চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বজ্রপাতে আলমগীর মিয়া (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আমীর আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলমগীর বাড়ির পাশের জমিতে সবজির চারা রোপণ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে তিনি জমিতেই লুটিয়ে পড়েন। পরে গ্রামের লোকেরা আলমগীরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রির সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১২ জুলাই বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারের কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় দোকানিরা ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, খচিরা বিক্রেতাদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় বি-বাড়িয়া আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর তিনজন খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রমাগত দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হচ্ছে বাঙালির প্রাণের সাথে মিশে থাকা নদ-নদীগুলো। যার প্রভাবে ধুঁকছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সে অবস্থা থেকে নদী রক্ষার পাশাপাশি জনমনে নদীর প্রতি আন্তরিকতা বাড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণ্যাঢ্য নৌ র্যালি। গতকাল শনিবার বিকেলে নৌ দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীতে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন “তরী’র উদ্যোগে এই র্যালির আয়োজন করা হয়।
‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’ এই স্লোগান সামনে রেখে শহরের তিতাস নদীর আনন্দবাজার নৌ-ঘাট থেকে ১০টি নৌকা নিয়ে র্যালিটি নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এ সময় নদী রক্ষার বিভিন্ন স্লোগানে পতাকা আর ব্যানার প্রদর্শন করে সাধারণ জনগনকে সচেতন করা হয়। র্যালিতে কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। র্যালিটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করার পর ভাদুঘর নৌ ঘাট গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নদীভিত্তিক কবিতা নিয়ে নদী বন্দনা। উদ্বোধন করেন কবি জয়দুল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক মীর (শিক্ষা ও প্রযুক্তি)। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার আহবায়ক ফজলুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নদীকে বাঁচাতে প্রশাসন সব সময়ই তৎপর রয়েছে। নৌ র্যালির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষায় সচেতন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৯ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
আলোচনা করেন সাহিত্য একাডেমি সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড মাহবুবুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো মহসিন, সৈয়দ মিজানুর রেজা তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল,সৈয়দ আসলাম,জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন রায়, আবদুল খালেক বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ আলম তারা দুলি,জেলা তাঁতীলীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবি লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান,জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ,সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত সায়েম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল মিয়াকে গতকাল ৫ মে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ রেলগেট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মো. বিল্লাল মিয়া (৪৭) আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বিল্লাল মিয়া।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, সোমবার রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ রেলগেট এলাকা থেকে মো. বিল্লাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি হত্যা ও একটি নাশকতার মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। আজ ৬ মে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী গ্রামে ঘরে ঢুকে সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার দুই পুত্র মাহিন (১৪) ও মহিন (৭) কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় খুনি জহিরুল ইসলাম (২৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের মেয়ের জামাই এবং নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগিরচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, বাঞ্ছারামপুর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক স্বাগত সৌমের আদালতে সোপর্দ করা হলে জহিরুল ইসলাম ত্রিপল হত্যাকান্ডে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসবিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) মোঃ সোনাহর আলী শরীফ বিষয়টি সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের কন্যা আনিকা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো। দাম্পত্য কলহের জের ধরে আনিকা আক্তার প্রায়ই তার বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলার মাধবদী গ্রামে চলে আসতো। বর্তমানেও আনিকা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে।
বড় বোন শিল্পী আক্তারের পরিবারে প্রভাব বিস্তার করতো নিহত জেকি আক্তার।
দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সোমবার সকাল ৮টার দিকে খালা শ্বাশুড়ি জেকি আক্তারের বাসায় আসে জহিরুল ইসলাম। সেখানে নাস্তা খেয়ে সে চলে যায়। রাত সাড়ে রাত ৮টার দিকে জহিরুল ইসলাম পুনরায় জেকি আক্তারের বাড়িতে যায়। পরে জহিরুল জেকি আক্তারের কাছে তার শাশুড়ি (শিল্পী আক্তার) ও তার স্ত্রীর সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা শুরু করলে জেকি আক্তারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জহিরুল ইসলাম ঘর থেকে বটি দা নিয়ে জেকি আক্তারকে মাথার পিছন দিকে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করে। জেকি আক্তারের চিৎকারে ঘুমিয়ে থাকা তার বড় ছেলে মাহিন মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জহিরুল তাকেও কোপ দেয়। মাহিন দৌড় দিয়ে নিজ রুমে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা ও চিৎকার শুরু করলে জহিরুল সেখানে গিয়ে গামছা দিয়ে মাহিনের মুখ বেঁধে ফেলে পরে তাকে টেনেহিচড়ে মায়ের পাশে এনে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে।
এসময় ছোট ছেলে মহিন ঘুম থেকে উঠে দরজায় দাড়িয়ে থাকলে মহিন তাকে চিনে ফেলতে পারে এইকথা চিন্তা করে মাহিনের শয়নকক্ষ থেকে একটি বাটাল এনে মহিনের দিকে তাকালে মহিন ভয়ে বাথরুমে চলে যায়। পরে জহিরুল বাথরুমে গিয়ে মহিনের কন্ঠনালীতে বাটাল ঢুকিয়ে দেয় ও পরে তার মাথায় বাটাল ঢুকিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত তার লাশ বাথরুমে ফেলে রাখে। এসময় ঘুমিয়ে থাকা ৭ মাসের ওজিহা তাকে চিনতে পারবেনা ভেবে জহিরুল তাকে খুন করেনি। পরে রাত ১টার দিকে জহিরুল জেকি আক্তারের ঘরের দরজায় তালা দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ত্রিপল খুনের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের বাসার দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রী জেকি আক্তার দুই পুত্র মাহিন ও মহিনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শাহআলমের ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।