চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য দুর্র্ধর্ষ ডাকাত নূর মোহাম্মদকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গােকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রাম থেকে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের জানান, নুর মোহাম্মদ দুর্র্ধর্ষ ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আটক নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নাসিরনগর উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করেন। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিবাহিনীরা।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলায় তাদের বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীর সহযোগিতায় গ্রামবাসীর উপর চালায় নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতন। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহুলোক নিহত ও আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করে ৭ ডিসেম্বর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নাসিরনগরকে পাক-হানাদার মুক্ত করেন।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে ভয়াহব অগ্নিকান্ডে ৫টি ঘর ভস্মীভ‚ত হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত রাতে ৯টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক গ্রামের হাজী বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।স্থানীয়রা বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলাউক গ্রামের হাজী বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে বাড়ির ২টি রান্নাঘর এবং ৩টি বসতঘর সম্পূর্ন পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, হাজী বাড়ির ইমান উদ্দিনের ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
অগ্নিকান্ডে বসির আহমেদের ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী মিনহাজ মিয়ার ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ইমান উদ্দিনের ঘরে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মীভ‚ত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিবার্চিত হয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন।
এ উপলক্ষে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক মো: আওলাদ হোসেন খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য অভিভাবক সদস্য মো: জাহের মিয়া, বিপ্লব দেব, মোছা আলী, মোঃ মিজানুর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য শিরিন আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধি মো: নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি রাখী রানী দেব।
সভায় নির্বাচিত অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিগণের সর্বসম্মতিক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাডভোকেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন জেঠাগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর আগেও একাধিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিবার্চিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নব-নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সব ধরনের কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন জেঠাগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে আমি শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জহিরুল ইসলাম (২১) ও নাসির ভূঁইয়া (৫১) নামে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। সরাইল উপজেলার জহিরুল ইসলাম অটোরিকশার চার্জ দিতে গিয়ে ও নাসিরনগর উপজেলার নাসির ভূঁইয়া বাড়িতে বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দিয়ে প্রাণ হারান।
নাসিরনগর থানার ওসি নূরে আলম জানান, কুলিকুন্ডা গ্রামের নাসির মিয়ার বাড়ির পাখার সুইচে সমস্যা ছিল। সকালে ওই সুইচে হাত দিয়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হন।
সরাইল থানার ওসি মো. সোহাগ রানা জানান, গলানিয়া গ্রামের একটি ওয়ার্কশপে অটোরিকশা চার্জ দিতে যান একই এলাকার জহিরুল। এ সময় পড়ে থাকা তারে অসাবধানবশত: তিনি বিদ্যুতায়িত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার টেবুনিয়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ছিনতাইকারী নারী সদ্যরা সবাই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা বাসিন্দা। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানাতে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃত নারী সদস্যরা হলো নাসিরনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার স্ত্রী রুবিনা ওরফে রোজিনা খাতুন (৪০), একই এলাকার মহারাজ মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫), মোঃ রুবেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২৫) ও মোঃ মাসুদ মিয়ার স্ত্রী রুহেলা ওরফে রোহেলা বেগম (২২)। তাদের সবারই বাড়ি একই গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস, ট্রেন ও পরিবহনে কৌশল করে ছিনতাই ও চুরির কাজ করে আসছেন বলে জানায় পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, গত ১৬ নভেম্বর রাতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে ফাতেমা খাতুন নামে এক যাত্রী টেবুনিয়া রেলস্টেশনে নামেন। সেখানে ওই নারী ও তার স্বামী মোঃ জুলহাস খান নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি ইজিবাইকে উঠেন। ঘটনাক্রমে আটকৃত ছিনতাইকারী নারী সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তারাও ওই ইজিবাইকে উঠেন। পথিমধ্যে তারা অসুস্থতার ভান করে ওই মহিলা যাত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়। সে সময় ওই যাত্রী বুঝতে পেরে চিৎকার দেন, এ সময় স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সপর্দ করেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে আইনগত পক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।