চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় আনুমানিক ৬৮ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ইমিটেশন সামগ্রী উদ্ধার করেছে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) সদস্যরা।
গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার আখাউড়া উপজেলার ছয়ঘরিয়া নামক এলাকা থেকে এসব পন্য উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৫৭ পিস, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৯৭২ পিস, বিভিন্ন প্রকার ইমিটেশন গহনা নেকলেস- ৭৩ পিস, চুড়ি -১১৩ পিস, টিকলী-৫৫ পিস, আংটি-১১ পিস ও দুল ৮৬ পিস।
বৃহস্পতিবার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম জাবের বিন জব্বার, পিএসসি,এসি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় পণ্যের আনুমানিক মূল্য সাতষট্টি লাখ বাহাত্তর হাজার টাকা। বিজিবির টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা অবৈধ চোরাচালানী মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
চলারপথে রিপোর্ট :
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি আখাউড়া শাখা কর্তৃক ১৫০ জন দারিদ্র্য পীড়িত অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি আখাউড়া শাখা মিলনায়তনে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উক্ত শাখার ব্যবস্বাপক মো: ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানাজার মো: আবুল কালাম আজাদ।
এসময় আখাউড়া স্থলবন্দের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মো: নাজিরুল হক নাজির, রাজীব ভূঁইয়া, ফয়সাল আহমেদ, শাহ আলম শান্তি মিয়া, সোহেল মিয়া, ব্যাংক কর্মকর্তা, মো: ইমরান ভূঁইয়া, মো:খালেদ মাহমুদ মুন্না, মো: তানভীর আহমেদ শ্যামল এবং ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে পক্ষকাল ব্যপী মশক নিধন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
পৌরসভারর ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হবে এবং ঝোঁপ-জঙ্গল পরিস্কার করা হবে।
এময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা সার্ভেয়ার জহুরুল ইসলাম, মোঃ মাহবুব মোল্লা, আমির হোসেন প্রমুখ।
পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান বলেন, আমরা আগের চেয়ে উন্নত মানের ক্যামিকেল সংগ্রহ করেছি। জন কর্মী পৌরসভার ৪ ৯টি ওয়ার্ডের এ ক্যামিকেল ব্যবহার করে ঔষধ ছিটিয়ে দিবে।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকার ধারন করেছে। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে মশক নিধনে আমরা পক্ষকাল ব্যপী একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছি।
আজ ইউএনও মহোদয়ের বাসভবনসহ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঔষুধ দেওয়া হবে।
এছাড়া ড্রেন, ঝোপ-জঙ্গল যেখানে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানে ঔষধ দেওয়া হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ। ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে এই জনপদকে তখন ‘বোঝা’ মনে করতো তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী।
সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।
বাংলাদেশের এ অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে ‘লজ্জা’ পান বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সেদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ২৪ এপ্রিল বুধবার এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। খবর ডন অনলাইনের।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে। কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম…তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে)। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।
অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়েও কথা বলেন। এছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’র জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শেহবাজ।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ।
বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন শেহবাজ শরিফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এক ইট ভাটাকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার মোগড়া এলাকায় মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) কে এ জরিমানা ও সিলগালা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী প?রিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী, আখাউড়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিল ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, জেলার আখাউড়া উপজেলায় বিভিন্ন ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুপুরে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) দেখা যায় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও ইট ভাটার জন্য অবৈধ ভাবে মাটি এনে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছিলো। পরে অবৈধভাবে ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনে মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) কে দুটি মামলায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি ইট ভাটাটি অবৈধ হওয়ায় আংশিক গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং ইট ভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করে ভাটাটি সিলগালা করা হয়। অভিযানে আরো ২টি ইট ভাটার মালিককে সরকারি আইন মেনে ইট ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।