চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। েেবশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এটা একটি সরকারি অফিস। সকালে খুলে বিকাল বন্ধ হয়। কিন্তু সব সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখানে চিত্র ভিন্ন। এ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ভূমি অফিসে বেশ কিছু লোকের সমাগম রয়েছে। অফিসের সামনে জাতীয় পতার টানানোর জন্য একটি স্টীল খুঁটি রয়েছে। তবে তাতে জাতীয় পতাকা ছিল না।
হরষপুর ভূমি অফিসে জনবল রয়েছে তিন জন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাবের এবং অফিস সহায়ক মো: বাচ্চু মিয়া। প্রয়োজনীয় জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় দেওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে অফিস খোলার সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হতো। আর পতাকা উড়তে দেখে আমরা দূর থেকে বুঝতাম কাচারি ঘর (ভুমি অফিস) খোলা।
হরষপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় দিবসে আমরা পতাকা উত্তোলন করি। দিবসগুলোতে আমাদের বলে দেয়, নির্দেশনা পেলে আমরা উত্তোলন করি। গত সোমবার নির্দেশনা ছিল উত্তোলনের। এছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাহেরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ঢাকা’র কার্যকরী পরিষদ ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ২১ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সোস্যাল গার্ডেন হলে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি ও এমরানুল হককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সচিব এবং বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোশিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খোকনকে সভাপতি ও লায়ন মোঃ এমরানুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এসময় ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ মে শুক্রবার ঢাকায় ২ দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধনকালে তিনি এই আহবান জানান। এ সময় তিনি টেকসই পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে প্রত্যাবাসনে সক্রিয় বৈশ্বিক সহায়তা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারত মহাসাগর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলের সব দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। আমি ষষ্ঠ সম্মেলনে ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে চাই। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
উদ্বোধনী অধিবেশনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসেম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মন্ত্রী ড. মালিকী ওসমান সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নের জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে সামুদ্রিক কূটনীতি গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন।
সম্মেলনে তিনি সমুদ্রে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়াদান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমসহ ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ চলাচল ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতার অনুশীলনকে সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
শেখ হাসিনা শান্তি সংস্কৃতি এবং জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন জোরদারের আহবান জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় ঠেকিয়েছে। এখন আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসাবে বহু শতাব্দী ধরে সামুদ্রিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এবং এই দেশ অনেক আঞ্চলিক প্ল্যাটফরমে সক্রিয়। বাংলাদেশ ভারতীয় মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের কাউন্সিলেরও সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পুরোনো ও অপ্রচলিত চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে। আমরা এই অঞ্চলে শান্তির জন্য আমাদের ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি সহনশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অন্য সব দেশও একই কাজ করবে বলে আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক ও আফ্রিকান অঞ্চলে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬৪% এবং বৈশ্বিক জিডিপির ৬০% রয়েছে। অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন দূরদর্শী নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ‘মেরিটাইম জোন’র সীমানা নির্ধারণ করতে, সীমানার মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানের সুবিধার্থে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। এই আইনটি সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২ গৃহীত হওয়ার ৮ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল, যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে উপলব্ধি সীমিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের থিম ‘শান্তি, অংশীদারিত্ব ও সমৃদ্ধি : একটি সহনশীল স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে’ খুবই উপযুক্ত ও সময়োপযোগী। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে নিষেধাজ্ঞা ও পালটা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে এ থিমটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবজাতির টিকে থাকার জন্য শান্তি অপরিহার্য। এটি সারা বিশ্বে নারী ও পুরুষের গভীরতম আকাংক্ষার প্রতিফলন। সেই ভাষণে তিনি ভারত মহাসাগরকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসাবে বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ২৩ মে, ১৯৭৩ সালে জুলিও-কুরি শান্তি পদক দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির প্রবল প্রবক্তা হয়ে উঠেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে পুলিশ ব্যারাকের পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে জাহিদুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের হিলটপ ব্যারাক হাউজে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জাহিদুল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কাউটাইল গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। জাহিদুল ২০২০ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রাণী প্রামাণিক জানান, কনস্টেবল জাহিদুল হিলটপ ব্যারাক হাউজের পঞ্চম তলায় থাকতেন। ভোর ৪টা ২২ মিনিটে তিনি পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে অসতর্কতাবশত তিনি নিচে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, তার হাতে ছিল টুথব্রাশ। দাঁত ব্রাশ করতে করতে ব্যালকনির প্রান্তে চলে গিয়েছিলেন – এমনটা মনে করা হচ্ছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বর চন্দ্রপুর গ্রামে দিঘির পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ মে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- ওই গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে নূরানী মাদ্রাসার ছাত্র সিহাব (৭) ও একই এলাকার হবির ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হুসাইন (৮)।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাড়ির পাশে দিঘির পানিতে গোসল করতে যায় হুসাইন ও সিহাব। এ সময় তারা দু’জনই পানিতে লাফ দেয়। কিন্তু দিঘিটিতে পানি কম থাকায় কাদায় দেবে যায় শিশু দুটি। শিশু দু’টিকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, উপজেলা পরিষদও আইনের শাসনে পরিচালিত হয়। আইন ও বিধি-বিধান মেনে এই পরিষদ চললে, আমি পরিষদের পাশে থাকবো। আইন ও বিধি-বিধান মেনে না চললে আমি পরিষদের পাশে থাকবো না। এই উপজেলা পরিষদ নিজেদের ক্ষমতা ও পরিধি মেনে চলবে ও কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এই কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ একটি আদর্শ উপজেলা পরিষদ হবে। সকলের সাথে সমন্বয় করে এই উপজেলা পরিষদ চলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন, সদর উপজেলাবাসীর প্রতি আপনাদের অনেক দায়িত্ব। জনগণের কল্যাণে যেনো পরিষদের টাকা খরচ হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। নিজের টাকা যে চিন্তা করে খরচ করেন, ঠিক তেমনি পরিষদের টাকাও চিন্তা করে খরচ করবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন শোভন, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা জুঁই ও ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন পাভেল।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিগবাহতুল্লাহ নূর।