চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদসর্যা (সরাইল ব্যাটালিয়ন) আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমান এই ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করে। এসময় শাড়ি ও থ্রিপিস বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ট্রাকের ওপরে পাথর দিয়ে ড্রাম ও বস্তায় ভরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে এসব শাড়ি-থ্রিপিস জব্দ করা হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার ধাওয়া করে ট্রাকটি আটকের পর এতে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস পাওয়া যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাত থেকে বিজিবি সদস্যরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। ভোর রাতে বিজয়নগর এলাকায় পন্যবাহী একটি ট্রাক বিজিবির নির্দেশনা অমান্য করে দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল চান্দুরা এলাকা থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ট্রাক তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় পাথরের স্তরে লুকানো আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী- থ্রিপিস উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাইপথে এসব শাড়ী রাজধারী ঢাকায় পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তিতাস নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে আটক করে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া গ্রামের তিতাস নদী থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শাহ আলম, আজগর আলী, শুক্কুর আলী, খায়রুল কবির, নজরুল ইসলাম, ইয়াছিন মিয়া ও আল আমিন। তারা ড্রেজারের চালক ও শ্রমিক।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন, একটি চক্র উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া (ছোট মেরাসানী) গ্রামে তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় উক্ত আইনের ১৫(১) ধারায় আটক ৩ জনকে ৪দিন করে এবং ৪ জনকে ৩দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এ সময় একটি ড্রেজার জব্দ করে উপজেলার চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির জিম্মায় দেয়া হয়। জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করছে নিহতের স্বজনরা।
৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকেলের দিকে মুন্না তার ধানি জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান।
এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।
এ সময় তাকে গুরুতর অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারা এ ঘটনায় সরকারের কাছে বিচার দাবি করেছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা: আরাফাত জানান, হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, যতটুকু খবর পেয়েছি মুরাদ নামে একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে কি কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছে কি না, না অন্য কেউ মেরেছে তা এখনও জানা যায় নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিজিবির টহল টিমের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, মুরাদ ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর সুস্থভাবে ফিরে এসেছিলো। তখন তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিএসএফের সাথে কথা বলে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সারোয়ার রহমান ভ‚ইয়ার সভাপতিত্বে এবং বিকাল ৪টায় পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই মাস্টারের সভাপতিত্বে পৃথক দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমি আমার সংসদীয় এলাকা বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন ও দুই উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।
তবে কিছু ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য সময় মতো কাজ শেষ হচ্ছে না। সময় মতো উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় আপনাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বিজয়নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামীতে আরো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হবে। বিজয়নগরের সকল সমস্যার পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
সভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সালাহউদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায় হরষপুরের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জজ আদালতের পিপি অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ রাশেদুল কাউসার ভ‚ইয়া জীবন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
মতবিনিময় সভাগুলোতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মাদক সেবন করতে এসে ৫ ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত দেড়টায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিংগা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার মূলগাঁও গ্রামের রাহিম রানা চৌধুরী (২৮), একই গ্রামের মো. জোবায়ের হোসেন (৩৫), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার খাসহাওলা মোঃ মোমেন মিয়া (২৫), একই গ্রামের সায়েদ আহম্মেদ স্বপন (৩০) এবং নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার দড়িআওলাপাড় গ্রামের মোঃ জুনায়েদ মিয়া (২২)। এদের মধ্যে জুনায়েদ প্রাইভেট চালক ও বাকি সবাই প্লাস্টিক ব্যবসায়ী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিংগা ব্রিজের পাশে পুলিশের অভিযানে একুশে নিউজ স্টিকার যুক্ত একটি প্রাইভেটকারসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। প্রাইভেটকারের সামনে মাইক্রোফোনও ছিলো। এসময় তারা নিজেদের গলায় ফিতা ঝুলানো অবস্থায় সাংবাদিক পরিচয় দেন।
তিনি আরো জানান, পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সাংবাদিকতার সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি। তারা মূলত প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। তারা মাদকসেবন করে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মোঃ জুলহাস (২৫) ও আরমান হোসেন (১৭) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ফেন্সিডিল বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর জিলানী ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুলহাস বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও আরমান হোসেন একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৯৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।