চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোন ডিসপ্লে জব্দ করা হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার বাইপাসে বিজিবির অভিযানে এসব ডিসপ্লে জব্দ করা হয়।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে মনিয়ন্দ বিওপির টহল দলের অভিযানের সময় ১১৭১ টি মোবাইল ফোন ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারকারি পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বাজেট দিয়েছে ৭ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতাদের পরামর্শে বাজেট দিত। সেই চিত্র এখন পাল্টেছে। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা আমাদেরকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা জাতির পিতার সন্তান। আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল আরো বলেন, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে, মেট্টে রেল হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পর দেখা গেছে, আমাদের দারিদ্র সীমা কমে এসেছে। চাকরী প্রার্থীর সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমে আসছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নতি করার প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে। কিন্তু দু:খের বিষয় সেই উন্নয়ন কারও কারও চোখে ভাল লাগছে না। এরমধ্যে বিএনপি যারা লুটপাট করে বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছিল। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি প্রমান করে দিয়েছিল। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার সকল সরঞ্জাম তৈরি করে ফেলেছিল। তারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে পায় না। চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। এখন কিছু ষড়যন্ত্রকারীও তাদের সাথে যোগ হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের কথা মনে রাখতে হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোগড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপির শেষ সময়ে বাজেট দিয়েছিল ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতা দেশের পরামর্শে বাজেট দিত। মিটিং হতো প্যারিসে। বড় বড় রাষ্ট্রগুলো থেকে টাকা নিয়ে বাজেট দিত। বাজেটে লিখা থাকতো শতকরা ৮০ টাকা আসবে বিদেশ থেকে আর বাকী টাকা দিবে দেশের জনগণ। সেই চিত্র এখন পাল্টে গেছে। আজকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার বাজেট দেওয়ার পরও শতকরা ৮৩ টাকা দিবে বাংলাদেশের জনগণ। আর বাকী টাকা আসবে বিদেশ থেকে।
সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। কারণ নির্বাচন দিলেই তারা বলে নির্বাচনে যাবে না। গত নির্বাচনে বিএনপি প্রতিটি আসনে ৩/৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। তারপরে বলে নির্বাচন করবে না। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন করবে না। নিবার্চন নষ্ট করবে। মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে। এ ব্যপারে সবাইকে সর্তক থাকার আহবান জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, সুদখুররা যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকবেন। ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন বাংলার মানুষ, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা শেখ হাসিনার সাথে আছে। ষড়যন্ত্র করে পার পাবে না। ষড়যন্ত্র করলে জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দিবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেন থেকে পড়ে নিখোঁজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের সোহেল মোল্লা তানভীরের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ২ জুন রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সাত কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার রায়পুরা ও কুমিল্লা জেলার গৌরিপুর এলাকার মাঝামাঝি স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
তানভীরের বয়স বাস্তবে ১৭ বছর। তবে প্রবাসে যাওয়ার স্বার্থে পাসপোর্ট করতে গিয়ে কাগজে কলমে বয়স কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ৩১ মে বিকেলে সে কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন পার হওয়ার পর উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।
তানভীরের আত্মীয় মো. হাসান জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। লাশ আসার পর বাড়িতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন তানভীর। বোন আশামণির বিয়ে হয়ে গেছে। পরিবারটিতে বাবা-মা ছাড়া আর কেউ রইলো না।
সোহেলের মামা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমার বোনের পরিবারে আর্থিক অনটন ছিলো না। ভাগিনা যেন জীবনের প্রতি দায়িত্বশীল হয় সেজন্য তাকে প্রবাসে পাঠানোর চিন্তা করা হয়। এছাড়া প্রবাসে যাওয়া ও প্লেনে উঠার খুব শখ ছিলো তানভীরের। তার বাবা কখনো ছেলের শখ অপূর্ণ রাখেননি। প্রবাসে যাওয়ার বিষয়টা একরকম তার শখ পূরণ করার বিষয়ও কাজ করেছে।’
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘গত তিনদিন নৌ পুলিশসহ আমরা লাশ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করি। গতকাল রবিবার দুপুরে রায়পুরা এলাকায় এক জেলে পানিতে লাশ ভাসতে দেখে সেখানকার পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাড়ে ছয়লাখ টাকা চুক্তিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা তানভীরের। ৩১ মে সকালে ঢাকায় যাওয়ার পর জানতে পারেন তানভীরের জন্য বিমানের টিকিট ম্যানেজ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সি। তাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আগামী পাঁচ সাত দিনের মধ্যে টিকিট ম্যানেজ করে তানভীরকে পাঠানো হবে। এ অবস্থায় তানভীর ও তাঁর স্বজনরা উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর সিট থেকে উঠে দরজার সামনে আসেন তানভীর। মুহূর্তেই সে মেঘনা সেতুতে পড়ে যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে সঙ্গে থাকা স্বজনরা বুঝতে পারেন তানভীরই পড়ে গেছেন। এরপর থেকে তার লাশ খোঁজাখুজি শুরু হয়। রবিবার এক জেলে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে তানভীরকে শনাক্ত করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পানিতে ডুবে তানভীর আহমেদ নামে ১৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত তানভীর আহমেদ নূরপুর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। মৃত শিশুর চাচা মো. দুলাল মিয়া বলেন, তানভীর দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলার ফাঁকে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে না পেয়ে আমরা আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এরইমধ্যে ওই পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখা যায় তানভীরকে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ভাতিজাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে তানভীর আহমেদ নামে ১৮ মাসের এক শিশুকে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মানবিক কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুর লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে আগামী ৫ মে বিকেল চারটায় স্বাক্ষরকারির কার্যালয়ে গিয়ে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেনা সেই মর্মে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
শাহাব উদ্দিন বেগ আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে তিনি ধর্মীয় উপসানালয়ে গিয়ে প্রচারণা ও প্রচার কাজে যানবাহন ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও মিডিয়া সেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে শাহাব উদ্দিন বেগ নির্বাচনী বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ বিধিমালা এর ১৩ ও ২০ পরিপন্থী। ১ মে স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আগামী ৫ মে শাহাব উদ্দিনকে স্বশরীরে হাজির হয়ে বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।