চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ বছর বয়সী সুলতান মাসুদ নামের এক শিশু ১০ মাসে কোরআনে হাফেজ হওয়ার গোরব অর্জন করেছে। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক-সহপাঠীরাও আনন্দিত। উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবার। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে মাসুদ কোরআনে হাফেজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ এর প্রিন্সিপাল ও হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মুফতি মনিরুল হক। মাসুদ সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেনের ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার চকলেট ফ্যাক্টরি এলাকার ‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ (স্কুল এবং মাদরাসা) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
মাসুদের বাবা জাকির হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মাসুদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মাসুদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২৩ সালে ‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ (বাংলা ও আরবি) বিভাগে ভর্তি করা হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের হিফজ সবক দেওয়া হয়। এর ১০ মাসের মধ্যেই মাসুদ কোরআনে হাফেজ হয়ে ওঠে।
হাফেজ মাসুদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ এর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফেজ মুফতি মনিরুল হক জানান, মাসুদ শান্ত প্রকৃতির ছেলে। সঠিকভাবে দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে চলেছে। হাফেজ হতে তার প্রবল ইচ্ছা আর আকাঙ্খা ছিল। মাসুদ আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। আল্লাহ তার ভবিষ্যত জীবনকে ইসলামের পথে কবুল করুক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) আজ ৭ অক্টোবর শনিবার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকাসহ সর্বস্তরের লোকজনের কাছে দোয়া কামনা করেছেন যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আসতে পারেন এবং অবহেলিত (সরাইল-আশুগঞ্জ) এলাকার জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ জানুয়ারি সোমবার এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করে তাদের মধ্যে নতুন প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ‘ডাব’ প্রতীক পরিবর্তন করে ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার ‘সিংহ’ প্রতীক পরির্বতন করে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মধ্যে বরাদ্দ করা ‘ডাব’ ও ‘সিংহ’ প্রতীক দেশের দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। ‘ডাব’ প্রতীক হচ্ছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দলের। যার নিবন্ধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ মে। এই দলের বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছেন অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন এবং মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
আর ‘সিংহ’ প্রতীক হচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে একটি দলের। যার নিবন্ধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এই দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ূন পারভেজ খান। এর আগে সোমবার উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘ডাব’ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে ‘সিংহ’ প্রতীক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদকে ‘মটর গাড়ি (কার)’ প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী ‘লাঙ্গল’ প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ‘গোলাপ’ ফুল প্রতীক পান।
এ ব্যাপারে উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ডাব ও সিংহ প্রতীক হচ্ছে দেশের দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় ডাব ও সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার বরাদ্দকৃত প্রতীক দুটি সংশোধন করে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক ও জিয়াউল হক মৃধাকে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা উভয়ই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
উপনির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবেশে মাদক পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া (শহিদুলের বাড়ি) গ্রামের মো. সবুজ শেখের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও জামালপুরের সদর উপজেলার মহেশপুর (আনাকাছা) গ্রামের মো. আয়নাল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০)।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সবুজ বাংলা হোটেলের পাশে যাত্রীবেশে অপেক্ষা করার সময় দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তল্লাশি করে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।