চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জেলা পর্যায়ে মাহমুদা আখতার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। মাহমুদা আখতার আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া মো. মাহবুবুল আলম শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার উপজেলার ভান্ডুসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষার মান উন্নয়নে বহুমুখী অবদান রাখায় জেলা বাছাই কমিটি ওই দুজনকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মাহমুদা আখতার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা গোপিনাথপুর আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এর আগে ২০২২ সালে তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হন।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মাহমুদা আখতার বলেন, আসলে যে কোনো ভালো কৃতিত্ব বা অর্জন হলো আনন্দের। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সব সময় বিদ্যালয়ের ভালো করার চেষ্টা করেছি। আমাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এ অর্জন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ উপজেলাবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা আর নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আখাউড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাত ১২ টা ১ মিনিটে আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারী ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থিত শহিদ মিনারের বেদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর একে একে শহীদ মিনারে পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, জাতীয় পার্টি, জাসদ, রেলওয়ে পুলিশ, আখাউড়া থানা পুলিশ, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিনব্যাপী আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ও মিলনায়তনে আলোচনা সভা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান,কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষা দিবস ও একুশের বিভিন্ন থিম নিয়ে চিত্রাঙ্কন করেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নুরে আলমসহ রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভোটের লড়াইয়ে আপন দুই ভাই একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। পৌর শহরের খড়মপুরস্থ প্রখ্যাত আওলিয়া কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে উত্তর পাড়া থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই সহোদর।
তারা হলেন বড় ভাই মোঃ মলিন খাদেম (আনারস) ও ছোট ভাই মোঃ খোকন খাদেম (মোরগ)। খোকন খাদেম বর্তমানে কমিটির সদস্য।
একই পদে দুই ভাই প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কল্লা শহীদ (র.) মাজারটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ এস্টেট এর তালিকাভুক্ত একটি দরগাহ শরীফ। ই. সি. নং ৪৫৬৬। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাজার পরিচালনা করে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র-সহ সভাপতি। গ্রামের ৭টি পাড়া থেকে ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেক পাড়া থেকে ৩ জন করে ২১ জন সদস্য নির্বাচন করবেন ভোটাররা। পরবর্তীতে সদস্যের ভোটে একজন সাধারণ সম্পাদক ও একজন সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ওয়াকফ প্রশাসকের সুপারিশক্রমে ২ জন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ ৩ বছর।
এদিকে মাজার কমিটির নির্বাচনে আপন দুই ভাই প্রার্থী হওয়ার আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, একই পরিবার থেকে দু’জন প্রার্থী হওয়ায় বিষয়টি অশোভন দেখাচ্ছে। এতে তাদের নিজেদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। ভোটাররাও বিভ্রান্ত হবে। দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের সুযোগ নিবে অন্যান্য প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচনে জয়লাভ করা উভয়ের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু এক ভাই প্রার্থী হলে দুই ভাইয়ের সম্বলিত শক্তিতে জয়লাভ করা সহজ হতো।
উত্তর পাড়া থেকে অপর প্রার্থীরা হলেন মোঃ কামরুল হাসান (দেয়াল ঘড়ি), মোঃ বাহাদুর খাদেম (চশমা), রোজবেল খাদেম (আম), সাকির খাদেম (হারিকেন) ও জাকির খাদেম (কলস)।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সরগরম খড়মপুরের পাড়া মহল্লা। প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত মিনি পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গ্রামের পাড়া মহল্লা। বাসা বাড়ির দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি ও দোকান-পাটে প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রচার প্রচারণা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে।
জানতে চাইলে, মলিন খাদেম বলেন, দুই ভাই নির্বাচন করলেও সমস্যা নাই। ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে ভোট দিবেন।
অপর দিকে ছোট ভাই মোঃ খোকন খাদেম বলেন, কেউ ষড়যন্ত্র করে বড় ভাইকে প্রার্থী করেছে। তবে আমি সব সময় পাড়ার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। আশা করি ভোটাররা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
পূর্বাঞ্চল রেলপথে ট্রেনে বুকিং করে ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার হচ্ছে। মালবাহী বগিতে বুকিং করে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার পথে আখাউড়ায় ১০ বস্তা ভর্তি বিপুল পরিমান ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ আতঁশবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান পরিচালনার সময় রেলওয়ে পুলিশ এই আতঁশবাজি উদ্ধার করে।
আজ ২১ এপ্রিল সোমবার বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় একটি মালের বগিতে তল্লাশী চালিয়ে দশ বস্তা ভর্তি কিং কোবরা নামে ৮৯০০ প্যাকেট ও কালার সিলেকশন ৮০ প্যাকেট আতঁশবাজি উদ্ধার হয়। মাছের খাদ্যের বদলে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার জন্য আজাদ মিয়া ও রাসেল মিয়া নামে দুই ব্যক্তি এই আতঁশবাজি বুকিং করেছিল ট্রেনে।
আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান জানান, মালের বুকিং চালান কপি অনুযায়ী আজাদ ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ট্রেনে চোরাচালান বিরোধী পুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, ঋণের চেক ও প্রশিক্ষণের সনদ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, যুব, যুবতীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভিন রুহি।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম, আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রওশন আলী প্রমুখ।
বক্তারা ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-যুব-জনতার আন্দোলনের ফসল আমাদের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
যুব-যুবতীদেরকে বেকার না থেকে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের মেধা শ্রম কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া প্রেসক্লাবে সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইফতাখারুল আলম শিমুল।
সবশেষে ৪০ প্রশিক্ষণগ্রহণকারী যুবক-যুবতীকে সনদ ও উপকরণ প্রদান এবং ২ জনকে ঋণের চেক দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্মরণসভায় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজলা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাতবরনকারী শিশু জাবিরের বাবা কবির হোসেন ভূইয়া, চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্র সামি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো: হিমেল খান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. সেলিম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো: ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারী মো: বোরহান উদ্দিন হান্নান খাদেম, আলহাজ্ব মো: বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ এবং তাদের পরিবারের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন আসলে ‘ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগ জাতির জন্য হলো একটি অনুপ্রেরণা। তাদের স্মরণে আমাদের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির জাতীর কল্যাণে সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।
শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদেরই যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ জাবেরের বাবা তুলাই শিমুল গ্রামের কবির হোসেন ভূইয়া তার ছেলের স্মরণে আখাউড়া থেকে তুলাই শিমুল পর্যন্ত শহীদ জাবিরের নামে সড়কের নাম করণ করার দাবি জানান।
পরে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুথানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও আহদদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওঃ কেফায়েত উল্লাহ।