চলারপথে রিপোর্ট :
একদিকে লোডশেডিং, পাশাপশি বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট মহলের সাড়া মিলে না যথাসময়ে। বিপদজনক হলেও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মাঝে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (ঘাটুরা)র আওতাধীন হালদার পাড়া এলাকায় গভঃ মডেল গার্লস স্কুলের সামনে। এখানে বেলা বারোটার দিকে বিদ্যুৎ এর মূল সার্ভিস তারের একটি তার পথের মাঝে ঝুলে পড়ে। সেখানে ট্রান্সফর্মারে সংযোগ সহ তারটির প্লাস্টিকের কালো আবরণ অনেক জায়গায় নেই।
ঝুলে পড়ে তারের পাশ দিয়ে পথ চলেছে স্কুলের কোমলমতি শিশু কিশোর শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা।
বিপদজনক অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় লোকজন বড় ড্রাম, বালতি ফুটের টব রেখে বিপদ এড়ানোর প্রাথমিক চেষ্টা করে এবং বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে অভিযোগ জানান।
অভিযোগকারী নাইটিংগেল হাসপাতালে কর্মরত রতন রায় গণমাধ্যমকে জানান, তার ঝুলে পড়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভিযোগ কের্ন্দের ইঞ্জিনিয়ার নূর আলমকে জানানো হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পরও কেউ আসেনি। এছাড়া তারটি কিছুদিন পরপরই ছিঁড়ে পড়ে থাকে, কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে যায় কতৃপক্ষ, এতে করে প্রাণহানীর আশঙ্কা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের কাছে বিকেল সাড়ে তিনটায় বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রে খবর নিচ্ছি। বেলা সাড়ে চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেছে পথে পথচারীদের নাগালের মধ্যে ঝুলে থাকা বিদ্যুৎ তারটি সরানোর জন্য কেউ আসেনি। এ অবস্থায় স্থানীয় এবং পথচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রতিবাদে ‘বিএনপি জামায়াতের নৃশংসতা-বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও নারী সমাজ- এই স্লোগানে ৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রেহানা বেগম রানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, সহ-সভাপতি মুক্তি খান প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, আজ আমরা অবরোধের নামে বিএনপি জামায়াতের নৃশংসতা বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়ন হচ্ছে, তখনই বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু তারা এই ষড়যন্ত্র করে পার পাবে না। সারা দেশের মানুষ আজ তাদের ধিক্কার দিচ্ছে। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাদের এই হীন অপকর্মের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাহমুদুল হাসান নামে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারী প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে বিচারাধীন মাদকের মামলা নিষ্পত্তি পর আলামত হিসেবে জব্দ করা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য গত বুধবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল আদালত চত্বরে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের মালখানায় থাকা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার জন্য আদালত প্রাঙ্গনে আনার সময় মাহমুদুল হাসান এক প্যাকেট ইয়াবা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন। এতে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে যাওয়ায় উপস্থিত ম্যাজিষ্ট্রেটদের সন্দেহ হয়। এ সময় উপস্থিত একজন ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ সদস্যদের ডেকে মাহমুদুল হাসানের শরীর তল্লাশী করতে বলেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশী করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবায়েদুল হাসান ভূইয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই অবস্থান করছেন। ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এমনটা হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিজ চোখে বিষয় দেখে ফেলেন। দেখার পরই তাকে প্রথমে তাকে আটক ও পরে পুলিশের মাধ্যমে তার শরীর তল্লাশী করে তার পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। আমি তার যথাযথ শাস্তি দাবি করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হাসান আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট ডটকমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পিতবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্ত্বর থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন গণমাধ্যম কর্মী, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও সামাজিব সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকাপোস্ট ডটকমের জেলা প্রতিনিধি বাহাদুর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাইজুর রহমান ফয়েজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রচার সম্পাদক ডা. খোকন দেবনাথ এবং আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু হামেদ বাবু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান এবং নোঙর এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র এবং সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজের অসঙ্গতির পাশাপাশি এখন পজিটিভ বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার খবরগুলোও উঠে আসছে গণমাধ্যমে। এক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো সবার আগে খবর পৌঁছে দিচ্ছে পাঠকদের কাছে। এক ক্লিকেই এখনকার ঘটনার খবর এখনই মিলছে। বক্তারা আরও বলেন, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সরকারের- সেটি বাস্তবায়নে ঢাকাপোস্টের মতো প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পরে আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা ঢাকাপোস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
কেক কাটা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, মজিবুর রহমান খান, আশিকুর রহমান মিঠু, আজিজুর রহমান পায়েল, শফিকুল ইসলাম, আবুল হাসনাত রাফি, আজিজুল সঞ্চয়, ইফতেয়ার রিফাত, মেহেদী নুর পরশ, আবুল হাসনাত অপু, মাফুকুর রহমান জ্যাকি, আনিসুল হক রিপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৫জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৯। এসময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯টি আসনের ৫৯টি অনলাইন টিকেট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকেট বিক্রয়ের ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে (র্যাব-৯) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো শহরের উত্তর মোড়াইল এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫) মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), মোঃ শাহিন মিয়া (৪০) ও মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮)।
এর আগে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
(র্যাব-৯) এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানান, টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম থামাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।
এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯ টি আসন বিশিষ্ট ৫৯ টি টিকেট, কালোবাজিরর কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৮হাজার টাকাসহ ৫ কালোবাজারিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ রিক্সার লাইসেন্স বাতিল, প্রকৃত রিক্সার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেওয়া, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ আট দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কমিটি ও রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।
কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মো. জামালের সভাপতিত্বে ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, আসমা খানম, অসিত পালসহ অনেকে।
এসময় বক্তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শেষে পৌর মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।