রই সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
১৮শ শতাব্দীতে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিতাস নদীর পাড়ে প্রায় ৪৮০ শতাংশ জমিতে জমিদার কৃষ্ণপ্রদাস রায় চৌধুরী ও গৌরীপ্রসাদ রায় চৌধুরী দৃষ্টিনন্দন এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদার পরিবারের লোকজন বাড়িটিতে কয়েকজন পুরোহিতদের রেখে কলকাতায় চলে যান। এরপর পুরোহিতদের বংশধরদের পাশাপাশি স্থানীয় কিছু মুসলিম পরিবার দখল নিয়ে বসবাস শুরু করেন সেখানে। সেই থেকে প্রায় ৭৫ বছর ধরে বাড়িটি ছিল বেদখলে। এতে বাড়িটি দিনের পর দিন বিলুপ্তির পথে যেতে থাকে। তবে সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িটির দখলে থাকা পরিবারগুলোকে অন্যত্র পুনর্বাসিত করা হয়। এরপরই নেওয়া হয় বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তিতাসের পূর্বপ্রান্তে এত বড় বাড়ি আর কোথাও নেই। কারুকাজ খচিত ৬০টি কক্ষ বিশিষ্ট বাড়িটিতে রং মহল, দরবার হল, নাচ ঘর, পুকুর, খেলার মাঠ, মন্দির ও সীমানা প্রাচীর রয়েছে। তবে এর অনেক অংশ ভেঙে ফাটলও ধরেছে। লাল ইট সুরকির গাঁথুনি দিয়ে তৈরি ভবনের দু’পাশে কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরী ও গৌরী প্রসাদ রায় চৌধুরীর দুটি সমাধি সুউচ্চ মঠ রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এখানে এসে ঘুরে ঘুরে পুরো রাজবাড়ির সৌন্দর্য দেখছেন। অনেকে আবার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. গোলাপ মিয়া বলেন, হরিপুর রাজবাড়ি এটি আমার জন্মের আগে নির্মিত। এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ছিল। বাড়িটিতে বহিরাগত লোকেরা থাকতেন। তবে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দখলে থাকা বহিরাগতদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। আমাদের দাবি, এই বাড়ি যেন পুনঃসংস্কার করে দেয়। তাহলে আমাদের তিতাসের পূর্ব পাড়ে অতীতের একটি স্মৃতি থাকবে।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বাড়িটি পরিত্যক্ত। এই বাড়িটি চুনকাঠ ও বীমের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় একটি বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি চাই, সরকার যেন দ্রুত এই বাড়িটি সংস্কার করে দেয়। বাড়িটি সংস্কার করে দিলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে। আমাদের এলাকার উন্নয়ন হবে।
ঘুরতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, আমরা হরিপুর জমিদার বাড়ি দেখতে এসেছি। দেখলাম এখানে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। রাজমহল, রঙমহল, দরমহলসহ প্রতিটি দেওয়ালে বিভিন্ন প্রকার কারুকাজ করানো রয়েছে। বাড়িটি অনেক পুরোনো হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তবে বাড়িটির ফটকের সামনে যদি এর ইতিহাস লিখে রাখা হয় তাহলে পর্যটকরা এসে এর সঠিক তথ্য জানতে পারবে। বাড়িটি যদি দ্রুত সংস্কার করা যায় তাহলে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখতে পারবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, হরিপুর জমিদার একটি দর্শনীয় স্থান। এটা প্রত্নতত্ত্বের একটা গুরুত্ব আছে। জমিদার বাড়িতে যেসব বহিরাগত পরিবার ছিল তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা দিয়ে ওখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার ছিল তারা নিজেরাই চলে গেছেন।
বাড়িটি সংস্কারের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে বলেন, আমাদের যে সরকারি রাজস্ব ফান্ড আছে তা থেকে এই বছরই আমরা বাড়িটির সংস্কার কাজ শুরু করব। আমরা প্রকল্প তৈরির চেষ্টা করছি। খুব দ্রুত প্রকল্পটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়ে দেব। আসা করছি প্রকল্পটা অনুমোদন হলে একটা বড় আকারের কাজ করতে পারব। বাড়িটি যেভাবে আছে আমরা ঠিক সেই ভাবে রেখেই সংস্কার কাজ করব।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষার একটি আইন বা ব্যবস্থা আছে যা সারা বিশ্বে একই নিয়ম। সেভাবেই আমরা এটি সংস্কার করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর সাহেব বাড়ির কৃতি সন্তান সৈয়দ শাহ আবদুল্লাহ কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি দানবীর মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ আবু এমাদের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে সুচীউড়া গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসা মাঠে সৈয়দ আবু এমাদের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পীরজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কনা মিয়ার সভাপতিত্বে মো: মিছির উদ্দিন মাষ্টারের পরিচালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা সভাপতি পীরে তরিকত আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ আবুল মোজাররদ আশিক বিল্লাহ।
বিশেষ অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ ছগির আহমেদ, প্রভাষক মাওলানা এখলাছুর রহমান, গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো: শাহ আলম, সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ শওকতুল ইসলাম,গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম বেলায়েত,গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার সহ-সভাপতি মো: আতিকুর রহমান খসরু,সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরী, মো: আকতার হোসেন,শিক্ষক হোসাইন আহমেদ ও হাবিবুর রহমান মাষ্ঠার।
আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পীরে তরিকত আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ আবুল মোজাররদ আশিক বিল্লাহ ।
দোয়া মাহফিলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ১৮ নভেম্বর সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার দিকে কুয়েতে প্রইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
নিহত আবু বাক্কার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া সরিষাপুর গ্রামের আনসার বাড়ির মো. শেখ কবির আনসারীর ছেলে। আবু বাক্কার তিন সন্তানের বাবা।
আবু বাক্কারের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ কুয়েতে প্রবাসে জীবনযাপন করছেন শেখ আবু বাক্কার আনসারী। কুয়েতে তিনি প্রাইভেটকারে রাইড শেয়ারিং করতেন। ঘটনার দিন রাইড শেয়ারিং করতে গিয়ে তার প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের প্রতিবেশী নিয়ামুল ভূইয়া জানান, শেখ আবু বাক্কার আনসারী দীর্ঘদিন যাবৎ কুয়েত প্রবাসে থাকেন। আজ রাতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার পরিবার লাশ আনার জন্য যোগাযোগ করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নাইট শর্ট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় “মাদকমুক্ত নাসিরনগর বিনির্মাণে” নাসিরনগর সদর বন্ধু মহল আয়োজিত স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সভাপতি খোকন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া খেলার উদ্বোধন করেন। ধারা ভাষ্যকার মনির হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় নাসিরনগর সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাজ্বী অলি মিয়া, গ্রামীণফোন চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী ডিস্ট্রিবিউশন শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমন, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া,মনিরুল ইসলাম,আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ইনকাম ট্যাক্স অফিসার মো: ইলিয়াছ মিয়া, মঈন চৌধুরী,জিয়া চৌধুরীসহ নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সদস্যরা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সাধারণ সম্পাদক রাকিব চৌধুরী। উদ্বোধনী খেলায় নুরপুর একাদশ নির্ধারিত ১০ ওভারে ৫ ইউকেটে ৫০ রান করে অল আউট হয়। জবাবে খেলায় নাসিরনগর সদর একাদশ ৬ ওভার ৩ বলে ৮ ইউকেটে জয় লাভ করতে সক্ষম হয়। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন হৃদয় দেব। আম্পায়ার ছিলেন সুমন মিয়া,রুহুল আমিন। স্কোরার ছিলেন মাসুম মৃধা।
উল্লেখ্য, নাইট শর্ট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে মোট ৩২টি ক্রিকেট টিম অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী ম্যাচে নাসিরনগর সদর একাদশ বনাম নুরপুর একাদশ দিয়ে টুর্ণামেন্ট শুরু হয়।