চলারপথে রিপোর্ট :
শারদীয় দুর্গোৎসবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে সাত হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ ত্রিপুরার আগরতলায় পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দিয়ে আরও ইলিশ রপ্তানি হবে। প্রথম চালানে মাছগুলো রপ্তানি করেছে বিডিএস করপোরেশন ও স্বর্ণালি ট্রেডার্স নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আখতার হোসেন বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো ইলিশ রপ্তানি করছি।
কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই মাছ পাঠানো হবে। শারদীয় দুর্গোৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে।
স্থলবন্দর মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করা হয় মাছ। প্রথমদিন সাত টনেরও বেশি মাছ রপ্তানি হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মাছ যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, সরকারি অনুমোদন দেখে ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে। ভারতে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৪৯টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করবে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পর্যায়ক্রমে আরও ইলিশ মাছ রপ্তানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুদে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আখাউড়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার আয়োজনে শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
১ম থেকে ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা, অংক, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি বিষয়ে মোট ৩০০ নম্বর এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীরা ৬ টি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অংকুর কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠা পরিচালক শফিকুল আলম তুরান বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মেধা যাচাই বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। মেধার বিকাশ ঘটে।
বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা একে অপরের সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায় ভূমিকা পালন করে।
এসম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার উপদেষ্টা রাধা কৃষ্ণ নুনিয়া,
শিক্ষক আহসান কবির লিটন, সরাফুল ইসলাম, সম্রাট খাদেম, ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের জান্তানিয়ন্ত্রিত তেল-গ্যাস কোম্পানি মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (মগে) ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থবিষয়ক ট্রেজারি বিভাগ।
এর আগে দেশটির সামরিক শাসক ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ আরোপ করলেও এবারই প্রথম দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হানল ওয়াশিংটন।
সেনাশাসিত দেশটির বৈদেশিক রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে জ্বালানিবিষয়ক এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ট্রেজারি বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজের বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ট্রেজারি বিভাগ। এসব পরিষেবার মধ্যে আছে— ঋণ, অ্যাকাউন্ট, বিমা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য পরিষেবা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বৈদেশিক আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানি।
জান্তা সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধু এই খাত থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ছয় মাসে ১৭২ কোটি ডলার আয় করেছে সেনা সরকার। দেশটির তেল ও গ্যাস শিল্পের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মগে।
বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমারের এই এন্টারপ্রাইজকে মনোনীত প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেবে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকেও বের করে দেওয়া হবে মগেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমারের মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মগের বিরুদ্ধে মার্কিন আর্থিক পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা তেল ও গ্যাস খাত থেকে জান্তার তহবিলে বিশাল অর্থের প্রবাহকে ব্যাহত করবে।
জান্তা সরকারের বৈদেশিক অর্থ ও অস্ত্রের প্রধান উৎস মগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা উচিত। এ সময় তিনি মগের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের নাসরিন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন জুতা প্রদান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা, বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কাপড় উপহার এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং স্কাউট ও প্যারেড দলের সদস্যসহ ২৬৬ জনকে নতুন জুতা (সাদা কেডস্) দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এসব জুতা ক্রয় করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে জুতা তুলে দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষক সৈয়দ মোজাম্মেল, রানা ভ্ইূয়া, সাফিয়া খাতুন, দীপা বনিক, লিজা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ। নতুন জুতা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গরীব হয়। এজন্য তাদের সন্তানকে অর্থাভাবে যথা সময়ে নতুন জুতা কিনে দিতে পারে না। সেজন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে যে সকল শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হবে তাদের দায়িত্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিবে। আমরা প্রথমে জুতা দিয়ে শুরু করেছি। শুধু তাই নয় যারা অর্থের অভাবে স্কুল ড্রেস বানাতে পারবে না। এসব শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া এ স্কুলের এসএসসি বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কাপড় উপহার দেওয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ২৩ মে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০ মে সোমবার ইরানের সামরিক কর্মকর্তার মাধ্যমে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে বলে জানিয়েছে মেহের নিউজ এজেন্সি।
ইরানের আধাসরকারি নিউজ এজেন্সিটি জানিয়েছে, প্রতিবেদনে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার নতুন তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দাবি করা হয়েছে, গুলি বা বোমা ছুড়ে রাইসির হেলিকপ্টারটিকে ভূপাতিত করা হয়নি। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছে, মাটিতে আঘাত করার পরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। কারণ হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষে গুলি বা বোমার আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তদন্তে আরো জানা গেছে, পথে সব সময়ই অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে উড়ছিল রাইসির হেলিকপ্টার। এটি কখনই পথ হারায়নি, নির্ধারিত ফ্লাইট পথ ছাড়া অন্য কোনো দিকে যায়নি। কারণ বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় দেড় মিনিট আগেও হেলিকপ্টারটির পাইলট বহরের অন্য দুই হেলিকপ্টারের পাইলটদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
তাদের কথোপকথনের মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি বলেও তদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ তদন্ত আরও চলবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। আকাশের ঘন কুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ায় হার্ড ল্যান্ডিং করতে গিয়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয় বলে সে সময় জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ে প্রকল্পের রেললাইনে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন শাহানুর সরকার নামে এক ব্যক্তি। তার দাবি, আখাউড়া-আগরতলা নবনির্মিত রেললাইন তার মালিকানাধীন জায়গার ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ তাকে জমি অধিগ্রহণের টাকা দেওয়া হয়নি।
তার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রেলওয়ের প্রকল্পের জায়গা মাপজোখ করে সেখানে শাহানুরের কোনো জায়গা পায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট রবিবার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় সীমান্তের শূন্য রেখার পাশে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন শাহানুর সরকার। তিনি ওই ইউনিয়নের খারকোট এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
সেসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পে তার ২৬ শতাংশ জায়গা পড়েছে। এর মধ্যে শিবনগর মৌজায় ১৬৮ দাগের সাড়ে ৮ শতক ও ১৬৫ দাগের সাড়ে ১৭ শতক জমি রয়েছে। এখন ওই জমির ওপরে রেললাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি সেই জমি অধিগ্রহণের কোনো টাকা পাননি।
শাহানুর সরকারের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক অবস্থায় ১৪ আগস্ট আখাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ের সার্ভেয়ার রেললাইন প্রকল্প এলাকা মাপজোখ করেন। সারাদিন মাপজোখ করে অভিযোগকারী শাহানুর সরকারের কোনো জায়গা রেললাইনের ওপর পাওয়া যায়নি।
আখাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার এসেছেন। তারা ভূমি অধিগ্রহণ ও রেললাইনের অ্যালাইনমেন্ট রেফারেন্স ধরেছেন। রাস্তা থেকে তারা মেপে আসছেন। তাদের মাপে প্রতীয়মান হয়, অধিগ্রহণ করা জায়গাতেই রেললাইন হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত জায়গায় রেললাইন হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা অভিযোগকারী ব্যক্তিকে বুঝিয়ে বলেছি তার জায়গায় রেললাইন হয়নি। তার যে একটি ভুল ধারণা ছিল, পুরো ম্যাপ দেখে তাকে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। উনি বলেছেন বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। শাহানুর সরকার স্থানীয় এক আমিন দিয়ে জায়গাটি পরিমাপ করিয়েছিলেন। আমরা সেই আমিনকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু গত দুইদিন সময় নিয়েও তিনি আসেননি। শাহানুরকে আমিন কী বুঝিয়েছে, তা আমরা জানি না। তবে শাহানুর সাহেব জানিয়েছেন যে, আমিন তাকে বলেছেন রেললাইন যেখানে হওয়ার কথা ছিল তা সরে গেছে। অথচ মাপজোখ করার পর দেখা গেলো, ভূমি অধিগ্রহণ করা জায়গাতেই রেললাইন হয়েছে। আমিন তাকে যা বলেছিলেন, তা ঠিক না।
তবে অভিযোগকারী শাহানুর সরকার বলেন, উনারা আমাকে ম্যাপ অনুযায়ী আমার জায়গা দিচ্ছেন না। কিন্তু দলিল ও বিএস অনুযায়ী আমার জায়গা অধিগ্রহণে পড়েছে। উনারা এখানে-সেখানে আমার জায়গা দেখাচ্ছেন। আমার আমিন আসেননি। তার বাড়িতে গিয়েও অনেক অনুরোধ করেছিলাম আসতে, তবুও সে আসেননি। তাহলে আমার জায়গা কোথায়? আমি এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।