অনলাইন ডেস্ক :
টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল চলে গেলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে উত্তরার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেত্রী সামিরা খান মাহিসহ অনেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
২০০৮ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন আলাউদ্দীন লাল। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০০ নাটকে অভিনয় করেছেন।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এ অভিনেতা। ভুগছিলেন শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিকসহ নানাবিধ জটিলতায়। সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ গত দুইদিন আগে ফেসবুকে অভিনেতার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল।
তখন তার সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন অভিনেতা লাল ভালো আছেন। তার দুই দিনের মাথায় না ফেরার দেশে এ অভিনেতা। এর আগে ২০২২ সালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে এ অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে তার চিকিৎসা।
ফেসবুকে এ খবর জানিয়েছিলেন নাট্যনির্মাতা প্রীতি দত্ত। প্রীতির স্ট্যাটাস পড়ে কয়েকজন সহকর্মী আলাউদ্দিন লালের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু তাদের দেয়া অর্থেও চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। এ খবর পেয়েই মুশফিক আর ফারহান আলাউদ্দিন লালের পাশে দাঁড়ান। তার চিকিৎসার সমস্ত খরচ একাই বহন করেছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে ফিরেছিলেন আলাউদ্দিন লাল।
অনলাইন ডেস্ক :
২৩ রানে ৩ উইকেট ছিল না বাংলাদেশের। ধুঁকতে থাকা সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের দায়িত্বের সবকিছুই পূরণ করলেন তিনি। হাঁকালেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
শান্তর অপরাজিত ১২৯ বলে ১২২ রানের ইনিংসের উপর ভর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অবশেষে সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ২৫৫ রানের জবাবে ৬ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা।
এদিন দুর্দান্ত জুটি করে দারুণ একটি রেকর্ড করেছেন শান্ত ও মুশফিক। লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে তাদের গড়া ১৩১ রানের জুটিটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ১১১ রানের জুটি ছিল মুশফিক ও সাব্বির রহমানের।
বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৮৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে শান্তর সঙ্গে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন ওপেনার লিটন দাস। বাঁহাতি লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার গুড লেন্থে করা বল ডিফেন্ড করতে গেলে ব্যাটের কানায় লাগে লিটনের। সেই বল উপড়ে ফেলে লিটনের লেগ স্টাম্প। গোল্ডেন ডাক মেরেই সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ ওপেনার।
মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। মিডঅফে খেলতে গিয়ে মাহিশ থিকসানার হাতে সহজ ক্যাচ হন সৌম্য (৯ বলে ৩)। দাঁড়াতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়ও। ৮ বলে ৩ রান করে প্রমধ মাদুশানের বলে তিনিও বোল্ড হন।
এরপর শান্তকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি। ফিরেছেন ৩৭ বলে ৩৭ রান করে। লাহিরু কুমারাকে ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন দিলশান মাদুশঙ্কার।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংবান্ধব পিচে টস জিতে ব্যাট নিতে ভুল করেনি লঙ্কানরা। ব্যাটিংবান্ধব পিচে তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের তোপে ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই রীতিমত ঘাম ঝরছিল বাংলাদেশের। আভিস্কা ফার্নান্ডো আর পাথুম নিশাঙ্কা ঝোড়ো গতিতে রান তুলে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তাদের ৫৯ বলে ৭১ রানের মারকুটে জুটিটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব।
সাকিব নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের দশম ওভারে এসে আঘাত হেনেছেন। ৩৩ বলে ৩৩ করে আভিস্কা ফার্নান্ডো অনেকটা সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়েছেন।
নিজের পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কাকেও ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। এবার স্লিপে সৌম্য সরকার নিয়েছেন ক্যাচ। নিশাঙ্কা করেন ২৮ বলে ৩৬।
এরপর ১৪তম ওভারে আরও এক শিকার তানজিম সাকিবের। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারি সাদিরা সামারাবিক্রমা (৩) ডিফেন্ড করতে গিয়েও ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। মুশফিকুর রহিম ঝাঁপিয়ে পড়ে নেন দারুণ এক ক্যাচ।
চতুর্থ উইকেটে আবার জুটি করে শ্রীলঙ্কা। এই উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আশালঙ্কা করেন ৭৩ বলে ৪৪ রানের জুটি। তবে তাদের ফিফটি রানের জুটি করতে দেননি অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭ বলে ১৮ রান করা আশালঙ্কাকে ফেরান বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তিনি।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কাকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। ফিফটি হাঁকানোর সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনি। তবে তাকে বেশি দূর এগুতে দেননি সেনসেশনাল পেসার তাসকিন আহমেদ।
৭৫ বলে ৫৯ করা মেন্ডিসকে মিডঅফ অঞ্চলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান তিনি। মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দ্রুতগতির ৬৯ রানের জুটিও ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। জেনিথ লিয়ানেজের সঙ্গে ৬৮ বলে এই জুটি করেন মেন্ডিস।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন লিয়ানেজ। শরিফুলের বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেট মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১৪ বলে ১৩ রান করা হাসারাঙ্গাকে তাওহিদ হৃদয়ের হাতের ক্যাচ বানান তাসকিন।
প্রমধ মাদুশান ৮ ও লাহিরু কুমারা ৫ রান করেন। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
চলারপথে ডেস্ক :
বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজিত হলেও বেশিরভাগ সময়ই এর চ্যাম্পিয়ন হয় ইউরোপের দলগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
সৌদি আরবে শুক্রবার রাতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির লড়াইটা জমলো না একেবারেই। লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। এর মধ্যে শুরু ও শেষের গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেস। তৃতীয় গোলটি ফিল ফোডেন করলেও বাকি গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
সিটির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে ইতিহাস গড়লেন গার্দিওলা। ফুটবল ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেন চারবার। রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি এই শিরোপা জিতেছেন তিনবার।
এই জয়ে সিটির হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাও জিতলেন গার্দিওলা। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এফএ কাপের শিরোপা জেতে সিটি। এই মৌসুমে ক্লাব বিশ্বকাপ ছাড়াও জেতেন উয়েফা সুপার কাপ। অর্থাৎ, ২০২৩ সালে ৫টি শিরোপা জিতল সিটি।
ম্যানচেস্টার সিটি ইংল্যান্ডের চতুর্থ দল যারা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল। এর আগে এই কীর্তি গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও লিভারপুল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ (বোডিং মাঠ) সংলগ্ন পুকুরে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদার আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মোঃ আবুল কাসেম।
উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠান পরিচালনায় করেন সিনিয়র ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান পলাশ।
এসময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।
স্পোর্টস ডেস্ক :
বিরাট কোহলি বিশ্বরেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন শ্রেয়াস আয়ারও। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। অর্থাৎ ফাইনালে যেতে কিউইদের করতে হবে ৩৯৮ রান।
মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা।
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল মিলে ৮.২ ওভারে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। এমনভাবে ব্যাটিং করছিলেন তারা, যেন এটি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে সমান চারটি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
রোহিত আউট হলেও ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি। ১৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা তুলে ফেলে ১১৮ রান। ২৩তম ওভারে দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন গিল।
গিল মাঠ ছাড়ার পর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপদ যেন আরও বাড়ে। আয়ার আরও বেশি মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৫ বলেই ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেলে ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ছাড়িয়ে যান স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। ওয়ানডে ইতিহাসে ৫০টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার হন কোহলি।
তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বলে ১৬৩ রান যোগ করেন কোহলি আর আয়ার। অবশেষে টিম সাউদি ভাঙেন এই জুটি। ১১৩ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি।
এরপর সেঞ্চুরি হাঁকান মারমুখী আয়ারও। ৬৭ বলে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ট্রেন্ট বোল্ডের শিকার হন আয়ার। ৭০ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকান ৮টি ছক্কা!
সূর্যকুমার যাদব শেষদিকে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ২ বলে ১ করে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটার। তবে লোকেশ রাহুল ২০ বলে ৩৯ রান করে দলকে চারশর কাছাকাছি নিয়ে যান। ৭৯ রানে উঠে যাওয়া শুভমান গিল শেষ ওভারে নামলেও মাত্র এক বল খেলার সুযোগ পান, ৮০ রানে থাকেন অপরাজিত।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০০ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টারইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম তিনটি শট ঠেকিয়েছেন।
প্রথমার্ধে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না গোল করে সমতা আনেন। কোনো দল আর গোল করতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ এ। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হলো টাইব্রেকারে।
শুরু থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশ ছিল এলোমেলো। ভুল পাস ও সমন্বয়হীনতায় শুরুর দিকে ছন্নছাড়া ছিল সাইফুল বারী টিটুর দল। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত।
মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ঠিকঠাকমতো ডিফেন্স করতে পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বল বের করে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আনুসকা কুমারী। তিনি বাম দিকে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে।
বিরতির বাঁশির দুই মিনিট আগে বাংলাদেশ সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সাথীর কর্নার রুখে দেন ভারতের গোলরক্ষক মুন্নী । তবে ৭০ মিনিটে বদলি অনন্য মুরমু বিথীর কর্নার থেকে গোল করেন বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না।
ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা বিশ্বাস, শিউলি রায়, আরিফা আক্তার, সাথী মুনদো, আলপি আক্তার, ক্রানুচিং মারমা (অনন্যা মুরমু বিথি), ফাতেমা আক্তার (মমিতা) ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।