আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান সেকান্দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের সময় সোলাইমান পুলিশের সাথে অসজৌন্যমূলক আচরণ করেছে বলে পুলিশের অভিযোগ।
সোলাইমান সেকান্দর আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের মোদি বিরোধী আন্দোলনের সময় মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা রয়েছে। এছাড়া গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে আশুগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, আটক ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইনের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ২৯ মে বুধবার ভোট চলাকালে প্রকাশ্যে সিল দিয়ে ব্যালটের ছবি তোলা, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে আশুগঞ্জে চারজন ও বাঞ্ছারামপুরে দু’জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভোট চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিষেধ করা সত্ত্বেও মোবাইল ফোন সাথে রাখার দায়ে পোলিং এজেন্ট কাজী মাহবুবুর রহমানকে (৩৮) আটক করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার আন্দিদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে এসে গোপন কক্ষে ব্যালটের ছবি তোলার দায়ে তামিম সরকারকে (২৪) আটক করা হয়। পরে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে, একই উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মো. জহুরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকরামুল হক নাহিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে আরও একদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া একই উপজেলার বড়তল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে নিজের সিল দেওয়া ব্যালটের ছবি তোলায় আমির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মো. আলামিন মিয়া (৩৬) ও মো. নজরুল ইসলাম (৩৪) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাল গালিচায় হেটে প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে আসলেন আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো: এমদাদুল হক। এসময় দু’পাশে দাড়িয়ে ফুল ছিটিয়ে দেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী। বাদ্যযন্ত্রে তখন বিদায়ের সুর। রোভার স্কাউট দলের এ আয়োজন ছাড়াও দিনভর কলেজে নানান আয়োজনে গুনী এই শিক্ষককে বিদায় জানানো হয়।
এমদাদুল হক কলেজটিতে তার ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টেনেছেন বৃহস্পতিবার। প্রিয় শিক্ষকের অবসর জনিত ছুটির এই দিনে অশ্রুসজল ছিলেন সবাই। এদিন সকাল ১১ টায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যােগে বিভাগীয় প্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয় প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মিলনায়তনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাউসার পারভীন। বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান শামসুল আলম আরিফ ও মোশাররফ হোসেন, প্রভাষক সানজিদা বেগম ও ফাতেমা বেগম।
সঞ্চালনা করেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মিয়া। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রভাষক মাহমুদুল হাসান। এরপর বেলা সাড়ে ১২ টায় কলেজের উদ্যোগে উত্তরা ভবনে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয় এমদাদুল হককে। বিভাগীয় প্রধান খন্দকার মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাউসার পারভীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সাফিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জিন্নাহ, সাবেক উপাধ্যক্ষ আহমদ উল্লাহ খন্দকার,সাবেক বিভাগীয় প্রধান শামসুল আলম শাহিন, সাবেক শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মিলন। বক্তব্য রাখেন প্রভাষক আবু হানিফ, প্রভাষক রাশেদ মোশাররফ।
সঞ্চালনায় ছিলেন প্রভাষক আশরাফুল আজিজ। কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রভাষক আবু নাঈম। গীতা পাঠ করেন প্রভাষক সমরেন্দ্র পাল। এসব অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এমদাদুল হক ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। কলেজের শিক্ষার সুনাম ছড়িয়ে দেয়ার অগ্রণী নায়ক। শিক্ষার্থীদের তার নীতি আদর্শ অনুসরন করে চলার আহবান জানানো হয়। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উপহার প্রদান করা হয় তাকে। এমদাদুল হক ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। সুনামের সাথে দীর্ঘ শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও শেষ কর্ম দিবস পর্যন্ত উপাধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও কলেজের রসায়ন বিষয়ের প্রভাষক ননী গোপাল দাসকে এদিন বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বায়োগ্যাস প্লান্টের বয়লার বিস্ফোরণে মোঃ জুবায়ের (২৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত জুবায়ের কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের মোঃ জলিল মিয়ার পুত্র। তিনি গত ৩-৪ বছর ধরে এ ফার্মে কাজ করতো। গত শনিবার রাত সাড়ে ৬টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি ফার্মে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
বিল্লাল ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য। বিস্ফোরণ ও শ্রমিক জুবায়ের নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকায় ঘটলেও বিষয়টি আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এ বায়োগ্যাস প্লাণ্টটি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও এ থেকে উৎপাদিত গ্যাস আশে-পাশের বাড়িঘর ও দোকানপাটে সংযোগ দেয়া আছে। পোল্ট্রি ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি খামারে জুবায়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এ খামারে মুরগির বিষ্টা থেকে দুটি বায়োগ্যাস প্লান্ট চলমান। তবে এসব প্লান্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্লান্টের উৎপাদিত গ্যাস ফার্মের নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে প্লাষ্টিকের পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে সরবরাহ করা হতো। জুবায়ের বৈদ্যুতিক ও বায়োগ্যাসের কাজে দক্ষ থাকায় সে বায়োগ্যাসের কাজ করতো। গত শনিবার বায়োগ্যাসে কাজ করার সময় বিকট শব্দে একটি বয়লার বিস্ফোরন হয়। উদগিরিত গ্যাসে জুবায়ের উপরে উঠে গিয়ে পরে বেশ দুরে ছিটকে পড়ে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলাসদর হাসপাতাল ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সাড়ে রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে বিস্ফোরনের ঘটনা ও শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকা হলেও নিহতের লাশ তার নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে ফার্মের সামনে কথা হয় মোঃ বিল্লাল মিয়ার ছোট ভাই মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি মুরগির সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়নি। তবে কিছুক্ষন আগেই ২-৩ জনকে নিয়ে ফার্ম থেকে বের হতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। এদিকে বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের আগেই তা থেকে উৎপাদিত গ্যাস প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দুর পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে বাণিজ্যিক ভাবে (মাসিক ১ হাজার টাকায়) সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে ফার্মের মালিক মোঃ বিল্লাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে জানায়, নিহত জুবায়ের তার ফার্মে ৩-৪ বছর ধরে কাজ করছে। তিনি লাশ নিয়ে নিহতের বাড়িতে রয়েছেন এবং তার পরিবারের সহায়তায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে। জুবায়ের নিহতের পর লাশ আশুগঞ্জ থানায় কেন নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সবটুকুই নিহতের পরিবারের ইচ্ছা।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, লাশ থানায় নিয়ে আসার জন্য বলা হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ নিয়ে নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি তাড়াইল থানাকে অবগত করে। তাড়াইল থানার ওসির বরাত দিয়ে আরো বলেন, সেখানেও নিহতেদর স্বজনেরা লাশের ময়নাতদন্ত করতে আগ্রহ হয়নি বলে জানায়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবশে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ খালেদ হোসাইন বলেন, বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে নির্দেশনা দিয়েচে। এ সময় এ ঘটনা ঘটল। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইরে মাহফিলের মাইক বাঁধতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সালমান আল অন্তর (২৩) নামে এক যুবক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
১৮ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর (পঃ) ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের পুথাই গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ রবিবার মৈশাইর বাজারের মাদ্রাসার উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী মাহফিল হওয়ার কথা রয়েছে। মাহফিল উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জালাল মিয়ার বাড়ির ছাদে উঠে মাইক বাঁধতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে লাইন টানতে গিয়ে অন্তর অসাবধানতাবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে গুরুত্ব আহত হয়। পরে অন্তরকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওইখানের রাতে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌকাভ্রমণে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল হকের ছেলে ও সাংবাদিক মোঃ শাহজাদা’র চাচাত ভাই মোঃ আরিফুল ইসলাম (৫০)।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আশুগঞ্জ থেকে নৌকা যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার অস্টগ্রামে নৌকাভ্রমণে গিয়ে চর দেওঘর এলাকায় নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের দীর্ঘ ৬৬ ঘন্টা পর আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরাইলে ডুবাজাল নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে।
হুমাইপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার, স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিরলস চেষ্টায় আরিফুল ইসলাম এর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর পকেটে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগে রক্ষিত আইডি কার্ডের মাধ্যমে সনাক্ত করে স্থানীয় প্রশাসন ও ইউপি সদস্য রাকিব খান বাধন পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করে।
আজ বাদ আসর খোলাপাড়া গ্রামে মরহুমের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।