চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কসবা উপজেলার হারিয়াবহ গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (৪০), বড়টুবার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আবু কালাম (৪২), ধজনগর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৫৫)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল হাসিমের নেতৃত্বে এস. আই মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম শুক্রবার দুপুরে জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে-করতে মারা গেলেন ঝান্টু মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। রোববার রাত ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় জানাযা শেষে ঝান্টুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে ঝান্টুর মা রেজিয়া খাতুন (৭০) মারা যান।
স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মায়ের মৃত্যুতে মাতম করছিলেন বড় ছেলে ঝান্টু মোল্লা। শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মা-ছেলের মৃত্যুতে ঝান্টু মোল্লার স্ত্রী হাজেরা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া এবং সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর, সোহাগ ভূঁইয়া ও আলম মোল্লা বলেন, ঝান্টু মোল্লা মা ভক্ত ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মায়ের মৃত্যুর পর সে লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন। তার মাকে কবরস্থ করার পর শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। রবিবার রাত ৮টার দিকে বুকে ব্যথা ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ঝান্টু মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই কবরস্থানে তার মায়েরও দাফন করা হয়েছে।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম মিয়া বলেন, মায়ের শোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি তাদের শোকে পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আখাউড়া মোগড়া বাজারের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানকালে মূল্য তালিকা না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ১৬ মার্চ শনিবার সকালে জেলার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কাঁচা মাল (সবজি বাজার)মুদিমালের দোকান, ফলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোগড়া বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত চক্রবর্তী, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ নুরে আলম, আখাউড়া খাদ্য গুদামের সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক রিকেশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক ইসলামী বক্তাকে ছুরি দিয়ে জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন অংশেও আঘাত করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪ মার্চ শনিবার গভীর রাতে উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভুঁইয়ার ছেলে ও বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক।
আহত শরীফুলের ছোট ভাই মওদুদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, রাতে বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি এলাকায় একটি মাহফিল থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তার ভাই। পথে আজমপুর রেলস্টেশনের পাশে ৭/৮ জন তার গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা শরীফুলের জিহ্বার বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
এছাড়াও তার সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে অপর একজন আহত হন। তিনি আরো বলেন, তার ভাই বিভিন্ন সময় ওয়াজ মাহফিলে শিয়া অনুসারীদের নিয়ে বক্তব্য রেখে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, শিয়া অনুসারীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন দুলাল বলেন, শিয়া অনুসারীদের নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কারণে পূর্ব পরিকল্পনা করে এমন হামলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, এমন একটি ঘটনা আমরা শুনছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পৌর শহরের মসজিদ পাড়া উপজেলা সদর ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজ শেষে মুসল্লিরা রহমতের বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করেন।
ইসতিসকার নামাজের ইমামতি করেন মসজিদ পাড়া সদর জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব হাসান। নামাজে পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসল্লিরা স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে ইমাম আরবিতে খুতবা দেন। এরপর তিনি তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে গরম থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশগ্রহণকারীরা জানান, বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র গরমে কষ্ট ভোগ করছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে এই নামাজ আদায় করেন তারা।
মাওলানা ইয়াকুব হাসান বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়।
উপজেলা সদর মসজিদ পাড়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: মনির হোসেন বাবুল বলেন, তীব্র তাবদাহে মানবজাতিসহ অন্যান্য প্রাণিকূল অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি এটা একটি আল্লাহ তাআলার গজব। আমাদের পাপাচারের কারণে অনেক সময় মানবজাতিকে দুর্ভোগে ফেলেন। আমরা এই তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে এখানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এ সময় মুসল্লিরা নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। একই সঙ্গে রহমতের বৃষ্টির জন্য আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় হত্যা মামলার এক আসামীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মানিক কান্দি এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৫০)। তার পাসপোর্ট নম্বর ঊঋ ০০৮৯৪৬২।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ডেস্কে তার পাসপোর্ট জমা দিলে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করার সময় তার পাসপোর্টি ইমিগ্রেশন ডাটাবেইজে কালো দেখায়। এসময় ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানাযায়, তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিতাস থানায় একটি হত্যা মামাল হয়, সেই হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ দেওয়ান মোর্শেদুল হক জানান, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আটক স্বপনের পাসপোর্টটি ইমিগ্রেশন ডাটাবেইজে কালো তালিকাভুক্ত ছিল। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।