চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কসবা উপজেলার হারিয়াবহ গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (৪০), বড়টুবার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আবু কালাম (৪২), ধজনগর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৫৫)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল হাসিমের নেতৃত্বে এস. আই মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম শুক্রবার দুপুরে জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে নির্যাতনের কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। এসময় বিএনপি নেতারা আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়ে গেছেন এরই প্রতিফলন এটা। বলা যায় এটা এক ধরণের পঞ্জিভূত ক্ষোভ। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে সেটি আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো লুটপাট করা। মেয়রের সাথে থাকতেন, আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে যেতেন এমন লোকজনও এই লুটপাটে অংশ নেয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আখাউড়ায় আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি ছিলো না। কেউ করতোও না। একদিন একটা মিছিল হয়। ৪ আগস্ট আরেকটি মিছিলে বাঁধা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। পরদিন আন্দোলনের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যোগ দিলে সেটি আরো জোরালো হয়। এ সময় মেয়রকে অনুরোধ করা হয় কিছুক্ষণ মিছিল করে সবাই চলে যাবেন। কিন্তু মেয়র এতে বাঁধ সাধেন। এরই মধ্যে বড় একটি মিছিল এসে পৌর এলাকায় ঢুকে। এরপরই মেয়র, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহবায়ক সেলিম ভূঁইয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন প্রমুখ। সভায় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিনিধিরা। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। দুইটি বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এসব খাতা কলম দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী ইনামুল হক এ কাজে সহায়তা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাতা-কলম দেওয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শিপন হায়দার, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম, নয়াদিগন্তের মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, আনন্দ বাজারের কাজী মফিকুল ইসলাম, খবরের কাগজের জুটন বনিক, সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন, প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু এই আয়োজনের সমন্বয় করেন।
এ সময় জানানো হয়, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগটি অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী অতিথি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কাজের প্রশংসা করে বলেন, বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ক্ষতির কথা কারোর মাথায় ছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই ধরনের চিন্তাটা খুবই সৃজনশীল। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপকার হলো। আব্দুল্লাহপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহীন ও সুলতানা তাহমিনা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রশংসা করেছেন রহিমপুরের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করায় তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির উদ্দীন হাজারী বলেন, আওয়ামীলীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার জিয়ার পরিবারকে অনেক কস্ট দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দেয়নি। তবে আল্লাহর রহমতে এবং দেশবাসীর দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়া এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। নাসির উদ্দীন হাজারীর আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামবায় ২৯ মার্চ শনিবার বিকালে নিজ এলাকা আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের চান্দপুর মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্যাতন করে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। নাসির উদ্দীন হাজারী ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আখাউড়া কসবা আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
নাসীর হাজারী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর বিএনপিকে কোন প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। এমনকি আমরা ইফতার মাহফিলও করতে পারিনি। জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। আজকে অনেক দিন পর আমরা সকলে একসাথে ইফতার করতে পারছি। তিনি জুলাই আগষ্ট শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। চলতি বছরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি দল থেকে যে মনোনয়ন পায় আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।
মোঃ হুমায়ুন কবির হাজারী সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি (নাসিরনগর) এস এম শাফি মাহমুদ, জেলা তাতী দলের সভাপতি ইকবাল আহমেদ, উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল ফারুক বকুল, মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজন হাজারী।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক সময় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও এখন রপ্তানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। মূলত এখন হিমায়িত মাছের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। তবে মাছ রপ্তানি কমার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০৪ কোটি টাকা কম। এছাড়া তলানিতে ঠেকে আছে বন্দরের আমদানি বাণিজ্যও। ফলে আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছে না বন্দর এবং শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চললেও ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আখাউড়া স্থলবন্দর। মূলত এ বন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি হয়।
পাঁচ বছর আগেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় ছিল- হিমায়িত মাছ, পাথর, রড, সিমেন্ট, তুলা, ভোজ্য তেল, এলপি গ্যাস, প্লাস্টিক, শুঁটকি ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীসহ অর্ধশতাধিক পণ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছোট হয়ে এসেছে সেই তালিকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিকসহ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য যাচ্ছে ভারতে।
রপ্তানিকৃত পণ্যের অর্ধেকই হিমায়িত মাছ। আর মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, পুঁটি, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ সব ধরনের চাষের মাছ। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন (ছুটির দিন ব্যতিত) গড়ে এক থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।
তবে, গেল কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ রপ্তানি হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে বন্দরের রপ্তানি আয় কমেছে। মূলত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তাজা মাছ পাচারের কারণে রপ্তানি ক্রমেই কমছে বলে অভিযোগ মাছ রপ্তানিকারকদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত তাজা মাছ পাচার হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হিমায়িত মাছের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বিষয়টি বিজিবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এটি বন্ধ না করতে পারলে যে কোনো মুহূর্তে হিমায়িত মাছের রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়বে।
এদিকে, ভারত থেকে পণ্য আমদানিও এখন অনিয়মিত। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে গম, ভুট্টা পাথর ও পেঁয়াজ। নিজেদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ পাওয়ায় আমদানি বাণিজ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। এতে করে বন্দরের রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। তবে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। ওই অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য।
স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক পণ্য এখন নিজ দেশ থেকেই সংগ্রহ করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমে এখনও বন্দরটির ঘুড়ে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেজন্য যখন যে পণ্যের চাহিদা, সেটি আমদানির সুযোগ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে- সেটি আগে থেকে বলা যায় না। সেজন্যই আমরা সব পণ্য আমদানির জন্য বন্দর খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু আমাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না। সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে কিছু পণ্যের তালিকা দিয়ে আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটির এখনও সুরাহা হয়নি।
একমাত্র আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমেই বন্দরে আবার কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে’- উল্লেখ করেন ফোরকান আহমেদ খলিফা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বন্দরগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণের বিষয়টি অনেকাংশেই আমদানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে কম। আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা যেসব পণ্য আমদানির জন্য তালিকা দিয়েছেন- সেটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হচ্ছে। অচিরেই এ বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৫০ ফুট উঁচু সিঁড়ি। মাঝখাতে দুটি ধাপ। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে অত্যাধিক উঁচু সিঁড়িতে লাগানো হচ্ছে টাইলস্। জনবহুল এ ষ্টেশনের সিঁড়িতে উঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ট্রেন যাত্রীরা। তাছাড়া, পানি জমে বা কলার খোসা পরে সিঁড়ি পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে, রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের দাবি, টাইলস্-এ কোন সমস্যা হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া-লাকসাম রুটে ডাবল ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের পারাপারের জন্য বিশাল একটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ওভার ব্রিজের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট। ওই ওভার ব্রিজে উঠা-নামার জন্য দুই পাশে ৩টি করে ৬টি সিঁড়ি করা হয়েছে। তবে কোনো র্যাম্প বা সমতল সিঁড়ি রাখা হয়নি। এসব সিঁড়ি প্রায় ৫০ ফুট লম্বা। অত্যাধিক উঁচু এসব সিঁড়িতে টাইলস্ ফিটিং করা হচ্ছে। ব্যস্ততম জংশন ষ্টেশনে এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ট্রেন যাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিঁড়িতে অফ হোয়াইট কালারের টাইল্স ফিটিং করা হচ্ছে। টাইলসের সামনের দিকে কয়েকটি খাঁজ কাটা রয়েছে।
কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া নামে এক যাত্রী বলেন, টাইলস দিয়ে এমনিতে সতর্কভাবে হাঁটতে হয়। তাছাড়া পানি পড়ে টাইল্স পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে। কলার খোসা পড়ে থাকতে পারে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল হাসান খাদেম বলেন, এরকম জায়গায় এই ধরনের টাইল্স ব্যবহার বিপজ্জনক। পাবলিক ওভার পাসে সাধারণত রাবার ফ্লোরিং করা হয়। এটা শিশু, প্রতিবন্ধি এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করে। শীতের পরিস্থিতিতে ঠান্ডা হয়ে ভিজে যায় না।
জানতে চাইলে, আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে কুমিল্লাসহ ১০টি ষ্টেশনে ওভারব্রীজে টাইলস্ ফিটিং করা হয়েছে। প্রায় ২ বছর হয়েছে এখনও কোন দুর্ঘটনা ঘটে। আখাউড়া ষ্টেশনেও সমস্যা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছর জুলাইয়ে কাজটি শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানা গেছে।