চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেল পথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেন ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সুলতানপুর, মাছিহাতা ও বাসুদেব ইউনিয়নের কয়েকশত গ্রামবাসী। আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা সহ ১৮টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণমানুষ অংশগ্রহণ করেন।
তিতাস কমিউটার যাত্রা বিরতি আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসানুজ্জামান ভূইয়া (তায়েফ) বলেন, ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানাই। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে গণসাক্ষর জমাদেবো। যদি আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে আমরা দ্বিতীয় ধাপে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধন চলাকালে জয়নাল আবেদীন ভূইয়া বলেন, “আখাউড়া থেকে ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় তিতাস কমিউটার ট্রেনটি। আবারো রাতে আখাউড়ার উদ্যোশে ফিরে আসে। যাত্রা পথে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন বক্তারা।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির আহম্মেদ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মহিউদ্দিন মুক্তা বলেন এটা আমাদের নাগরিক যুক্তি দাবি এই দাবি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
মো: আক্কাছ মীর সমন্বয় বলেন, এখানে আগে তিতাস ট্রেন দাঁড়াতো। কিন্তু এখন অজানা কারণে ট্রেন আর দাঁড়ায় না। এতে করে আমরা তিন ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তীতে আছি। আমরা চাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিতাস ট্রেন আমাদের স্টেশনে না দাড়ালে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহে স্কুল ও কলেজে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ায় ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আজ ৪ জুন রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শহরে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী হতে না পারে সে জন্য স্কুল টাইম কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই কর্মসূচির আওতায় শহরের বিভিন্ন স্থান ও পার্কে অভিযান চালানো হয়। সেসময় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১ জুন ঝিনাইদহের বিভিন্ন পার্কে আড্ডা ও গলিতে দেওয়ায় প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন চন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি ৩০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দিয়েছেন।
তাঁর ভাষ্য, ২৫ মে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচন চলার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ৩০০০ টাকার জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র দে। কিন্তু তাঁর হাতে দেওয়া রসিদে ৫০০ টাকা লেখা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাঁকে গালাগালি করেন ওই বিচারক। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন।
আবুল কাশেম উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ২৫ মে বিকেলে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে যাচ্ছিলেন তিনি। সোয়া চারটার দিকে চন্দনপুর ইউনিয়নের তুলাতুলি কাচারীকান্দি গ্রামে পৌঁছান। ওই গ্রামের পূর্বপাশের সড়কে যাওয়ার পর সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি চালক বলেন, ‘স্যার আপনাকে ডাকেন।’ কাশেমকে সেখান দিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান ওই কর্মকর্তা। তিনি রোগী দেখতে যাওয়ার কথা জানালে লিটন চন্দ্র দে বলেন, এখন যাওয়া যাবে না। তখন কাশেম বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানালেও ছাড়তে রাজি হননি। বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কাশেমের ভাষ্য, ‘সেখানে গাড়ি থামতে বললে আমি এসিল্যান্ড স্যারের কাছে যাই। তিনি আমাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি জানিয়ে ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু রসিদে ৫০০ টাকা লেখা ছিল। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় তিনি (এসিল্যান্ড) আমার সঙ্গে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন ও ছয় মাসের জেল দেওয়ার ভয় দেখান।’ এর প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
তবে এমন অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেন লিটন চন্দ্র দে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৩০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। সেখানে পুলিশ ও আনসারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে বলেছি, ৫০০ টাকা জরিমানা না দিলে তিন দিনের সাজা দেওয়া হবে।’
মেঘনার ইউএনও রাবেয়া আক্তার বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তাঁর হাতে এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আসেনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার অভিযোগটি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, ‘এমন যদি হয়ে থাকে, অবশ্যই তা খুবই দুঃখজনক। এসিল্যান্ড সাহেবের ব্যাপারে (জমিজমার) খারিজ নিয়েও নানা অভিযোগ আমার কাছে আসছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রুনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের রাষ্ট্রদূত।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মানবজাতির কল্যাণে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, আমরা গতকাল (ইসরায়েল কর্তৃক গাজায়) হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি। আমি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি- যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনোই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহপরিচারিকার কাজ থেকে তাকে নিয়ে যেতে মাকে বলেছিলো ১৪ বছর বয়সি তামান্না আক্তার। নির্যাতন করা হয়- এমন অভিযোগ তুলে তামান্না মাকে বলেছিলো, ‘তোমরা আমারে কাজ করাইয়া খাওয়াইতে চাও। আমি মইরা বুঝামু।’ তামান্না ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌলভীপাড়ার এক চিকিৎসক দম্পতি আনিসুল হক ও ইসরাত আহমেদের বাসা থেকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তামান্না ওই দম্পতির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। সে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মো. সুমন মিয়ার বড় মেয়ে। সুমন তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকায় চিকিৎসক ইসরাত জাহানের বাবা বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকেন। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও ইসরাত আহমেদ মুন্সেফপাড়ার খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কর্মরত।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ইসরাত আহমেদের বাবা বাবুল মিয়া ঢাকা থেকে সুমনকে ফোন করে জানান তার মেয়ে তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহ আছে।
এ অবস্থায় সুমন ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দিয়ে তামান্নার মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতালের লোকজন তামান্নার মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতের খালু আবদুল কাদের বলেন, ‘চিকিৎসক দম্পত্তি আগে ঢাকায় থাকত। তামান্না তখন গৃহকর্মী হিসেবে তাদের সঙ্গে ঢাকায় থাকত। দুই বছর আগে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে আসে। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে মৌলভীপাড়ার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো তামান্না। তামান্নাকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বেতন দিতেন তাঁরা।’
সুমন মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে তার মরদেহ নামানোর আগে আমাদের জন্য অপেক্ষা করত। কারণ ভাদুঘর থেকে মৌলভীপাড়া যেতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু তারা মরদেহ নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন আগেও মেয়ে জানিয়েছে তার উপর নির্যাতন করা হতো।’
মেয়ের মৃত্যুতে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন তামান্নার মা মুন্নী আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার কোল খালি কইরা মাইয়া চইলা গেছে।’ ১০-১৫ দিন আগে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নির্যাতন করা হতো বলে তামান্না জানায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মো. সাইফ বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্য হয়েছে।
চিকিৎসক আনিসুল হক বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ সত্যটা লিখেন। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হতো না। তার বাবা-মায়ের মতো আমরাও আপসেট। তামান্না আমাদের সন্তানকে দেখতো। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। তার বাবা-মা প্রথমে কিছু না বললেও এখন কেন এমন বলছেন বুঝতে পারছি না।’
তিনি জানান, ঘটনার সময় তামান্নার সঙ্গে ঘরে তাদের সন্তান ছিলো। বিকেলে দায়িত্ব পালন করে বাসায় যাওয়ার পর তার স্ত্রী তামান্নাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে অন্যান্যদের সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুও প্রকৃত কারণ বলা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের কাউতলী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
অভিযানকালে তিনটি মুদি মাল ও একটি কাঁচাবাজারের দোকানিকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মুদি দোকানের ফ্রিজে ওষুধ সংরক্ষণ করায় বিসমিল্লাহ সুপার শপকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আকাশ ট্রেডার্সকে ১ হাজার, মেসার্স হীরাকে দেড় হাজার টাকা ও কাঁচা মালের আড়তে আবুল মালেক নামে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরটির সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।