চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা জাতীয়করণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের পদে পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে আখাউড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার প্রধান, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির নিকট হস্তান্তর করেন শিক্ষকরা। উপজেলায় ১৬ মাধ্যমিক স্কুল ও ৫টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমোদাবাদ শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, কর্মকমঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ভূইয়া, কল্লা শহীদ দাখিল মাদরাসার সুপার মুফতি কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ করেছে। এসময় শিক্ষায় বৈষম্য থাকা কাম্য নয়। সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একই কাজ করি। কিন্তু আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। তাছাড়া, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলেও অনেক যোগ্য শিক্ষক আছে। আমাদেরকে সরকারিকরণ করা হলে সকল শিক্ষক থেকে যোগ্য শিক্ষককে পদায়ন করা হতো। সরকারি কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে প্রশাসনিক পদে আনার কারণে বৈষম্য হচ্ছে। বক্তারা, বেসরকারি শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণ করার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট দাবি জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ নাসির উদ্দিন, টনকী সাদেকুল উলুম ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুজিবুর রহমান, রানীখার সৈয়দ আব্দুল হান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান, হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে কাস্টমস ভবনে সোনালি ব্যাংক বুথে কর্মরত উত্তম চক্রবর্তী, কাস্টমসের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও বিমল চন্দ্র দাসের যোগসাজশে ভারতগামী যাত্রীদের দেওয়া ভ্রমণ করের টাকা দীর্ঘদিন থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর এতে করে সরকার বিপুল পরিমান হারাচ্ছে রাজস্ব।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী পারাপার হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার জন। এসময় ভারতগামী যাত্রী প্রতি ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয়।
অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের সেই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে এই অসাধু চক্র। এই চক্রটি ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া ভ্রমণ করের রশিদ সংগ্রহ করে পুনরায় অন্য যাত্রীকে দিয়ে দিচ্ছে ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি এপথে ৫ জন ভারতীয় নাগরিক ভারত ফেরার পথে ভ্রমণ ট্যাক্সের রশিদে পাসপোর্ট নম্বর দেখে ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে রশিদসহ ওই ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। কারণ তাদের ভ্রমণ করের রশিদে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া ছিলো। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগেও এমন জালিয়াতি রশিদ ধরা পরলেও ওই চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই।
কাস্টমসের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনকে ফোন করা হলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। আর বিমল চন্দ্র দাসের ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। বিষয়টি আমার জানা নেই। ৫জন যাত্রী আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সামান্য সমস্যা ছিলো। সমস্যা সমাধানের পর তারা চলে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে তরিকত ফেডারেশন মনোনিত প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের গণসংযোগ করেন তিনি।
এসময় ধরখার বাস স্ট্যান্ড, তন্তর বাজার, ছতুরাশরীফ, রুটি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পথসভায় বক্তব্য রাখেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিনি গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি ভোটারদের ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতীক ফুলের মালায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এসময় ভোটারদের মাঝেও ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে বলে জানান তার কর্মী সমর্থকরা। গণসংযোগকালে ফুলের মালার কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিল।
পথ সভায় বক্তব্যকালে তিনি বলেন, অন্যান্য নির্বাচনে যেমন হুমকি ধমকি দিত। মাস্তানি করতো এবার সেই অবস্থা নাই। আপনারা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমাকে ফুলের মালা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আপনাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের মাছিহাতা গ্রামের বাসিন্দা এবং মাছিহাত দরবার শরীফের পীর।
জানা যায়, কসবা-আখাউড়া আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর দুই প্রার্থী হলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও এনপিপি’র প্রার্থী শাহীন খান (আম)।
আখাউড়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৪৪টি, বুথ ২৬৯টি। প্রিজাইডিং অফিসার ৪৪ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২৯৬জন এবং পুলিং অফিসার ৫৯২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রথমবারের মতো আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে চালানো হলো ‘ট্র্যাক কার’। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সফলভাবে এই ট্র্যাক কার চালানো হয়। আগামী ২২ আগস্ট বহুল কাঙ্ক্ষিত এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করার কথা রয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সন্ধ্যায় ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। পুরো রেলপথ সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়ায় গঙ্গাসাগর ইয়ার্ডেই চালানো হয়। তবে রেললাইনের যেটুকু অংশের কাজ বাকি আছে তা ২২ আগস্টের আগে শেষ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
প্রথম দেখায় জায়গাটিকে সড়ক বলে বোঝাই দায়। নোংরা পানি-কাদায় একাকার হয়ে আছে শতাধিক পরিবারের চলার পথটি। কয়েক মাস ধরে এমন ভোগান্তিতে আছেন আখাউড়া উপজেলার ধাতুরপহেলা গ্রামের কয়েকশ মানুষ। চলার পথের এ অবস্থার কারণে তাঁদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিয়েও ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের বাড়ির নোংরা পানি সরাসরি পড়ছে সড়কটিতে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সেখানে। ইট ফেলে হাঁটার ব্যবস্থা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এভাবে চলাচল করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এক ভুক্তভোগী বলেন, মোগড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমানের গোয়াল থেকে প্রতিদিন গরুর বর্জ্য মেশানো পানি সরাসরি এখানে পড়ে। এ ছাড়া ভুট্টো মিয়া, আমির হোসেন, সেলিম মেম্বার, নাজির মিয়া, হামদু মিয়া, বিল্লাল, আনার, হেলাল, শামিম ও মোতালিব মিয়ার বাড়ির শৌচাগারের নোংরা পানি ও কলতলার পানিও উপচে আসে এ পথে। তবে তাঁরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
আনু মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষের লোকজন এ পথের জন্য আসতে পারে না। লজ্জায় পড়তে হয়।’ শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে তাঁর এক সন্তানও নোংরা পানির কারণে অসুস্থ হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়।
হাবিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমার বাড়ির গোয়ালের পানিই নয়, আরো কয়েকটি পরিবারের পানি রাস্তায় পড়ে।’ তবে মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তাটি উপযোগী করতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কয়েকটি পরিবারের ময়লা পানির কারণে শতাধিক পরিবার ওই পথ দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। বিষয়টি চেয়ারম্যানও জানেন। তিনি দ্রুতই উভয়পক্ষকে ডাকবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, রাস্তায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কোড্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিবুল ইসলাম চঞ্চল (৩৮) জেলা শহরের মধ্যপাড়ার মৃত স্বপন মিয়ার ছেলে ও শাহীন চৌধুরী (৪৮) পৌর এলাকার নয়নপুরের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চঞ্চল ও শাহীন মোটরসাইকেলে আখাউড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কোড্ডায় রেলওয়ে ক্যাবিন ঘরের কাছাকাছি এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। আহত হয়েছেন অটোরিকশার ৫ যাত্রী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।