অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সে অনুযায়ী রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। রূপরেখা অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম চলবে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ শেষে বাংগাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, সে ফ্যাসিস্টদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। সে যেই হোক না কেন। যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন এই কার্যক্রমগুলো দ্রুত শেষ করা হয়। দেশে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। অনেক মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলাগুলোর কার্যক্রম যেন শেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন নাহিদ ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার কক্সবাজারের ঝিলংজায় দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন ভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি প্রথমে কক্সবাজারের ঝিংলজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ার নির্মাণাধীন ঝিনুক আকৃতির আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন করেন। এরপর মন্ত্রী রামু রেলওয়ে স্টেশন ও চকরিয়ার ডুলহাজার রেল লাইন নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প রেলওয়েতে চলমান। এর মধ্যে একটি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং অন্যটি দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।
তিনি বলেন, আইকনিক রেলস্টেশনটি অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও দৃশ্য নন্দন, যার নিমার্ণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এটি কেবল কক্সবাজারে গর্ব না, এটি বাংলাদেশের গর্বও বটে।
তিনি আরো বলেন, ট্রেনে করে কক্সবাজার আসার জন্য সারা দেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। কাজের সুবিধার জন্য এই প্রকল্পটি দুটি ভাগে বিভক্ত। আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরে তা উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ট্রেন চলাচল শুরু হলে কালুরঘাট সেতু কোনো সমস্যা তৈরি করবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ট্রেন চালাতে কোনো সমস্যা হবে না।
দোজাহারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই রেলপথটি নির্মাণে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিদেশ থেকে যেসব উপকরণ আনতে হয়েছে, তাও মজুদ রয়েছে। এখন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।
ঢাকার সঙ্গে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে যুক্ত করতে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৯টি সেতু এবং ২৪২টি কালভার্ট করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্য হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে এই রেলপথ। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের রেলপথে ভ্রমণের সময় পর্যটকরা নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা রাজশাহী ও রংপুরের আলোচিত একটি ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন, বাগেরহোট সদর উপজেলার পাতিলাখালী এলাকার নূর মোহাম্মাদের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধনিরগাতী এলাকার মোতালেবের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), একই জেলার কোতায়ালী উপজেলার হামিদপুর এলাকার মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস (৪২), ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী এলাকার ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী (২৮)।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আরিফুল হক প্রেস বিফিংএ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং পূর্বে ডাকাতি করে আনা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত ২৫ জুলাই রাজশাহীতে স্টোর ভেঙে ডাকাতি ও রংপুরের একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাজশাহী ও রংপুরে ডাকাতি ছাড়াও অন্য কোথায় কোথায় ডাকাতি করেছে তা জানা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার বিকালে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্ণামেন্টের’ ফাইনাল শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। দেশের এই জনপ্রিয় খেলার উন্নতির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার।
সরকারপ্রধান বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা প্রসারের লক্ষ্যে সরকার সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। অনেকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগীতার চর্চা গড়ে ওঠে। এতে নিজেকে দেশের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। এখন আমাদের নাতি-নাতনীরাও ফুটবল খেলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগেও তাদের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিলো। মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বুত পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সৌজন্য সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ৮ম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে -এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে- এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।
বিএনপির কিছু নেতা বলছেন, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তারা পুরো মুক্ত নন, বাক-স্বাধীনতা নেই এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে তারা বলছে বাক-স্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হাতাশার মধ্যে এ সব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।’ সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
মোঃ নজরুল ইসলাম ঝালকাঠিঃ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, রমজানের আগেই মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজানে বেশকিছু পণ্যেরই চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। এ সুযোগে মধ্যসত্বভূগীরা সরবরাহ ব্যবস্থায় বিগ্ন সৃষ্টি করে ও মজুদদাররা পন্য মৌজুদ করে মূল্যবৃদ্ধি করে। ভোক্তা অধিকার মজুদদারদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিবে। ভোক্তাদের কাছে পরামর্শ হচ্ছে, একসাথে পণ্য না কিনে ধাপে ধাপে কিনলে বাজারটা অস্থির হবে না।
আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার বিকালে ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে খোলা তেল বিক্রিয় বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বাজার মনিটরিং শেষে চেম্বার অব কমার্স কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিমিয় করেন ভোক্তা অধিকারের মহা পারচালক। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় তাঁর সাথে ছিলেন ভোক্তা অধিকারের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার, বিভাগীয় উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও ঝালকাঠি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা।