চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কসবা উপজেলার হারিয়াবহ গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (৪০), বড়টুবার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আবু কালাম (৪২), ধজনগর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৫৫)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল হাসিমের নেতৃত্বে এস. আই মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম শুক্রবার দুপুরে জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মোবাইল দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের জেড়ে প্রাণ দিতে হলো নববধূ তাছলিমা আক্তারকে। নববধূকে হত্যাকারী ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদ (২৮) কে আটক করা হয়েছে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। আব্দুল হামিদ উজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র।
এর আগে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় গলা কেটে মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
আব্দুল হামিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আব্দুল হামিদ জানিয়েছে তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলে সাথে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে তার স্ত্রী মোবাইল ধরতে বারণ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুঁড়ি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে হামিদের বাড়িতে শোর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে দেখেন বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় নববধু তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ল্যাঃ কর্ণেল আরমান আরিফ, পিএসসি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামীকে আটক করেছে। পরে থানায় সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোটের অপশাসন ও দুর্নীতি ইত্যাদি অপসারণ করে, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জনিত বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করে বিগত একযুগের ও অধিককাল সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দন্ডায়মান। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মতো দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আবার তৎপর হয়েছে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।
তাই আজকের এই দিনে আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদেরকে মান অভিমান ও ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘঠিয়ে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র, তাকজিল খলীফা কাজলের সভাপতিত্বে এবং মনির হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে সফিকুল ইসলাম সোহাগ, এড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, আতোয়ার রহমান নাজিম, এম এ মতিন চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম, শাকিলা সুলতানা ভুলন, সাহাবুদ্দিন বেগ সাবুল ও শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে আইন মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকালে আখাউড়ায় সীমান্তের শূণ্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আখাউড়া আইসিপি এবং ভারতের ত্রিপুরার ৪২ ব্যাটালিয়নের আগরতলা আইসিপি বিএসএফর যৌথ আয়োজন সিরিমনি অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ, ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়েনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়ননের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগীসহ বিজিবি ও বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা একে অপরকে সম্মান জানান। উভয় দেশের চৌকস গার্ডদল সশস্ত্র সালাম জানায় নিজ নিজ দেশের পতাকাকে। বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড দল চমকমপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন। প্যারেড শেষে বিউগলের সুর বাজায়। এক সাথে দুই দেশের জাতীয় পতাকা নমিত করা হয়। এসময় সীমান্তের দুই অংশে শত শত দর্শনার্থী করতালির মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্যারেড উপভোগ করেন এবং করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।
পরে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএসএফ’র হাতে ফুল ও মিষ্টি বিনিময় করেন।
এসময় বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বিজয় দিবসে বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এসম্পর্ককে আমরা আরও মজবুত করবো।
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের দিন। এ ধরনের অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার তো বলার অপেক্ষা রাখে না, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ হত্যা করেছিল সেই প্রেতাত্মা আজকে কিছুটা হলেও ষরযন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত না থাকার কথা আমি অস্বীকার করতে পারবো না।
আজ ১২ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক গন্ধ আছে কীনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সকাল সোয়া দশটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আইনমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস যারা নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা কোটার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে এবং সর্বোচ্চ আদালত যে আদেশ দিয়েছে সেই আদেশ মেনে তারা অবশ্যই ঘরে ফিরে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, তারা জনগণের অসুবিধা হোক, জনগণ দুঃখকষ্ট ভোগ করুন, সেইকাজ পরিহার করে তারা তাদের ব্যবস্থা নিবে। মন্ত্রী বলেন আমার মনে হয় তারা ঘরে ফিরে যাবে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা যদি ঘরে ফিরে না যায় সেক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান কি হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকারের দায়িত্ব হল জনগণের জানমাল রক্ষা করা, জনগণের সুবিধা ও অসুবিধা দেখা। সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্থ করে সেক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।