পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্ধ করা হয়নি ইন্টারনেট: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

জাতীয়, 21 September 2024, 81 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অল্প একটু যা সমস্যা হয়েছে তা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে নেটসেবা নির্বিঘ্ন আছে।

আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাধানগরের দক্ষিণ আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেই সাথে দেশকে অশান্ত করার বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে।

ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম সন্তোষজনক ভাবে হয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রমও চলমান আছে। আশা করছি সবাই ঘর পাবে, কেউ গৃহহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, ভারতের উজানের পানিতে এ বন্যা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি ভারত যা করেছে তা ঠিক হয়নি।

জেলার ফুলগাজীর জগতপুরেও বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Leave a Reply

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ

জাতীয়, 1 June 2024, 240 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। দুগ্ধখাতের কার্যক্রম বাড়াতে ২০০১ সাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

আজ ১ জুন শনিবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বেশকিছু পরিকল্পনা ও কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এছাড়া এ খাতের বেসরকারি কোম্পানিগুলোও বেশকিছু কর্মসূচি পালন করছে। পাশাপাশি এদিন প্রতিটি জেলা সদরে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে সকাল ৯টায় রাজধানীর ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে দুধপান করানো হবে। এ আয়োজনের সহযোগিতা করবে মিল্কভিটা, প্রাণ ডেইরী, ব্র্যাক ডেইরি, আকিজ ডেইরি ও রংপুর ডেইরি।

সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে। খামারবাড়ি কেআইবি থেকে শুরু হয়ে র‍্যালিটি সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে গিয়ে পুনরায় ফিরে আসবে।

বেলা ১১টায় কেআইবি অডিটোরিয়ামে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৫১ জন উদ্যোক্তাকে ডেইরি আইকন-২০২৩ হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হবে। তারা পাবেন নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান।

এছাড়া কেআইবি কনভেনশন হলে দিনব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্য প্রদর্শনী ও চিজ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। চিজ পেঁয়াজু, চিজ বার্গার, চিজ লুচি, চিজ পাকোড়া, চিজ সমুচা, চিজ কারি, হানি চিজসহ নানান দুগ্ধজাত পণ্যের সমাহার থাকবে এ প্রদর্শনীতে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : আইনমন্ত্রী

কসবা, জাতীয়, 21 July 2023, 1298 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে সংবিধান থেকে সেটা বের করে দিয়েছে। আর সেখানে ফিরে যাওয়া যাবে না।

তিনি আজ ২১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সৃষ্টি করা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পৌছে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি-জামায়াত দেশ চালিয়েছেন। তারা চেষ্টা করেছে যেন বাংলাদেশ যেন একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়। তারা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করে দেয়ার জন্য। তারা চেষ্টা করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আমরা ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ভুলে যাইনি। তারা নির্বাচন করতে চায়না। তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে যদি কেউ তাদেরকে ক্ষমতায় ঢুকিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আজকে বড় বড় শত্রুদের মোকাবেলা করতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করবেন।

তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষৎ অন্ধকার। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আবার একটা নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে।

বিশেষ বর্ধিত সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানী, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই জরিমানা : আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 30 April 2024, 299 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা হিসেবে জরিমানা পাঁচ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি।

তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে, সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল।

সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে।

আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগেও শ্রম আইন নিয়ে আইএলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আজকেও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছে এ বিষয়টিকে আপনারা কিভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দর কষাকষির মধ্যে নেই। আইএলও হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি সংগঠন। এখানে সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে তাদের বক্তব্য সব সময় তাদের থাকে। তাদের সঙ্গে আমরা আজকে বসেছিলাম।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা এখন শ্রম আইন সংশোধন করছি। এটা সংশোধিত হয়েছিল গত সংসদে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়, সেখানে পৌঁছানোর পরে দেখা যায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, যে জন্য এটা আবার ফেরত আনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন বিশ্বের প্রাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। সেখানে আইএলওয়ের একটি অংশগ্রহণ থাকে। আপনারা এও জানেন যে, আইএলওয়ের যে গর্ভনিং বডিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কিছু দেশ নালিশ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর আমরা বহুবার আইএলওয়ের গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে বলেছি, আমাদের শ্রমিকদের শুধু অধিকার রক্ষাই হয়নি। শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক একটা নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ও আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের সঙ্গে বসেছি।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটাকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সংশোধন না করছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্টেক হোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে, যারা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শোনাব। তার কারণ হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী, তার নির্দেশনা অনুযায়ী যে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়। তার সঙ্গে নতুন যারা পরামর্শ দিচ্ছেন তার কোনো মৌলিক পার্থক্য আছে কি না। আমরা কিন্তু কোনো মৌলিক পার্থক্য খোঁজে পাইনি।

আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় সেজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, সংরক্ষণসহ যা কিছু করার জন্য যার যার কথা শোনা দরকার আমরা শোনাবো। সেই কারণেই আমরা আলোচনায় বসেছি। আমরা তাদের পরামর্শ শুনেছি। আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলওয়ের যে কিছু পরামর্শ আছে সেটা তারা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যে টেকনিক্যাল কমিটি আছে সেখানে তারা উপস্থাপন করবেন। ১২ মে সেটা সম্পন্ন করার জন্য একটি সভা ডাকবো এবং সেখানে আমরা শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলওয়ের যে বক্তব্য বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখবো।

আইএলওয়ের কি পরামর্শ ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে তারা যে পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলোর সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আগে ৩০ হাজারের অধিক শ্রম আছে যেসব কারখানায় সেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করতে হলে ২০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা কমিয়ে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা তাদেরটা মেনে নিয়েছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানে সংঘ কিছু সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটা করা হবে।

আইএলও তো ১০ শতাংশের কথা বলেছিল, সেটার কি হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে কোনো কথা হয়নি। তারা ১৫ শতাংশেই রাজি হয়েছেন। কারণ আমি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, এখন ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া সেটা আমরা ধীরে ধীরে যাবো।

আইএলও মালিকদের সাজার জরিমানা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে, এখানে মালিকদের সাজা বাড়ানোর কথা ঠিক না। বিষয়টা হচ্ছে, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে, তবে সেটা সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, মালিক, শ্রমিক এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আইএলওয়ের সর্বশেষ মিটিংয়ে আমরা আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয়নি, আমাদের সাথে তাদের কোনো পার্থক্য আছে। আমরাও চাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের শ্রমিকদের সব চাহিদা পূর্ণ করে, শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে কাজ করবো? আইএলও যেসব পরামর্শ দিচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের আইন একই আছে। কোনো পার্থক্য আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা চাচ্ছি, শ্রমিকদের ভালো রাখতে। এরমধ্যে যদি তাদের কোনো পরামর্শ থাকে যদি সেটা নেওয়ার মতো হয় তাহলে নেবো।

ইউটিউব দেখে বোমা তৈরি করতে গিয়ে উড়ে গেল কবজি

জাতীয়, 14 July 2023, 773 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ইউটিউব দেখে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবদুল্লা আল নোমান (২৪) নামের এক যুবকের কবজি উড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আরকাইম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নোমান উপজেলার সমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নোমান বগাদানা ইউনিয়নের আরকাইম গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে তিনি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ইউটিউব দেখে বোমা তৈরি করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে তার হাতের কবজি উড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আবদুল আজিজ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

ইসলাম ধর্ম হলো একমাত্র শান্তির ধর্ম : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 17 April 2023, 1136 Views,
ছবি: সংগৃহীত

চলারপথে ডেস্ক :
দেশে নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসমূহে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের আলাদা জায়গা রয়েছে।

এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে ৯,৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫৬৪টি মসজিদের মধ্যে ২শ’ মসজিদ উদ্বোধন করেছেন।

তিনি প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১০ জুন ৫০টি মসজিদ, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরো ৫০টি এবং তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ আরো ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন।

অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুন নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে আরো ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন।

ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম, এর মূল বাণী দেশব্যাপী পৌঁছে দিতেই সারাদেশে মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) চতুর্থ পর্যায়ে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসার, ইসলামী শিক্ষা যাতে আরও উন্নতমানের হয় সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা ২০১৩ সালে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। কওমী মাদরাসায় দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের মর্যাদা আমরা এনে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্ম হলো একমাত্র শান্তির ধর্ম। যে ধর্মে নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন তখন ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেন একজন নারী। তিনি ছিলেন তিনি ছিলেন বিবি খাদিজা (রা.)।

তিনি আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ ধাপে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাকে অনুষ্ঠানে যুক্ত করা হয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, আলেম-উলামাসহ সাধারণ মানুষ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

এছাড়া হজযাত্রীদের জন্যে রেজিষ্ট্রেশান ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরী, অটিজম কর্ণার, দাফন পূর্ব আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও ইসলামের দাওয়াতের জন্যে সম্মেলন কেন্দ্র, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদসহ দেশি বিদেশী অতিথিদের জন্যে থাকার সুবিধা থাকবে।

ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনা দেশজুড়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও এর মূল্যবোধ এবং সেইসাথে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচার করা, কারণ ধর্ম কখনই এগুলোকে সমর্থন করে না।

এছাড়া এটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও মনোনিবেশ ঘটাবে। ক্যাটাগরি এ এর আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলিভেটর সুবিধা ও ২,৩৬০.০৯ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেসহ ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ক্যাটাগরি বি এর আওতায় প্রতিটির ১৬৮০.১৪ বর্গ মিটার ফ্লোরস্পেসহ ৪৭৫টি মসজিদ এবং ক্যাটাগির সি এর আওতায় উপকূলীয় এলাকায় প্রতিটির ২,০৫২.১২ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেসসহ ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।