চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের হুরুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে জজ মিয়া (৫৫) ও কাঠালিয়া গ্রামের শুক্কু চন্দ্র পালের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র পাল(৪৫) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার এস আই কালাম ও বিল্লাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জিনতপুর বাজারে ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র সাহার দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এই দুজনকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, প্রতিদিন জজ মিয়া কৃষ্ণ চন্দ্র সাহার প্লাস্টিক মালামালের দোকানে বসতেন এবং ব্যবসার আড়ালে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন, প্রতিদিন কৃষ্ণচন্দ্রের পালের সহযোগিতায় দোকানে বসে গাঁজা বিক্রি করতেন।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির জানান, আাসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের ভোলাচং গ্রামের কৃতি সন্তান নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব খায়েরএর ছোট মেয়ে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে এল এল বি এবং ইউনিভার্সিটি অফ বিপিপি থেকে বার- এট – ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নবীনগর উপজেলায় তমা এই প্রথম নারী বার- এট – ল ডিগ্রি অর্জন করেন। এতে তার পিতার স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। তার এই অর্জনে নবীনগর বাসী খুশী। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শিক্ষা জীবনে তমা নবীনগর কল্লোল কিন্ডার গার্ডেন থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। তারপর ঢাকার উত্তরা রাজউক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হন।
তমা একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগরের সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং সমাজ ও মানুষের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গতকাল ২০ মে রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘড়া গ্র্রামের ৩নং ওয়ার্ডের বিট পুলিশিং ও সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা এস.আই মো. বাছির মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার।
যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওছার, শ্রীকাইল কলেজের সাবেক জি. এস আজিজুর রহমান রাসেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সুমন আহমেদ মাস্টার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শফিউল আলম, ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার মামুন মিয়া, ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাদেক মিয়া, কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এর অভিভাবক সদস্য কামাল সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা আবু কাউসার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ইদানিং গ্রামে চুরি ও ইভটিজিং বিষয়ে মাদক সেবীদেরকে দায়ী করে বলেন- যারা মাদক সেবন করে টাকার জন্য তারাই ছিচকে চুরি করে থাকে ও বিভিন্ন দোকানে বসে আড্ডা দেয়, তাই রাত ৯ টার পরে গ্রামে কোন দোকান খোলা রাখা যাবে না এবং কোন কারণ ছাড়া রাতের বেলায় সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে চলাফেরা করিলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। আপনারা প্রত্যেকেই যার যার পরিবারের সন্তানদেরকে দায়িত্ব নিয়ে মাদকের কুফল সম্পর্কে বোঝাবেন ও সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। নতুবা একদিন চোখের পানি ফেলতে হবে। মাদকের চাহিদা কমিয়ে আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠন ও কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিস্তির্ণ হাওরাঞ্চলের কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। ‘জলকমল’ খ্যাত এ জৈবসার দামে কম ও মান ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পাইলট প্রকল্প হিসাবে এ প্লান্টটি চালু করা হলেও ল্যাব টেষ্টে গুণগত মানের স্বীকৃতি মিলায় এখন বাণিজ্যিক ভাবে ১০টি প্লান্ট স্থাপন করা হবে যা থেকে প্রতিমাসে ৫০ টন জৈব সার উৎপাদিত হবে যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। জেলা সদর ছাড়াও নদী ও হাওরবেষ্টিত নবীনগর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে নৌপথে যোগাযেগের ক্ষেত্রে অন্যতম বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কচুরিপানা।
এতে নৌপথ ক্রমশ সংকুচিত হবার পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলায় আখের ছোবড়া থেকে বাণিজ্যিকভাবে জৈব সার উৎপাদনের বিষয়টি নজরে আসার পর কচুরিপানা থেকে জৈবসার উৎপাদনের পকিল্পনা নেয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সংগৃহীত কচুরিপানরা নিচের কালো অংশটুকু কেটে ফেলে পাতাসহ বাকি অংশটুকুর দেড় টন পরিমাণ স্তূপ করে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা নামক এক ধরণের ছত্রাক এবং ২০০ গ্রাম চুন ছিটিয়ে এ সার তৈরী হচ্ছে। এই সার তৈরি করতে দুই মাস সময় লাগে। পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ায় নবীনগর উপজেলায় বাজারজাত করা হয়েছে। উপজেলার বিসিইসির ২৬টি ডিলার জৈবসার কর্নার স্থাপন করে তা বিক্রি করছেন। এখন পর্যন্ত ৫ টন সারা বিক্রি হয়েছে। ১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি এই প্লান্টটি থেকে প্রতিমাসে ৫ টন সার উৎপাদনের কথা জানালেন, নবীনগর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান।
এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫ ভাগ কমায় বৈদেশি মুদ্রার সাশ্রয়ের কথা জানালেন, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম। এ প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিখোঁজের একদিন পর আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার হেলাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হেলাল মিয়া নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। হেলালের মা পিয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার বউ প্রতিনিয়ত মারধর করতো। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কিভাবে মারা গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ছেলের মৃত্যুর সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে। হেলালের বোন পারভীন বেগম বলেন, আমার ভাই নবীনগরে ভাড়া বাসায় থেকে ঝাল মুড়ি ফেরি করে বিক্রি করতো। আবার মাঝে মাঝে রিকশা চালাতো। বউয়ের নির্যাতন ও পারিবারিক অশান্তির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে কৃষি জমিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করেছে। তিনি আরো বলেন, লাশের দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঠান্ডার কারণে তার শরীর শক্ত হয়ে গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার অবসর প্রাপ্ত সৈনিক সমাজ কল্যাণ সমিতির ৪৩ বছর পূর্তি ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার দুপুরে নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সমিতির সভাপতি আবু জাহের এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্য রাখেন আগরতলা সরযন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট মুজিবুর রহমানের ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া —৫ আসনের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
এ সময় তিনি বলেন উপজেলার অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যদের সন্তানরা সহ হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া খরচের জন্য সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাবেন, এছাড়াও উপজেলার হত দরিদ্র যে কোনো মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য তিনি সহযোগিতা করনে।আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেলে তার পাশে থাকার জন্য উপস্থিত অবসর সেনা সদস্যদের আহবান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্টে কর্ণেল মো. জি.আর জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনে সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয় এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ক্রেস তুলে দেন সভাপতি।